শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্রহ্মপুত্রের বালুর অফুরন্ত খনিজ আহরণে চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নদীবক্ষের বালুতে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান খনিজ পদার্থ রয়েছে এটা অনেক আগেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। এবার সেই সব পদার্থ আহরণের পথ খুলল। মূল্যবান এসব খনিজসম্পদ আহরণে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ-বিসিএসআইআর এবং অস্ট্রেলিয়ার এভারলাস্ট মিনারেলস লিমিটেড-ইএমএলের মধ্যে এই চুক্তি হয়। এতে স্বাক্ষর করেন ইএমএলের চেয়ারম্যান পল টিয়ান ও বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএমএমের পরিচালক ড. নাজিম-জামান। চুক্তির আওতায় ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় ভারী খনিজ যেমন- জিরকন, রুটাইল, ইলমিনাইট, মোনাজাইট, ম্যাহনেটাইট, গারনেট, কায়ানাইট, লিওকক্সিন ইত্যাদির অনুসন্ধান, আবিষ্কার, উত্তোলন পদ্ধতি, গুণগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করবে।    ব্রহ্মপুত্র নদের বালুতে ‘ইলমিনাইট, রুটাইল, জিরকন, গারেনট ও মোনাজাইট মিনারেল চিহ্নিত করে পৃথকীকরণ করা হয়েছে।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ব্রহ্মপুত্রের বালুতে ওইসব ভারী খনিজের পরিমাণ প্রায় এক দশমিক পাঁচ যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ব্রহ্মপুত্রের প্রতি টন বালু (প্রায় এক ঘনমিটার) হতে ২ কেজি ইলমিনাইট, ০.৪ কেজি জিরকন ০.৪ কেজি রুটাইল, তিন থেকে চার কেজি ম্যাগনেটাইট, পাঁচ থেকে ১৫ কেজি গারনেট এবং ৫০ থেকে ১০০ কেজি হালকা বোয়ার্টজ পাওয়া যায়।

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী এলাকার ব্রহ্মপুত্রের বালুচরে এক মিটার গভীরতায় এক বর্গকিলোমিটার অর্থাৎ ১০ লাখ ঘনমিটার বালু প্রক্রিয়া করে ২,০০০ টন ইলমিনাইট, ৪০০ টন রুটাইল, ৬০০ টন জিরকন, ৩,৫০০-৪০০০ টন ম্যাগনেটাইট, ৫০০০-১৫,০০০ টন গারেনট ও ৫০,০০০ টন কোয়ার্টজ মিনারেল পৃথক করা যাবে। এই পরিমাণ মিনারেলের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর