রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন শাপলা চত্বর স্মৃতি সংসদের সদস্যরা।
শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘শাপলা চত্বরে: শাহদতের রক্তে রাঙ্গা অবিনাশী চেতনা’ শীর্ষক কনফারেন্সে এ কথা বলেছেন বক্তারা।
শাপলা স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এ কনফারেন্সের দ্বিতীয় পর্বে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ওপর ‘শহীদ নামা গ্রন্থ’ নামক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হবে।
এ সময় বক্তারা বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে হলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের মামলা করতে হবে। আর সে মামলাগুলোর বিচার কাজ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো আলাদা করে বিচার কাজ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত এমন কিছুই করা হয়নি। আমরা জুলাইয়ের শহীদদের হত্যাকাণ্ডের বিচারের পাশাপাশি শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
তারা আক্ষেপ করে বলেন, এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার কোনো মহল বা আন্তর্জাতিক সংস্থা চায়নি। এমনকি কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি।
কনফারেন্সে বক্তারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। রাজনীতি ছাড়া এদেশে টিকে থাকার বিকল্প নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রাজনীতি না করলে ভবিষ্যতে আবারও গণহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আলেম সমাজের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, রাজনীতি না করলে এদেশে আবারো আমাদের গণহত্যার শিকার হতে হবে, অন্য কোনো শক্তির হাতে। দেশের মানুষ চায় আলেম সমাজ রাজনীতিতে জড়িত হোক। বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আলেম সমাজকেই নেতৃত্ব দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশিরউল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো দিদারুল আহমেদসহ শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত