২৪ মে, ২০২৪ ১৮:২৫

আনার হত্যা : ভিডিও ফুটেজে ঘাতকদের ফ্ল্যাট থেকে স্যুটকেস নিয়ে বের হওয়ার দৃশ্য

অনলাইন ডেস্ক

আনার হত্যা : ভিডিও ফুটেজে ঘাতকদের ফ্ল্যাট থেকে স্যুটকেস নিয়ে বের হওয়ার দৃশ্য

ছবি : ভিডিও ফুটেজ থেকে সংগৃহীত

চিকিৎসার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনা। তবে তার মরদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। 

এদিকে, কলকাতার নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে আনাকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়-সেই ফ্ল্যাট থেকে দু’জনকে স্যুটকেস নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। তাতে একটি সবুজ ট্রলি দেখা গেছে। মনে করা হচ্ছে, সেই ট্রলিতেই সাংসদের দেহাংশ ভরে নেওয়া হয়েছিল।

অন্য একটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ওই দু’জন স্যুটকেস নিয়ে আবার ফ্ল্যাটে ঢুকছেন।

পুলিশের বিবৃতির বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই স্যুটকেসে পলি প্যাকে ভরা ছিল এমপি আনারের লাশের খণ্ডবিখণ্ড অংশ। নিহতের হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছিল এবং চামড়াও ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল, যাতে পরিচয় নষ্ট করা যায়। তারপর স্যুটকেসে প্যাকেটগুলো ভরে ফ্ল্যাট থেকে বের করে নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেন খুনিরা। আর ভিডিও ফুটেজে দেখা দুই ব্যক্তিই এমপি আনারের কন্ট্রাক্ট কিলার।  

পুলিশ সন্দেহ করছে, আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে একজন নারীর ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে নেওয়া হয় এবং তারপর কন্ট্রাক্ট কিলাররা তাকে খুন করে। নিহতের মরদেহ টুকরো টুকরো করতে জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে মুম্বাই থেকে বিশেষভাবে কলকাতার নিউটাউনে আনা হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানিয়েছে, জিহাদ বাংলাদেশি। এমপি আনার হত্যার দুই মাস আগে তাকে ভারতে আনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বিচারকের মুখোমুখি করলে ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত আদালত।  

প্রসঙ্গত, আনোয়ারুল আজিম আনার গত ১৩ মে কলকাতায় নিখোঁজ হন। উত্তর কলকাতার বরানগরের বাসিন্দা আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাস স্থানীয় পুলিশের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগে লেখা হয়, আনার বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসার পর গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতেই থাকছিলেন। ১৩ মে বিকেলে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য তার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। সেই ডায়েরি সূত্রে নিখোঁজ সংসদ সদস্যের খোঁজ শুরু হয়।

পরে ২২ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। লাশ না মিললেও সেখানে আনারকে খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

পরিস্থিতিগত প্রমাণ ইঙ্গিত দেয়, এমপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল এবং তারপরে তার দেহকে কয়েক টুকরো করা হয়েছিল।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর