১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির বিষয়ে কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর) আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস); মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর (এমএলডব্লিউ), ঢাকা; কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডাসহ (সিআরআরআইসি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের সহযোগিতায় এই আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে আবেদনের পর অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটস (সিএমএইচআর)-এ একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে যেখানে গণহত্যা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে একমত পোষণপূর্বক জোর গুরুত্বারোপ করেন।
সিএমএইচআর কর্তৃক গণহত্যার আবেদনটি পর্যালোচনা ও গ্রহণ করার লক্ষ্যে উক্ত জাদুঘরের হলোকাস্ট এবং গণহত্যা বিষয়ক কিউরেটর ড. জেরেমি মেলভিন মেরন সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা সফর করবেন। বর্তমানে সিএমএইচআর গণহত্যার স্বীকৃতির আবেদনটি পর্যালোচনা করছে।
জানা গেছে, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে সংশ্লিষ্ট জাদুঘর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে ড. জেরেমি ১৯৭১ সালে ঢাকা ও সংলগ্ন যে সকল এলাকায় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল সেইস্থানগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং একই সাথে ১৯৭১ সালের গণহত্যায় নিহত পরিবারের সদস্য ও গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া নির্যাতিতদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়াও তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারক এবং গণহত্যা ইস্যুতে অন্যান্য জাতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশে তার অবস্থানকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে ড. মেরনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।গণহত্যার স্বীকৃতি সংক্রান্ত আবেদনটি গৃহীত হলে সিএমএইচআর গণহত্যা সংক্রান্ত দলিল ও প্রমাণাদি জাদুঘরে স্থায়ীভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ