দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে ঘোষণা দিতে চাই, এই স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। এই অপশক্তিকে দেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
শনিবার বিকেল পৌনে চারটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা পূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তি লক্ষ্য নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়ছিলেন। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আমাদের মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাদের মূল লক্ষ্য স্বাধীনতার চেতনা, মূল্যবোধ নস্যাৎ করে দেয়া। তারা দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি দেখতে চায় না। উন্নয়ন বারবার বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
হানিফ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্ধকার বাংলাদেশ আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি মিলেছে। ২০৩১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্য উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। ঠিক সেই সময়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ডিসেম্বর মাস আমাদের অহংকার, গৌরবের মাস। বিজয়ের মাস। পাকিস্তানের দোসরদের পরাজয়ের মাস।
বিজয়ের মাসে গোটা জাতিকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দোসরদের পরাজিত করে আমরা বিজয় পতাকা উড়িয়েছিলাম। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকলে বারবার ষড়যন্ত্র করবে, উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হবে। বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
বিজয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিজয় শোভাযাত্রা পূর্ব সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, মারুফা আক্তার পপি, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১টা থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের শোভাযাত্রাস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড এবং মিরপুর রোড হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে।
বিজয় শোভাযাত্রায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত