স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, অক্টোবরের শেষ দিকে কিংবা নভেম্বরের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে। তবে এডিস মশার জন্ম সহায়ক পরিবেশ যেমন বৃষ্টিপাত না হলে খুব দ্রুত এর প্রাদুর্ভাব কমবে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যথা সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু অনেক কমে আসবে। যে কোনো ধরনের জ্বরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। জ্বর হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজেস (এটিডিএস) নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ডা. নাজমুল বলেন, এ বছর থেমে থেমে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে বর্ষার বৃষ্টিপাত ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মাকাণ্ডের ফলে মশার প্রজনন ক্ষেত্র বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতার অভাবেই এবার বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যথা সময়ে চিকিৎসকের কাছে না আসা ও অবহেলার কারণেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঘটেছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে যে ব্যবস্থা দেওয়া হবে সেটিকে শতভাগ অনুসরণ করতে হবে। ডেঙ্গুর বিপদের লক্ষণগুলো দেখলে দেরি না করে হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত