বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবির অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কর্তৃক ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সর্বমোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি'র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মেহেদি হোসাইন কবির-এর নেতৃত্বে বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল গত ১৯ হতে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ এপ্রিল গর্জনবুনিয়া বিওপির আওতাধীন উখিয়ার করবুনিয়া এলাকার ইয়াবা গডফাদার ইকবাল হোসেনের বাড়ী তল্লাশী করে ঘরের গোপন কুঠুরি হতে অতি কৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ইয়াবা গডফাদার ইকবালের পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে রেজুপাড়া ও গর্জনবুনিয়া বিওপির সীমান্তের গহীন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ৬ লক্ষ পিস
বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। একই দিনে বিজিবির পৃথক টহলদল রেজুপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ অপর ১ জন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি হতে অদ্যাবধি কক্সবাজার, টেকনাফ, রামু এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৫ পিস ইয়াবা এবং ৩৩.৫৫ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ সর্বমোট ৩৩৫ কোটি ৭৮ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের মাদকদ্রব্য এবং ৪৩৪ জন মাদক কারবারি এবং ব্যবসায়ীকে আটক করে আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি'র গোয়েন্দা তৎপরতা এবং সাঁড়াশি অভিযান আগামীতেও চলমান থাকবে। এ বিষয়ে বিজিবির প্রতিটি সদস্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনো মূল্যে দেশকে মাদকমুক্ত করার ব্যাপারে বিজিবি সর্বদা বদ্ধপরিকর।
বিডি প্রতিদিন/এএ