কর পরিকাঠামো অপরিবর্তিত রেখেই ভারতের ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। গতবারের মতো এবারও ২.৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত বার্ষিক আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত থাকছে। বিনিয়োগ করলে ৪ লাখ ৪৪ হাজার রুপি পর্যন্ত আয়ে সম্পূর্ণ করমুক্ত রাখা হবে। যদিও ছাড় নেই ধনীদের ক্ষেত্রে। তাদের অতিরিক্ত কর দিতে হবে।
গতকাল সংসদে বাজেট-বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মানুষ চায় দুর্নীতি রাজ খতম হোক। এবারের বাজেটে নারী সুরক্ষার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। নারীদের সুরক্ষায় নির্ভয়া প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে অতিরিক্ত আরও ১ হাজার কোটি রুপি। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য রয়েছে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ।
বাজেটে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭২৭ কোটি রুপি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকদের জন্য ‘নয়া মনজিল’ প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরিসেবা কর ১২.৩৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু পরিসেবার জন্য আগের থেকে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। অর্থাৎ এবার থেকে প্রায় প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়ে যাবে। শিল্পপতিদের কথা মাথায় রেখে কর্পোরেট ট্যাক্স অবশ্য এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী চার বছরের জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স বর্তমানে ৩৩.৯৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন আইনে কালো রুপির দাপট রুখতে নগদ লেনদেনের ব্যবহার কমানোর প্রস্তাব থাকছে। একই সঙ্গে বিদেশে কালো রুপি রাখলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। কর ফাঁকি দিলে কড়া শাস্তির বিধান থাকছে। অর্থাৎ আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, আয়কর রিটার্নে বিদেশি সম্পত্তির পরিমাণও উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে। বাজেট পেশের পর প্রধানমন্ত্রী একে বাস্তবসম্মত, প্রগতিশীল বলে উল্লেখ করেছেন। লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ‘এই বাজেট পুঁজিবাদী ও কর্পোরেটদের অনূকুলে গেছে, এতে গরিবদের আদৌ কোনো সুরাহা হবে না।
এই বাজেটকে জনবিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও।