বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটক আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে আজ বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করেন।
আজ প্রত্যাবাসন করা ১৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানায়। আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসন করা প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেওয়া হয়।
এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান প্রত্যাবাসন করা বাংলাদেশিদের খোঁজ-খবর নেন। তিনি বাড়িতে ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সাথে আলোচনার পরামর্শ দেন। মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির প্রচেষ্টায় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বর ২০২৩ সময়ে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চাটার্ড ফ্লাইটে মোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ