শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি সংরক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জনিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী এবং শহিদ সাংবাদিকদের শুধু স্মরণানুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। তাদের কর্ম ও পরিচয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে জানানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলেই বরং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বার্থক হবে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 'বাংলাদেশের অভ্যুদয়: বুদ্ধিজীবীদের অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, বাসসের এমডি ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, ফরিদ হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী।
সভাপতির বক্তৃতায় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও শহিদ সাংবাদিকদের জীবনী সংরক্ষণের দাবি উঠে এসেছে। আমরাও একমত। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা জরুরি। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এখনও সম্ভব।
মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে আন্দোলন বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, তার সঙ্গে হাত ধরাধরি করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন বুদ্ধিজীবীরারও। যে কারণে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে কেন, কারা, কিভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এটি জানলেই তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস জানতে পারবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ