ভারতের আগরতলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া ১২টি রেল সংযোগ ফের চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আগরতলায় রোটারি ক্লাবের ‘সেতুবন্ধন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে একথা বলেন। আগরতলার রবীন্দ শতবার্ষিকী ভবনে উভয় দেশের রোটারি মাল্টি জেলার প্রায় ৮০০ প্রতিনিধি নিয়ে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। অনুষ্ঠানে মুজিবুল হক বলেন, ভারত ভাগের আগে যে রেল লাইনের অস্তিত্ব ছিল, আমরা সেগুলিকে পুনরায় চালু করতে চাই। এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা ১২টি রেলওয়ে সংযোগ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য দুই দেশের সরকারই একে অপরকে সহায়তা করছে।
প্রসঙ্গত, ভারত ভাগের আগে দুই দেশের মধ্যে যে ১২টি রেলওয়ে সংযোগ ছিল তার মধ্যে আখাউড়ার সঙ্গে রেল সংযোগ অন্যতম। সংযোগ চালুর জন্য আগরতলা-আখাউড়ার রেল লাইনের ভারতীয় অংশের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অংশেও কাজ শুরু হবে। এজন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার প্রকল্পের জন্য অর্থও পেয়েছে।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক আরও জানান, ভারতীয় অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও ভৈরব নদীর ওপর দ্বিতীয় রেলসেতু নির্মিত হয়েছে। এই সেতু আগামী কিছুদিনের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালু আছে। আগামী মাসে খুলনা থেকে কলকাতার মধ্যে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে আরও একটি ট্রেন চালু হবে। পাশাপাশি রাজশাহী-কলকাতার মধ্যে ট্রেন চালানোর ব্যাপারেও বাংলাদেশের তরফ থেকে প্রস্তাবনা রয়েছে।
