শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:১৮, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নির্বিচার মামলায় অবিচারের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বিচার মামলায় অবিচারের শঙ্কা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হতাহতের ঘটনায় যেসব মামলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঢালাও মামলাগুলোয় নির্বিচারে আসামি করা হচ্ছে বাছবিচার ছাড়াই। এরই মধ্যে কয়েকটি চক্র মেতেছে মামলাবাণিজ্যে। তাদের লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধাররা। মামলায় আসামি না করার জন্য তাদের কাছে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দাবি করা টাকা না দিলেই দেওয়া হচ্ছে একের পর এক মামলা। শুধু ব্যবসায়ীই নন, বাদ যাচ্ছেন না শিক্ষক, সাংবাদিক ও তারকারাও। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও পূর্বশত্রুতার জেরে মামলার আসামি করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদী চেনেন না আসামিকে আর আসামি চেনেন না বাদীকে। এমনকি ঢাকার ঘটনার মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকার বাইরের জেলার শত শত মানুষকে।

এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ মামলা প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সঠিক বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের বাইরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না। তিনি বলেন, ‘যখন ঢাকার ঘটনায় রাজশাহী, রংপুর আর লালমনিরহাট থেকে ১০০-১৫০ মানুষ আসামি হবে, তখন খুব সহজেই অনুমান করা যায় এগুলো বানোয়াট মামলা। এগুলো শুধু হেনস্তার জন্য করা হয়েছে। রংপুর থেকে ১০০ জন মানুষ ঢাকায় এসে একজনকে খুন করবে না। যেখানে লোক মারা গেছে পুলিশের গুলিতে। এগুলো স্ক্রিপ্টেট (সাজানো)। কেউ একজন লিখে দিচ্ছে, সেগুলো থানায় থানায় চলছে। ব্যবসায়ীরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এক নম্বর আসামি শেখ হাসিনা, দুই নম্বর আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এরপর অমুক এলাকার ২০০ লোক! এগুলো কিছু হলো! এ ধরনের মামলাগুলো করাই হয় প্রকৃত অপরাধীদের বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য।’

যাদের হেনস্তার উদ্দেশ্যে এসব মামলায় নাম দেওয়া হয়, তাদের উদ্দেশ্য করে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, ‘আমাকে এভাবে হেনস্তা করার জন্য কেউ মামলায় আসামি করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করতাম।’

সম্প্রতি সুপরিচিত একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কর্ণধারসহ প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন কর্মকর্তার কাছে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে তিন কোটি টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হতাহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। আইনজীবী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, তাদের সঙ্গে আরও অনেকেই আছেন, যারা খুবই প্রভাবশালী। পুরো অর্থ না দিলে মামলা হয়ে যাবে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির কর্ণধারের বিরুদ্ধে। হুমকিদাতা ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে একটি বাসায় নিয়ে দেন-দরবার চালিয়ে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা না পেয়ে আদালতের মাধ্যমে রাজধানীর ধানম-ি থানায় হত্যা মামলা ঠুকে দেয়। এখানেই থেমে থাকেনি ওই চক্র। কিছুদিন পর আবারও টাকার জন্য চাপ দিয়ে জানায়, চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে নতুন করে আরও মামলা দেওয়া হবে। সেই টাকা না পেয়ে পল্টন থানায় আরও একটি হত্যা মামলা করা হয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির কর্ণধারের বিরুদ্ধে। অথচ এই ব্যবসায়ী কখনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এ ঘটনার মতোই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আর মামলাকে হাতিয়ার বানিয়ে কয়েকটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা। এ নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। অনেকে বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না। যারা গত সরকারের লেজুড়বৃত্তি করেননি, তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, প্রতারক চক্র মামলা-বাণিজ্য করছে, তা সত্য। নিরপরাধ ব্যবসায়ী ও লোকজনদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ এসেছে। এসব বিষয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ‘প্রতারকদের বিরুদ্ধে আমরা সতর্ক আছি। একটি চক্র অর্থ না পেয়ে মামলা দিচ্ছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। তাদের বিষয়টি আমরা নজরদারি করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী ও নিরীহ লোকজনকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর তদন্ত শুরু হয়েছে।’

রাজধানীর পুলিশপ্রধান আরও বলেন, ‘কোনো মামলার এজাহারে নাম থাকলেই যে গ্রেপ্তার করতে হবে, আইনে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তদন্ত শেষে তারপর গ্রেপ্তারের বিষয়টি আসে। তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে না, তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সহিংসতার ঘটনায় এত কম সময়ে সর্বাধিকসংখ্যক মামলা হয়েছে। ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় ২০০-এর বেশি মামলা হয়। যেসব মামলায় আসামি করা হয়েছিল এক লাখের বেশি। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় হাজারের মতো শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ এবং কয়েকটি দলের নেতাকর্মী নিহত হন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা হচ্ছে বিভিন্ন থানায়। ৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে ৫০০-এর বেশি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলার বেশিরভাগ এজাহার একই ধরনের। প্রথম ১০ থেকে ২০ জন আসামি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তারা। এর মধ্যে অনেক মামলার বাদী চেনেন না আসামিকে। আসামিও বাদীর নাম শোনেননি কখনো। এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী-অঙ্গসংগঠনের থানা, জেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডপর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হচ্ছে। কিছু কিছু মামলায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষও আসামি হচ্ছেন, যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য এসেছে, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তৎপর হয়ে উঠেছে কয়েকটি প্রতারক চক্র। তারা মিথ্যা অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। বিশেষ করে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের টার্গেট করছে। আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও ঘায়েলের চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদর দপ্তর বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রতারণায় সম্পৃক্তদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারাও কাজ শুরু করেছেন।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় মামলা নিয়ে প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠার গুরুতর অভিযোগ এসেছে। আইনজীবী পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ প্রতারক চক্রদের সহযোগিতা করছে। তা ছাড়া প্রতারকদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও সুসম্পর্ক আছে। সুযোগ পেয়ে তারা মিলেমিশে অপকর্ম চালাচ্ছে। যারা এসব অপকর্ম করছে, তাদের নজরদারির পাশাপাশি আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সব কটি ইউনিটপ্রধান ও জেলা পুলিশ সুপারদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, মামলার আসামিদের ধরতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এসব অভিযানে নিরপরাধ অনেকে গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তা ছাড়া অভিযানের নামে গ্রেপ্তার-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে তালিকা সংগ্রহ করার তথ্যও মিলেছে। গত ২৫ আগস্ট ঢাকার দোহার থানায় ১৭৪ জনের নামে একটি হত্যা মামলা হয়। এজাহারে থাকা আসামিদের ঠিকানার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকা সত্ত্বেও রাজধানীর একজন ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, গত ১০ বছরেও গ্রামের বাড়িতে যাননি। নাম প্রকাশ না করে ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা সারাজীবন ব্যবসা করি। সে হিসেবেই সরকারে যেই থাকে তাদের সঙ্গেই আমাদের মিলেমিশে চলতে হয়। আমরা কোনো রাজনীতি করি না। আমার নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে, অথচ ১০ বছরে আমি এলাকাই যাইনি।’

মামলাটির বাদী শাজাহান মাঝি দাবি করেছেন, আসামিদের অধিকাংশকেই চেনেন না। তাহলে মামলাটি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক মামলা, তাই সবাইকে চেনেন না, নেতারা যাদের নাম দিয়েছেন, তাদেরই আসামি করা হয়েছে।

একইভাবে ঢাকার আরও তিনজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, তারা কখনো রাজনীতিই করেননি। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে যাননি। অথচ ঢাকার ধানমন্ডি, পল্টন, ভাটারা, গুলশান, উত্তরাসহ কয়েকটি থানায় মামলা করা হয়েছে তাদের নামে। আবার মামলা করার আগে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। এখন মামলা থেকে নাম বাদ দিতে ফের অর্থ দাবি করা হচ্ছে। যারা মামলা-বাণিজ্য করছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান এই তিন ব্যবসায়ী।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন বা তাদের সহযোগী নন, এমন কাউকে হয়রানি না করতে আমাদের কাছে নির্দেশনা আছে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করছি। নিরপরাধ ব্যবসায়ী ও নিরীহ লোকজন হয়রানির শিকার হবেন না। যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে না, তাদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে গত ১৬ জুলাই থেকে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠে উত্তরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওই এলাকা যেন ছিল রণক্ষেত্র। এই তিন সপ্তাহ জুড়ে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে প্রতিদিনই পড়েছে একাধিক লাশ। উত্তরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে সঠিক হিসাব না পাওয়া গেলেও ২০০-এর বেশি প্রাণহানির তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে আসে। সরকার পতনের পর সারা দেশের মতো উত্তরায়ও হত্যা মামলা হয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাসহ স্থানীয় নেতাদের নামে। উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানায় এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলার কয়েকটির আসামির তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কিছু অরাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীকেও আসামি করা হয়েছে। ঢালাওভাবে প্রতিটি মামলায় ১৫০ থেকে ৩০০-এর বেশি আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় আছেন উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর কল্যাণ সমিতির নেতা, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীও।

উত্তরা পূর্ব থানার একটি হত্যা মামলার এক আসামি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমি শুনেছি, ব্যবসায়িক এক প্রতিপক্ষ আমাকে মাঠছাড়া করতে আসামি করেছে। বাড্ডা থানার আরেকটি হত্যা মামলায়ও আমাকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’

দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায় মন্তাজ নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তবে তার এক ছেলে ও এক ভাগ্নে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। সেই সুযোগ নিয়ে তাকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মন্তাজ।

প্রিয়াংকা সিটির মালিক সজল চৌধুরী ও তার ছেলেকে হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। গত পাঁচ বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাবিব হাসানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলতে পারেননি সজল চৌধুরী। এজন্য তার কয়েক বিঘা জমি দখলে নিয়ে নেন হাবিব হাসান। তারপরও ছেলেসহ মামলার আসামি হয়েছেন।

সরকার পতনের আগের দিন রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ সিদ্দিকী নামে এক শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবদুল্লাহকে হত্যা করে লাশ গুমচেষ্টার অভিযোগে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের নির্দেশে ধানম-ি থানায় মামলা হয়। যার বাদী হয়েছেন ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল নামে একজন। এজাহারে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সহ-সমন্বয়ক হিসেবে। তিনি মামলার অভিযোগে বলেছেন, ‘ঘটনার দিন আবদুল্লাহ সিদ্দিকীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে মামলার পাঁচ আসামি মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে নিয়ে যেতে এবং দাফন করতে চাপ প্রয়োগ করে। তাদের ভয়ে মরদেহ ময়নাতদন্ত না করে দাফন করা হয়।’

মামলাটির আসামিদের মধ্যে পাঁচজনের দুজন দেশের দুটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর কর্ণধার। এই মামলায় শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আছে ২৫০ জন। যাদের বিরুদ্ধে লাশ গুমের চেষ্টা ও ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের চেনেন কি না মোবাইল ফোনে কল করে এমন প্রশ্ন করতেই আমতা আমতা করতে থাকেন রাতুল। একপর্যায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তারপর ১০ বারের বেশি কল করা হলেও তিনি আর কল রিসিভ করেননি। এরপর ফোন বন্ধ করে রাখেন।

নিজেকে সহ-সমন্বয়ক দাবি করা এই রাতুল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের কাছে। তাদের একজন আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘এই নামে (রাতুল) কেউ নেই। আর আমরা এলাকাভিত্তিক কোনো সমন্বয়ক দিইনি। অনেকেই এলাকায় নিজেদের সমন্বয়ক বা সহ-সমন্বয়ক পরিচয় দেন। সেগুলোর কেন্দ্রীয় কোনো অনুমোদন নেই।’ 

সিএমএম (পল্টন আমলি) আদালতে হওয়া এক মামলার বাদী নিজেই ভুক্তভোগী। মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী মো. বিল্লাল হোসেন অভিযোগে বলেছেন, ‘গত ৪ আগস্ট তাকে পল্টনের তোপখানা রোডে গুলি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৬ আগস্ট আবার তাকে পল্টনের একটি রাস্তায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়।’ এ মামলায় আরও একটি ব্যবসায়িক গ্রুপের কর্ণধারকে আসামি করা হয়। তবে মামলার বিষয়ে জানতে বাদীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সরকার পতনের দিন সকালে রাজধানীর উত্তরায় বিক্ষোভ চলাকালে লাবলু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এক মাস পর নিহতের চাচাতো ভাই দুখু মিয়া ২২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন উত্তরা পূর্ব থানায়। আসামিদের মধ্যে ২১০ জন রংপুরের বাসিন্দা। নিহত লাভলু ও তার ভাই মামলার বাদী দুখু দুজনের বাড়িই রংপুরে। ঢাকার ঘটনা ও ঢাকার থানায় হওয়া মামলায় রংপুরের ২১০ জন আসামি থাকায় মামলাটির অভিযোগের সত্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে খোদ তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের মধ্যেই।

ঢালাও মামলা নিয়ে উপদেষ্টা ও রাজনীতিকদের মত : ঢালাও মামলা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন দলের রাজনীতিকরা। এর মধ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘গায়েবি মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি এ অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থন করে না। ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিচারকদের দেখতে হবে অযথা নাগরিকরা যেন হয়রানি না হয়।’

গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশে যে মামলাগুলো হয়েছে, তার মধ্যে অনেক মামলাই আসলে আবার গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা সে ক্ষেত্রে আহ্বান জানিয়েছি, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।’

গত ২৮ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ঢালাও মামলা দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো মামলা নথিভুক্ত করার আগে প্রাথমিক তদন্ত করে নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।’ সূত্র: দেশ রূপান্তর

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
বিজয় দিবস কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ করলেন সেনাপ্রধান
বিজয় দিবস কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ করলেন সেনাপ্রধান
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের বাংলাদেশ গড়লে আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের বাংলাদেশ গড়লে আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল গঠন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল গঠন
মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
মধ্যরাত থেকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা
মধ্যরাত থেকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা
অন্তর্বর্তী সরকার একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী
বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী
গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের দেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি
বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের দেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি
কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
সর্বশেষ খবর
‘বিগত সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে কৃষি অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে’
‘বিগত সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে কৃষি অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে’

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফুলপুরে কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও পথসভা
ফুলপুরে কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও পথসভা

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিজয় দিবস কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ করলেন সেনাপ্রধান
বিজয় দিবস কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ করলেন সেনাপ্রধান

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের বাংলাদেশ গড়লে আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের বাংলাদেশ গড়লে আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ডুয়েটের ১৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
ডুয়েটের ১৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

২ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার
বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল গঠন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল গঠন

৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে যুবককে পিটিয়ে পা ভাঙার অভিযোগে মামলা
সোনারগাঁয়ে যুবককে পিটিয়ে পা ভাঙার অভিযোগে মামলা

৪ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠনের দাবি
অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠনের দাবি

৪ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখতে মতবিনিময় সভা
সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখতে মতবিনিময় সভা

৪ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে র‍্যাব পরিচয় দেওয়া ৫ ডাকাত গ্রেফতার
রাজধানীতে র‍্যাব পরিচয় দেওয়া ৫ ডাকাত গ্রেফতার

৫ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

ঢাবিতে বহিরাগত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, স্বস্তিতে শিক্ষার্থীরা
ঢাবিতে বহিরাগত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, স্বস্তিতে শিক্ষার্থীরা

৫ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

মধ্যরাত থেকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা
মধ্যরাত থেকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা

৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকার একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আকস্মিক সফরে ইরাকে
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আকস্মিক সফরে ইরাকে

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেনাপোল দিয়ে এলো ৪৬৮ টন আলু
বেনাপোল দিয়ে এলো ৪৬৮ টন আলু

৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, নাফনদে যাত্রীবাহী নৌযান চলবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায়
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, নাফনদে যাত্রীবাহী নৌযান চলবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায়

৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় গম সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া
সিরিয়ায় গম সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

৫ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

'দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই'
'দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই'

৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সকাল ৯টার মধ্যে হাজিরা না দিলে শাস্তি হবে ওয়াসায় কর্মরতদের
সকাল ৯টার মধ্যে হাজিরা না দিলে শাস্তি হবে ওয়াসায় কর্মরতদের

৫ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু
ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই’
‘দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই’

৫ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে ভোগান্তি
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে ভোগান্তি

৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রিপল মার্ডার মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতা ঢাকায় গ্রেফতার
ট্রিপল মার্ডার মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতা ঢাকায় গ্রেফতার

৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বীরগঞ্জে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ
 নেতা রুমন গ্রেফতার
বীরগঞ্জে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ  নেতা রুমন গ্রেফতার

৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে’

৫ ঘন্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
‘৮৪০’ সিনেমা দেখে যা বললেন শামা ওবায়েদ
‘৮৪০’ সিনেমা দেখে যা বললেন শামা ওবায়েদ

৯ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়
১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়

১০ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

রক্তক্ষয়ী অবরোধ, মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে
রক্তক্ষয়ী অবরোধ, মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে

১৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া কি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া কি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?

৯ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কী উপকারী
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কী উপকারী

১২ ঘন্টা আগে | জীবন ধারা

ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা চালাচ্ছে
ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা চালাচ্ছে

১৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘বেশি দরদ লাগলে হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করুন’
‌‘বেশি দরদ লাগলে হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করুন’

৬ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেফতার
‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেফতার

১২ ঘন্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২২ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: গোলান মালভূমিতে কী করছে ইসরায়েল?
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: গোলান মালভূমিতে কী করছে ইসরায়েল?

১৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান
হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান

১০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আল্লু অর্জুন কেন গ্রেফতার হলেন, কী বলছে এফআইআর?
আল্লু অর্জুন কেন গ্রেফতার হলেন, কী বলছে এফআইআর?

১০ ঘন্টা আগে | শোবিজ

চেয়ারম্যান পদ থেকে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন
চেয়ারম্যান পদ থেকে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন

১৩ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার আমলে উত্তরবঙ্গের সাথে অবিচার হয়েছে : সারজিস
শেখ হাসিনার আমলে উত্তরবঙ্গের সাথে অবিচার হয়েছে : সারজিস

১১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই সহ্য করব না : অপর্ণা রায়
জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই সহ্য করব না : অপর্ণা রায়

৭ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

চলেই গেলেন ‘জলে আগুন জ্বালানো কবি’ হেলাল হাফিজ
চলেই গেলেন ‘জলে আগুন জ্বালানো কবি’ হেলাল হাফিজ

১০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে : জামায়াত আমির
নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে : জামায়াত আমির

১০ ঘন্টা আগে | চায়ের দেশ

শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা উপদেষ্টা আসিফের
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা উপদেষ্টা আসিফের

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

৫ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়

৬ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ফিরছেন অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ফিরছেন অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার

৮ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে জামিন পেলেন আল্লু অর্জুন, আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না
অবশেষে জামিন পেলেন আল্লু অর্জুন, আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না

৭ ঘন্টা আগে | শোবিজ

তিন জেলায় বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
তিন জেলায় বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

১০ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশালে উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশালে উদ্ধার

১৭ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

শীতকালে ইসলামের কিছু বিধানে শৈথিল্য
শীতকালে ইসলামের কিছু বিধানে শৈথিল্য

১৮ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম’
‘আমরা বোলিংয়ে আরও ভালো করতে পারতাম’

১৬ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাঁজা বৈধ করাকে ইতিহাসের বড় ভুল বললেন এলটন জন
গাঁজা বৈধ করাকে ইতিহাসের বড় ভুল বললেন এলটন জন

১০ ঘন্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মেলেনি জামিন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আল্লু অর্জুন
মেলেনি জামিন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আল্লু অর্জুন

৯ ঘন্টা আগে | শোবিজ

উমাইয়া মসজিদের হাজার বছরের ঐতিহ্য
উমাইয়া মসজিদের হাজার বছরের ঐতিহ্য

১৬ ঘন্টা আগে | ইসলামী জীবন

একদিনে ৩৯ জনকে ক্ষমা, ১৫০০ অপরাধীর সাজা কমালেন বাইডেন
একদিনে ৩৯ জনকে ক্ষমা, ১৫০০ অপরাধীর সাজা কমালেন বাইডেন

১৮ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
হাজার কোটির সম্পদ নিউইয়র্কে তিন বাড়ি
হাজার কোটির সম্পদ নিউইয়র্কে তিন বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ হচ্ছে সরাসরি জাহাজ চলাচল
বন্ধ হচ্ছে সরাসরি জাহাজ চলাচল

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন
আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতির গেম চেঞ্জার
অর্থনীতির গেম চেঞ্জার

প্রথম পৃষ্ঠা

বছরে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা
বছরে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গচ্চায় ৯৭৪ কোটি টাকা!
গচ্চায় ৯৭৪ কোটি টাকা!

প্রথম পৃষ্ঠা

বোলিং ত্রুটির জন্য নিষিদ্ধ করল ইসিবি
বোলিং ত্রুটির জন্য নিষিদ্ধ করল ইসিবি

মাঠে ময়দানে

নিন্দায় ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক
নিন্দায় ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ
নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মশা নিধনের ওষুধ সংকট
মশা নিধনের ওষুধ সংকট

নগর জীবন

জলে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেলেন হেলাল হাফিজ
জলে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেলেন হেলাল হাফিজ

প্রথম পৃষ্ঠা

মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত

নগর জীবন

নতুন উদ্যমে বিজয় দিবস পালনের আহ্বান
নতুন উদ্যমে বিজয় দিবস পালনের আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অবিচার হয়েছে
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অবিচার হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভবন নির্মাণের প্ল্যান নিয়ে ভোগান্তি
ভবন নির্মাণের প্ল্যান নিয়ে ভোগান্তি

নগর জীবন

চমক খুলনা জেলা বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস
চমক খুলনা জেলা বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস

নগর জীবন

চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকা
চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকা

শনিবারের সকাল

জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল উদ্দেশ্য
জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল উদ্দেশ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বহু মত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে
বহু মত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

লক্কড়ঝক্কড় বাস চলছেই
লক্কড়ঝক্কড় বাস চলছেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নোভা ম্যাজিকে ফর্টিসের জয়
নোভা ম্যাজিকে ফর্টিসের জয়

মাঠে ময়দানে

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ঘর দিল সেনাবাহিনী
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ঘর দিল সেনাবাহিনী

নগর জীবন

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বুদ্ধিজীবী হত্যার উপযুক্ত বিচার হয়নি
স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বুদ্ধিজীবী হত্যার উপযুক্ত বিচার হয়নি

নগর জীবন

বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেবে শাবিপ্রবি
বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা নেবে শাবিপ্রবি

নগর জীবন

বিএনপি এলে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে
বিএনপি এলে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে

নগর জীবন

মায়ের বিরুদ্ধে দুই বছরের ছেলেকে হত্যার অভিযোগ
মায়ের বিরুদ্ধে দুই বছরের ছেলেকে হত্যার অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্যারেজের আগুনে পুড়েছে ৩৪ যানবাহন
গ্যারেজের আগুনে পুড়েছে ৩৪ যানবাহন

নগর জীবন

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা