মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান দেশটির মানবাধিকার কমিশনে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। বাংলাদেশে এলে তার জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মানবাধিকার কমিশনের কমিশনার জেরাল্ড জোসেফ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার এম খায়রুজ্জামানকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সে কারণে তিনি কমিশনে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উচ্চ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান এক আদেশে এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন।
এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই পদ বাতিল করে তাকে দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর খায়রুজ্জামান পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৩ সালে তিনি আদালতের জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত