সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে 'চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার', 'কে বলে রে রাজাকার, ধিক্কার ধিক্কার', 'প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে' প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করলে আমাদের দাবিয়ে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধাকে প্রাধান্য দেওয়ার বিকল্প নেই। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না।’
আজ দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে প্রথম মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। পরে মিছিল নিয়ে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একদল শিক্ষার্থী। এরপর দলে দলে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে তাঁরা গতকাল সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। গতকাল পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তাঁরা এ দাবি জানান। কিন্তু এ বিষয়ে তাঁরা এখনো কোনো সাড়া পাননি। এর মধ্যে গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে আসা বক্তব্যে ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এর প্রতিবাদে তাঁরা আজ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন