পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার ভূমির অবক্ষয় রোধে ব্যাপক হারে বনায়ন করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভূমি অবক্ষয় রোধ এবং খরা প্রশমন করে একটি ভূমি অবক্ষয়-নিরপেক্ষ দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। গতকাল পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত ‘বিশ্ব মরুময়তা ও খরা প্রতিরোধ দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষে সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর ডক্টর আবদুুল হামিদ, পরিবেশ অধিদফতরের ঢাকা গবেষণাগারের পরিচালক ড. মু. সোহরাব আলী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমীর জাহিদ এবং বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুুল লতিফ।
সেমিনারে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বন উজাড় রোধ, বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার, নতুন বন সৃষ্টি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ভূমির ক্ষয়রোধ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। জনগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করলে এ কাজে সফল হবে বাংলাদেশ। দেশের উত্তর অঞ্চলের কিছু এলাকায় মরুকরণের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই ভূমিক্ষয় রোধে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে এর মোকাবিলায় সবাইকে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘ মরুময়তা রোধ কনভেনশন নির্ধারিত এবারের দিবসের প্রতিপাদ্যের আলোকে মরুকরণ ও খরার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করলে ইতিবাচক ফল পাওয়া বলে আমার বিশ্বাস। জাতিকে রক্ষা করে উন্নয়ন করতে হবে। সব ধরনের দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সবকিছু করা হবে।