৬ অক্টোবর, ২০২২ ২০:৩৫

জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা দরকার : ডেপুটি স্পিকার

অনলাইন ডেস্ক

জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা দরকার : ডেপুটি স্পিকার

বক্তব্য দিচ্ছেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, ‘জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা দরকার। ধূমপান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে-সেখানে ধুমপান নিয়ন্ত্রণ করা অত্যাবশ্যক। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের সন্নিকটে মাদক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্র  বন্ধ করতে হবে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং’ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নবনির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার ও ফোরামের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক টুকু এমপিকে সংবর্ধনা প্রদান ও ‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকের প্রভাব থেকে বাঁচতে সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো দ্রুত পাস করা জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আমি নিজেও তামাক-বিরোধী নানান কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছি।’
 
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান তামাক আইনের যে সকল সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমি একমত। বিশেষ করে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বাতিল ও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা খুবই জরুরী। তামাক ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সুস্থ্য মানব সম্পদ গড়ে তোলা অতীব জরুরি। এ বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে, পেশাজীবীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
 
এসময় ধূমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান ডেপুটি স্পিকার। ধূমপান ও মাদকের ভয়াবহতা জনসমাজে তুলে ধরতে সচেতন মহলের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরমা দত্ত, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল,  শবনম জাহান,  সৈয়দা রওশন আরা মান্নান, অ্যাড. খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন আহমেদ, শিরীন আহমেদ। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, সিটিএফকে বাংলাদেশের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 
 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর