নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি শেষ হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানিতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার পরিচালক হারুন অর রশীদ বলেন, গ্যাস আমদানি করতে হলে দাম বৃদ্ধি ছাড়া উপায় নেই। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত গণশুনানির গতকাল ছিল শেষ দিন। এদিন সকালে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এবং বিকালে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে গতকাল বিইআরসি কার্যালয়ের ভিতর যখন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সে সময় কার্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সদস্যরা দাম বৃদ্ধি না করার জন্য বিক্ষোভ করেন। এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা গ্যাসের দাম বৃদ্ধির শুনানি বন্ধের দাবি জানান। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়ে গণফোরাম ঘোষণা দিয়েছে দাম বৃদ্ধি করা হলে তারা আন্দোলনের মতো কর্মসূচি দেবে। গতকাল গণফোরামের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়। এর বাইরে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগের প্রতিবাদ জানান। তারা জানান, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ গণবিরোধী। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী গতকাল এক অনুষ্ঠানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান। তিনি জানান, এ বিষয়ে বিইআরসি আলোচনা করছে। বিভিন্ন কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। ভোক্তারাও তাদের মতামত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর পর্যালোচনা শেষে বিইআরসিকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।