ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মা-বাবা ও বোন হারানোর সময় জন্ম নেওয়া সেই নবজাতকের দেখাশোনার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার পরিবারকে এককালীন ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিতদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানকে ১৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ শিশুর অভিভাবককে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (১৮ জুলাই) শিশুর মা-বাবা ও বোন নিহতের ঘটনায় তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়। জনস্বার্থে আইনজীবী কানিজ ফাতেমার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহাসিব হোসেন।
রিটে দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কী সহযোগিতা করা যায়, তা জানতে চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে শিশুটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত লালন-পালনের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ১৬ জুলাই বিকেলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম ও মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন জাহাঙ্গীর আলম। ডাক্তার দেখানো শেষে পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না ও মেয়ে সানজিদা মারা যায়। এ সময় ট্রাকচাপায় রত্না বেগমের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে কন্যাশিশুর জন্ম হয়।
পরে আহত শিশু সানজিদা ও নবজাতককে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সানজিদাকে মৃত ঘোষণা করেন। নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বর্তমানে সেই শিশুটি জন্ডিসে আক্রান্ত। এ কারণে বেসরকারি লাবীব হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চিকিৎসা শুরু হয়েছে তার।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত