মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

খালেদার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাতিল করে বিএনপি নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়ছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আমার প্রশ্নটা ছিল বেগম জিয়ার মামলার রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে আগে বিএনপি কেন তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা তুলে নিল। যে ৭ ধারা ছিল দুর্নীতি, দেউলিয়াপনা, উন্মাদ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং আদালতে দণ্ডিত হওয়ার বিরুদ্ধে নৈতিকতার দিক থেকে রক্ষাকবজ। এ ধারা অনুযায়ী দুর্নীতি, দেউলিয়া বা দণ্ডিত ব্যক্তি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হতে পারবে না, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। দেশবাসীর প্রশ্ন, হঠাৎ করে নৈতিকতার রক্ষা কবজ কেন তুলে দেওয়া হলো? তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের ওপর নির্ভরশীল। মন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে সড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই ৭ ধারা বিএনপির গলার কাঁটা হয়ে যাবে। বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা তুলে দিয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়ছে। সরকারকে তাদের ফাঁদে ফেলতে হবে না। সংকট তারা নিজেরাই তৈরি করেছেন এবং সংকটের ফাঁদে তারাই পড়বেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ ধারা বাদ দিতে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরতে বিএনপি ওয়ার্কিং কমিটি কোনো মিটিংও করেনি। তাহলে কী তারা দুর্নীতি করার অবাধ লাইসেন্স দিয়ে দিল, উন্মাদ হওয়ার লাইসেন্স দিল, দেউলিয়া হওয়ার লাইসেন্স দিল এবং দণ্ডিত হলেও যা তা করা যাবে এরকম লাইসেন্স দিয়ে দিল? বিএনপির নেতা হলে নৈতিকতার কোনো সীমারেখা মানা যাবে না, কোনো সীমারেখার প্রয়োজন নেই? দুর্নীতিবাজ, উন্মাদ, দেউলিয়া বিএনপির নেতা হতে পারবে? নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারবে?

সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দলীয় পদে রাখতেই বিএনপি গঠনতন্ত্রে এই সংশোধনী এনেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের ওপর নির্ভরশীল।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রায় দিয়েছে আদালত, তারা (বিএনপি) আন্দোলন করছে সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে যুক্তিটা কোথায়? তার মানে তারা আদালতের সিদ্ধান্ত মানেন না, এ কথাটি প্রকাশ্যে বলে দিলেই হলো। তিনি বলেন, রায়ের সত্যায়িত কপির বিষয়ে আদালত বলতে পারে। কোনো কোনো পত্রিকায় এমন নিউজ আইটেম দেখেছি, তারাই (বিএনপি) নিয়ম অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত সময়ে কপি পাওয়ার জন্যে আবেদন করেনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। তারা যদি না আসে, কারও জন্য নির্বাচনের ট্রেন থেমে থাকবে না। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন যথারীতি চলবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উসকানি ছাড়াই বিএনপি নাশকতা চালিয়ে থাকে, এখন পারছে না সক্ষমতা নেই বলে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে তিনি গতকাল এ কথা বলেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ১১ মার্চ ভারত সফরে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর