গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতিবাজদের চুরি-লুটপাট করার বিশেষ আইন। যার মাধ্যমে জনগণের রক্ত চুষে খায় অবৈধ ক্ষমতাসীনরা। অবিলম্বে বিদ্যুৎ এ ভর্তুকি কতো তার সকল হিসাব-নিকাশসহ জনগণের সম্মুখে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। চুরি আড়াল করতে শাক দিয়ে মাছ লুকানোর মতো যতোই আইন করেন না কেন সব জনগণের টাকা চুরি করা চোরদের বিচার দেশের মাটিতে করা হবে। ওয়াসার বিল নিয়ে শ্রেণি বিন্যাস জনগণের সুবিধার জন্য নয়, দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির নতুন ফন্দি।
আজ বিকাল ৫টায় গণফোরাম সভাপতির কার্যালয়ে গণফোরামের জরুরি যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ দেশের চলমান সংকট নিরসনে আলোচনা করেন।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, আমদানি নির্ভরতা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ। অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতার সবচেয়ে বড় কারণ লুটপাট করা। বিদ্যুৎ খাতের নৈরাজ্য ফ্যাসিস্ট সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত। জনগণ থেকে অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করতেই বিদ্যুৎ খাতে মহা লুটপাটের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিদ্যুৎ খাতের এই নৈরাজ্যের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়।
সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, রাজ চুরি-চালাকি অনেক হয়েছে। এবার বাদ দিন জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছেন আপনারা। দুর্নীতিবাজ চোরদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি করেন আবার বড়ো বড়ো কথা বলেন। আহারে কতো টাকা লাগে আপনাদের? পেট ভরে তবু চোখ ভরে না! আপনাদের কাছে জনগণ কিছুই আশা করে না, ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে জনগণকে মুক্তি দিন নইলে জনগণ আপনাদের একবিন্দু ছাড় দিবে না। এই দলদাস নির্বাচন কমিশন দিয়ে সংলাপের নামে নাটক বন্ধ করুন, আপনাদের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন কল্পনা করাও সম্ভব নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন বিকল্প নাই।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মহসীন রশিদ, এডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য মেজর আসাদুজ্জামান বীর প্রতীক (অব.), আব্দুল হাসিব চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক এডভোকেট সানজিদ রহমান শুভ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত