রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
আড়াই ঘণ্টা পুলিশ আটকে রাখার পর মুক্ত এমপি রুমিন ফারহানা

১৪৪ ধারা দিয়ে আর লাভ হবে না : খসরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট চুরির প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এখন আর কোথাও ১৪৪ ধারা দিয়ে লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য জায়গার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও ধারাতে কোনো কাজ হয়নি। জোয়ার শুরু হলে বাধা দিয়ে রাখা যায় না। গতকাল বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, এ কে একরামুজ্জামান সুখন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের টোলপ্লাজা এলাকায় রুমিন ফারহানার গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। এরপর গাড়িসহ তাঁকে আশুগঞ্জের উজান ভাটি হোটেলে নিয়ে যায়। জেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে রুমিন ফারহানা দুই দফা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে মুক্ত হয়ে অবশেষে সমাবেশে গিয়ে যোগ দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই স্থানে জেলা বিএনপি ও জেলা ছাত্রলীগ সমাবেশ ডাকায় আগের দিন পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পরে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পাশের একটি স্থানে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খ  খ  মিছিল নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে সমাবেশে যোগ দেন নেতা-কর্মীরা। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে রুমিন ফারহানা অভিযোগ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে ভৈরব টোলপ্লাজায় তাঁকে ১ ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। অনেক কথা-কাটাকাটির পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু দিয়ে তিনি আশুগঞ্জ উপজেলার দিকে রওনা হন। পরে আশুগঞ্জে সেতুর ওপরই পুলিশ তাঁকে আবারও আটক করে। মূলতঃ পুলিশ তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে দিচ্ছিল না।

সাতক্ষীরায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : ২২ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিএনপির জনসভা সফল করার লক্ষ্যে জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর ১২টায় তুফান কনভেনশন সেন্টারে প্রস্তুতি সভার শুরুতেই দলের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর অতর্কিত হামলায় সভাস্থলে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে দুই নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক সভা শেষ করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

 

সর্বশেষ খবর