পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে ‘বালি প্রসেস’এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) এবং রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র সচিব মানবপাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। তিনি মানবপাচারের জটিল ও অন্তর্নিহিত কারণসমূহ এবং সেগুলো মোকাবেলার অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্র সচিব মানবপাচার সমস্যার টেকসই সমাধান করা ও এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
বৈঠকে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
বালি প্রসেস কো-চেয়ারগণ মানবপাচার মোকাবেলাকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যা মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বৃদ্ধিতে কো-চেয়ারগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য বালি প্রক্রিয়ার সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে এবং এটি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিতি ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত