বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ আজীবন প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। সামাজিক ন্যায়বিচার ও সকল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতেন-লিখতেন।
সোমবার বিকেলে যাদু মিয়া মিলনায়তনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রথম দিনের কর্মসূচি পালনে প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ স্মরণে দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জনতা ফোরাম গৃহীত তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচীর প্রথম দিন কোরআন খতম ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ অত্যন্ত বিনয়ী একজন মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন সমগ্র জাতির অভিভাবক। তার চলে যাওয়ায় সকলেই বাকরুদ্ধ। তার চলে যাওয়ায় দেশ ও জাতি একজন পরীক্ষিত, মেধাবী, স্পষ্টবাদী দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীকে হারিয়েছে। তার শুন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। এমাজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু একটি নক্ষত্রের পতন।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, দেশ ও মানুষের মঙ্গল আকাঙ্ক্ষায় নিমগ্ন হয়েছে ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের তার চিন্তা ও কর্মধারা। মত ও পথের ভিন্নতা আড়াল করেনি মানবিকতা ও ন্যায়ের পথ। আলোকিত মানুষ ছিলেন তিনি। ‘সবার সঙ্গে মিত্রতা, নয় কারও প্রতি শত্রুতা’- এই ছিল তার কর্মধারা। জাতির প্রয়োজনে উদ্যোগ ও উদ্যমে অগ্রসর হয়েছেন স্বকীয় কর্মধারায়, সংযত-সীমিত থেকেছেন নিজ পরিসরে।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের মহাসচিব কবি এনামুল হক কাফীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল আমিন, মাহি আল ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য এডভোকেট মো. সপ্নিল সরকার, ডা. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এসময় মোনাজাত পরিচালনা করেন নয়াপল্টন জামে মসজিদের সম্মানিত পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা যোবায়ের আহমেদ। এসময় মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন। তিনি উদার-আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন আজীবন। সমাজের বিভক্তি দূর করতে না পারলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র নানা দিক থেকে সমস্যায় পড়বে বলে মনে করতেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার বলেন, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের সমঝোতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তাকে নন্দিত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। তিনি সাধারণভাবে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ কেবল একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, একাধারে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক ছিলেন।
তিনদিনের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গলবার ১৯ জুলাই এতিম বাচ্চা, পথশিশু ও পুরানা পল্টন জামেয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিতরণ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় দিনে তথা শেষ সমাপনী দিন ২০ জুলাই সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব লাউঞ্জে, প্রফেসর ডক্টর ইমেরিটাস এমাজউদ্দিন আহমদ এর জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক