তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ যেমন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে তেমনি ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত ও কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ অর্জন সম্ভব। ভারতীয় হাইকমিশন ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইওসেফ ইসা আল দুলাইহান, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ এবং বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
ড. হাছান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর মধ্যে যেখানে পৃথিবীর মাত্র হাতে গোনা কটি দেশ ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে তৃতীয়।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা সক্ষমতায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ও বিশ্বে ২০তম।বিশ্বে জনপ্রতি সর্বনিম্ন জমির দেশ বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে, স্মরণ করিয়ে দেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ সময় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের জনগণ, যুদ্ধে প্রাণদানকারী সেনা সদস্য ও সরকারের অবদানকে চিরঞ্জীব বলে বর্ণনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতা দিয়েছেন, বলেন তিনি।
প্রখ্যাত অভিনেত্রী আফসানা মিমির পরিচালনায় বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের পরিবেশনাগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করে।