শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:৫৯, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ আপডেট: ১৪:০২, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

এক-এগারোর মতো টার্গেটে ব্যবসায়ীরা!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
এক-এগারোর মতো টার্গেটে ব্যবসায়ীরা!

আবারও ব্যবসা আক্রান্ত। চারদিকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-অনিশ্চয়তা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেওয়া ‘ট্রাভেল অ্যালার্টে’ আস্থা পাচ্ছেন না বিদেশিরা। বিনিয়োগ তলানিতে। কারখানায় পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা। জ্বালাও, পোড়াও, ভাঙচুর। কাঁচামাল আমদানিতে ধীরগতি। স্বাভাবিক উৎপাদনব্যবস্থা ব্যাহত। জ্বালানিসংকট। নতুন কাজের সুযোগ বাড়ছে না, বরং সংকুচিত হচ্ছে কাজের পরিবেশ। এ রকম হাজারো সমস্যা চেপে বসেছে ব্যবসা-বাণিজ্য-অর্থনীতির ঘাড়ে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়, একের পর এক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারাই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর ঘুরেফিরে আবারও তারাই টার্গেটে। 

এ রকম অনেক ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা তাদের উদ্বেগ-আতঙ্ক আর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, দেড় যুগ আগে এক-এগারো পটপরিবর্তনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ওপর যে জুলুম-অত্যাচার করা হয়েছিল, ওই ঘা এখনো শুকায়নি। ওই সময় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের ধরে আটকে রাখা, অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং ব্যাবসায়িক পরিবেশ বিপন্ন করে দেশের ঘাড়ে বেকারত্বের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। দেশের অর্থনীতি আবারও সেই পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে কি না, এ নিয়েই তারা এখন শঙ্কিত। এক-এগারোর পরিস্থিতির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি একই পন্থায় শিল্প খাতে অরাজক পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী শিল্পোদ্যোক্তাদের।

অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসে বড় বাঁকবদল ঘটে যায়। সে সময় দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। একই সঙ্গে বেছে বেছে শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তাদের হয়রানির মাধ্যমে দেশে ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট করায় অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। আবারও সেই একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটুক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবে ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিপুলসংখ্যক ব্যবসায়ীর নামে হত্যা মামলাসহ নানাবিধ হয়রানির কারণেই ওই আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছে বলে তাদের মত। দেশের এই ক্রান্তিকালে শিল্প খাতের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আরো জানা যায়, কোনো একটি স্বার্থান্বেষী চক্র জন-আকাঙ্ক্ষার অন্তর্বর্তী সরকারের কাউকে কাউকে ভুল বুঝিয়ে, এ সরকারকে বিতর্কিত করতে কিংবা পরিস্থিতি ঘোলা করতে ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রতিবন্ধকতার মুখে ফেলতে চাইছে। এরই মধ্যে এমন অনেক উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ী গ্রুপ নিত্যপণ্যের বেশির ভাগ আমদানি করে বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখছে, তাদের টার্গেট করা হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। শীর্ষ অনেক ব্যবসায়ীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের পুরো ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মাঝে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। 

ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও বড়দের হয়রানি দেখে যাতে ‘চুপ’ হয়ে যায় এ ধারণা কাজ করছে তাদের মধ্যে। এতে উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। তারা নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না। আমদানিতেও বাধা পাচ্ছেন। এতে অনেকের উৎপাদন সক্ষমতাও কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া চারদিকে কারো কারো মধ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতায়ও তারা ভীত। সবার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভীতি। বিনিয়োগ করে লোকসানের আতঙ্কে অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। সামনে কী হয়-না হয় তারা এমন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

জানা গেছে, ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২১৬ জন বড় শিল্পোদ্যোক্তা ও রাজনীতিককে কারাগারে আটক রাখা হয়। সে সময় ব্যবসায়ীদের জরিমানার নামে শুধু হয়রানি করাই হয়নি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। সরকারের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ভয়ে আরো প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে আদায় করা হয় এক হাজার ২৩২ কোটি টাকা।

এক-এগারোর পর ১৭ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাননি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। ১৭ বছর আগের ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেক ব্যবসায়ী। সেই সময় দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক ধাক্কা লেগেছিল তার প্রভাব কাটিয়ে উঠতেও লেগেছে দীর্ঘ সময়। 

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের উচিত ছিল অবৈধভাবে যেসব খলনায়ক দেশের ১৭ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন তাদের ফিরিয়ে আনা। তাদের বিচারের মুখোমুখি করে কঠিন শাস্তি দেওয়া। তারা আশঙ্কা করছেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা মিথ্যা মামলা, হয়রানিসহ নানা সংকটে নিপতিত হয়েছেন, তাতে তারা ওয়ান-ইলেভেন পরিস্থিতির মিল পাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও বিভিন্ন হুমকির কারণে বিনিয়োগ হুমকিতে পড়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এর সঙ্গে ডলার সংকট, এলসি জটিলতাসহ নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এক-এগারোর ধকল

ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারি দমন-পীড়নের কারণে বিনিয়োগে যে ভাটা পড়েছিল, তা এখনো নাজুক অবস্থায়ই রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ নেমে গিয়েছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। নতুন কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরে। উল্টো বন্ধ ও সংকুচিত হয়েছে অনেক শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ফলে বেকারত্বের হারও তখন ছিল সর্বোচ্চ।

১-১১-এর সরকারের আমলে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করে ওই গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কম্পানির ঊর্ধ্বতন ১৪ জন কর্মকর্তাকে ১-১১-এর সরকার একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ধরে নিয়ে তাদের ইন্টারোগেশন সেলে কথিত (আয়নাঘরে) এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত আটক রেখে নানাভাবে অবর্ণনীয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। অনেককে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে ১২ বছরের বেশি জেল খাটিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ পরিবারের অনেকের নামে ও গ্রুপের ১৪ জন কর্মকর্তার নামে প্রায় ৩৫টি মিথ্যা মামলা করা হয়। একইভাবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের সদস্যদের নামে প্রায় ১৫টি মিথ্যা মামলা হয়েছে। অনেককে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে ১২ বছরের বেশি জেল খাটিয়েছে।’

১-১১-এর সরকারের আমলে জুলুমের শিকার ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক ওই পরিচালকদের দিয়ে আমাদের গ্রুপের জমি বিক্রি করে ২৫৬ কোটি টাকা তৎকালীন একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নিয়ে যায়। আমাদের কম্পানির নামে থাকা একটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শেয়ার জোরপূর্বক অন্যের নামে লিখিয়ে নিয়ে যায়। পরে টাকা ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করলে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়, যা পরে আপিল বিভাগও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই টাকার একটি কানাকড়ি আজও ফেরত পায়নি।’

এক-এগারোর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা কারাগারে থাকায় তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধস নামতে থাকে। খেলাপি হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান। মাসের পর মাস বকেয়া পড়ে কর্মীদের বেতন। ওই অবস্থায় অনেকেই কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হন। আবার কোনো কোনো কর্মী স্বেচ্ছায় চাকরিতে ইস্তফা দেন। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ শতাংশেরও বেশি।’

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তখনকার এক গবেষণার তথ্য মতে, ‘ওই সময় চাল, আটা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নতুন করে দুই কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ শতাংশ।’

কেমন আছেন ব্যবসায়ীরা, কী বলছেন তারা

ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে নানা কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য যেভাবে স্থবির ছিল, নতুন সরকার আসার পর তাতে গতি ফিরবে। উল্টো শিল্প-কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, ব্যবসায়ীদের নামে হত্যা মামলা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এখন আশাহত। নতুন বিনিয়োগ দূরে থাক, তারা কারখানা চালিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছেন। সম্প্রতি একজন গার্মেন্ট উদ্যোক্তাকেও পিটিয়েছে একটি পক্ষ। এতে ১০টি ব্যাবসায়িক সমিতি উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। 

ডিসিসিআইয়ের ব্যাবসায়িক সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে। তারা বলছেন, উচ্চ সুদের হার, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ নানা কারণে দেশে বিনিয়োগে স্থবিরতা চলছে। এর ফলে তলানিতে এসে ঠেকেছে শিল্পোৎপাদন। এর নেতিবাচক প্রভাব সামনে পড়তে পারে ‘সাপ্লাই চেইনে’ এখন এ আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও মাল্টিমোড গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে যারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন, তারাই নিগৃহীত ছিলেন। বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে দরকার বিনিয়োগ, কিন্তু দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। বিনিয়োগকারীরা এখন চতুর্মুখী বিপদের সম্মুখীন। ব্যবসায়ীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ সরকারের নেওয়া উচিত ছিল।’

স্থানীয় শিল্পের বিকাশ ও টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. হুমায়রা ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি খাতে ব্যবসায়ীদের আস্থার পরিবেশ ফেরানো অত্যন্ত জরুরি। ক্ষতি পোষাতে ও পূনর্বিনিয়োগের জন্য ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেটা না হলে পণ্য সরবরাহ যেমন, ক্ষুদ্র তারকাঁটা থেকে খাদ্যসামগ্রী-সব কিছুতেই মারাত্মক সংকট দেখা দেবে। তার ভুক্তভোগী নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকল প্রকার ভোক্তাই হবেন।’

আইনজ্ঞরা বলছেন, বড় বড় ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা কেবল আইনের ব্যত্যয়ই নয়, দেশের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের পরিপন্থী।   শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সারা দেশে অনেকের নামে মামলা হয়। এতে এমন ব্যবসায়ীদেরও আসামি করা হচ্ছে, যাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ‘শিক্ষার্থী হত্যার দায়ে’ মামলা হয়েছে খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীনের বিরুদ্ধেও।

ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির তথ্য মতে, ৫ আগস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর থানাগুলোয় হত্যা মামলা হয়েছে ২৪৮টি।  অনুসন্ধান বলছে, মামলার বেশির ভাগ এজাহার একই ধরনের। এজাহারে থাকা ঠিকানার সূত্র ধরে আসামির খোঁজ করে জানা যায়, রাজনৈতিক পরিচয় না থাকা অভিযুক্ত ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একজন। 

বিটোপি গ্রুপের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম আজাদ জানান, ‘বিজিএমইএ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধেও এমন মামলা করা হয়েছে। অথচ যে অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে, সেই অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।’

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এ ধরনের মামলার কারণে কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়ছেন, মালিক না থাকায় তাদের প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।’

দেশের অন্যতম রপ্তানিনির্ভর গার্মেন্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান ফকির গ্রুপের এইচআর ও কমপ্ল্যায়েন্সের মহাব্যবস্থাপক সুমন কান্তি সিংহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমাদের গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, অথচ বিগত সরকারের আমলে তাদের  কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাই ছিল না। এই মামলার ফলে বিদেশি ক্রেতারা আমাদের সততা, নিষ্ঠা নিইয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এতে আমাদের কম্পানিসহ দেশেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘একটি সুকৌশলী কুচক্রী মহল সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই অশুভ গোষ্ঠীকে প্রতিহত ও পূর্ণশক্তি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।’

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী একটি চক্র অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারাই দেশের শিল্প-কারখানায় আক্রমণ করছে। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।’

১২৩২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত একটি গোয়েন্দা সংস্থা এবং টিএফআই কর্মকর্তারা প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক হাজার ২৩২ কোটি টাকা আদায় করেন। এই টাকা দুই শতাধিক পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ০৯০০ নম্বর হিসাবে জমা হয়। জুলুম করে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি উঠেছে ব্যবসায়ী মহলে।

বর্তমানে ওই টাকা কী অবস্থায় আছে- জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, টাকাগুলো কিভাবে আছে তা সরকার জানে। তবে চলতি হিসাবে টাকাগুলো জমা হওয়ায় এই টাকার কোনো সুদ হয়নি। টাকাগুলো সরকার ফেরত দেওয়ার চিন্তা করতে পারে বলে মত দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।

ব্যবসায়ীদের ৬১৫ কোটি টাকা ফেরতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় ২০১৭ সালের ১৫ মে প্রকাশিত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব ওয়েবসাইটে।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, কোন ক্ষমতাবলে এবং কিভাবে তারা টাকাগুলো উদ্ধার করে বা জোরপূর্বক নেয়, তা ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সরকার নীরব থেকেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তার প্রধান নির্বাহী এই অনৈতিক ও অমানবিক কাজকে সমর্থন করেছেন।

অর্থ ফেরতের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, ‘২০১৭ সালে আপিল বিভাগের রায়ের পর রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন) করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন পর্যন্ত সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীরাও আর টাকা ফেরত পাননি।’ কবে নাগাদ আবেদনটির শুনানি হতে পারে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘যেকোনো সময় শুনানি হতে পারে। আমরা শুনানি করতে প্রস্তুত আছি।’

ব্যবসা থেকে রাজনীতিকে আলাদা করার পরামর্শ

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের (পিইবি) চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আর রাজনীতি এই দুটি বিষয়কে আলাদা রাখতে হবে। কেউ অপরাধ করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু ব্যবসার সার্বিক পরিবেশে যেন বিরূপ প্রভাব না পড়ে- সে জন্য অবশ্যই ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকতে হবে। শুধু রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে যেন কাউকে ভোগান্তি না পোহাতে হয়।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, শুধু রাজনৈতিক সমর্থন ছিল, কিন্তু কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল না সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যাবে না। তাতে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উৎপাদন ব্যাহত হবে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আপনারা এমন সমাজব্যবস্থা করেন যেখানে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি না করলে ব্যবসা চালাতে পারবেন না, ব্যাংক থেকে ঋণ পাবেন না। রাজনীতিবিদরাই তো সমাজকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এখন সব দোষ ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের ওপর দিলে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না। আমার তো মনে হয় আরো বাড়বে।’

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘আমাদের ওয়ান-ইলেভেনের অভিজ্ঞতা ভালো না। সেই সময় ব্যবসায়ীদের জুলুম করে দেশের সংকট ত্বরান্বিত করা হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একই ভুল করবে না বলে আমি আশা করি।’

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ।
 
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই
সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
সর্বশেষ খবর
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?

২৫ সেকেন্ড আগে | নগর জীবন

রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে
রাঙামাটিতে কোটা–বিরোধী ঐক্যজোটের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার
মুন্সীগঞ্জে জোড়া খুনের আসামি জিয়া গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

৪৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
ভারতকে হারিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই
সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আজ ঢাকার কোথায় কোন কর্মসূচি?
আজ ঢাকার কোথায় কোন কর্মসূচি?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এএসআই আহত
পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এএসআই আহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা
বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

২১ ঘণ্টা আগে | টক শো

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে শর্ত শিথিল করতে বলেছি : আসিফ নজরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে