গানের কথায় আছে আমার দোতরা কান্দেরে, আমার সারিন্দা কান্দেরে’ আবার প্রচলিত প্রবাদও রয়েছে ‘আমি বলি কি আমার সারিন্দা বলে কি’। সারিন্দা একটি লোকজ ও দেশীয় বাদ্যযন্ত্র। এদেশে সারিন্দার প্রবর্তক আবদুল হালিম বয়াতি। তার হাত ধরেই আবহমান বাংলার সংস্কৃতিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সারিন্দা। এই বাদ্যযন্ত্রের প্রবর্তক ১৯৫৭ সালে রেডিওর প্রথম লাইভ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো সারিন্দা বাজিয়ে শ্রোতাদের বিমোহিত করেন। গুণী বয়াতি ও গীতিকার আবদুল হালিম বয়াতিকে ৯০তম জন্মবার্ষিকীতে কথামালা ও গানে গানে স্মরণ করেছে তারই শিষ্যরা। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন। শুরুতেই সারিন্দা বাজিয়ে শোনান আবদুল হালিম বয়াতি সংগীত একাডেমির শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশিকুর রহমান গেয়ে শোনান ‘আমি এই দেখিলাম সোনার ছবি, হালিমা পারভীন পরিবেশন করেন ‘মজনুর মতো প্রেমিক হলে’ ও ‘প্রাণের প্রিয়তমকে দেখি নাচে তালে তালে, লাল মিয়া বয়াতির কণ্ঠে গীত মুর্শিদ রূপে সাঁই বিরাজ করতেছে, অনিমা মুক্তি গোমেজ শোনান ভালোবেসে কী ফল হবে চোখে না দেখিলে, মাহফুজা মান্না মনি পরিবেশন করেন আমাকে আপন করে লও ইত্যাদি। একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, খগেন্দ্র নাথ সরকার, দেলোয়ার হোসেন বয়াতি, দুলাল বয়াতি প্রমুখ। এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হালিম বয়াতির জীবন ও কর্ম নিয়ে বক্তৃতা করেন কবি কাজী রোজী, গবেষক শফিকুর রহমান, গীতিকার হাসান মতিউর রহমান প্রমুখ।