ঢাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মহাসমাবেশ আজ শনিবার। আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে এবং বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে ডিএমপির কাছ থেকে। দুইদলের একই দিনের সমাবেশ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা। দুইদলই ব্যাপক জনসমাগমের মধ্যে দিয়ে জনসমর্থন দেখাতে চায়। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুইদল যখন এই ঘোষণা দিয়েছে তখন সরেজমিনে দলগুলোর কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় গিয়ে দেখা যায়, হাতেগোনা ২০০ নেতাকর্মী সেখানে অবস্থান করছেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ৫৬ ফুট দীর্ঘ আর ২৪ ফুট প্রস্থের মঞ্চের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেখানেও ১০০ থেকে ১৫০ জন নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। সেখানে অবস্থান করা একাধিক নেতাকর্মী জানান, রাত পোহালেই যেহেতু সমাবেশ তাই নেতাকর্মীরা চলে গেছেন। সকাল থেকে তারা আবার অবস্থান করবেন। এক চা বিক্রেতা জানান, সন্ধ্যার পরপরই এলাকা নেতাশূন্য। সময় মতো তারা আসবে।
এদিকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তিন থেকে চার হাজার নেতাকর্মী ছরিয়ে ছিটিয়ে কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশে অবস্থান করছে। থেমে থেমে নানা শ্লোগান দিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা আগত এসব নেতাকর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে বিএনপি। যশোর থেকে আগত এক কর্মী জানান, রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার দেয়া হয়েছে, এখন কিনে খেতে হবে। কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরির কথা থাকলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি। সরঞ্জাম আসলেও রাতের শেষ ভাগে কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।
দুই দলের সমাবেশস্থলের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে নয়াপল্টনে উপস্থিতি ছিল ব্যাপক আকারে। সেখানে রায়ট কার, প্রিজনভ্যানও দেখা গেছে। কার্যালয়ে প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এদিকে, নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ- সমাবেশ এলাকায় আসতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এবং ফকিরেরপুল মোড় এবং দৈনিক বাংলা এলাকায় থাকা অন্তত ১৫টি সাদা মাইক্রোবাসে করে সাদা পোশাকের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাদের অনেক নেতাকর্মীদের গাড়িতে উঠিয়ে নিচ্ছে। তবুও তারা নানা কৌশলে কার্যালয়ের সামনে আসতে পেরেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ