গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে বেপরোয়া উন্মাদের মতো আচরণ করছে। এই সরকারের হাতে দেশের কিংবা বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা কেউ নিরাপদ নয়। এতদিন এই দেশে বিরোধী মতের মানুষের ওপর হামলা মামলা হত, গুম করা হতো। এখন বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা পর্যন্ত এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খানের পরিচালনায় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, সোহরাব হোসন, আবু হানিফ, ড. মালেক ফরাজী, সাদ্দাম হোসন, শাকিলউজ্জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের মনজুর মোর্শেদ মামুন, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে পাবনা, ময়মনসিংহ, মাগুরা, খুলনা, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের’ বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, এই সরকারের মন্ত্রীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা ‘মায়ের কান্না’ নামক সংগঠনের লোক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ওপর হামলা করেছে কয়েকদিন আগে। এর আগেও ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগ তারা র্যালির নামে সারা ঢাকা দখলে নিয়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার কতটা বেপরোয়া হয়েছে তা জনগণ দেখেছে। পাড়া, মহল্লায় গুন্ডা, মাস্তান ও সন্ত্রাসী দিয়ে টহল দিয়েছে, যাতে সমাবেশে কেউ যোগ না দিতে পারে। আওয়ামী লীগ ও তার উচ্ছিষ্ট ভোগীরা অবৈধভাবে ক্ষমতায় দখলে রাখতে বেপরোয়া উন্মাদে পরিণত হয়েছে।
নুর আরও বলেন, সরকার আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিএনপির অফিসে পরিকল্পিত বোমার নাটক সাজিয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের আটক করেছে। জামায়াত যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার পর দিন তাদের আমিরকে আটক করেছে। আর এখন পুলিশ বলছে-জামায়াতের আমির নাকি জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত