রাজধানীতে আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে বিএনপি সমর্থক দুই ব্যবসায়ী ও কয়েকজন নেতাকে আটকের অভিযোগ এনেছে দলটি। গতকাল দুপুর দেড়টায় রাজধানীর গুলশান ক্লাবের সামনে থেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে তুলে নেয় চৈতি গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী আবুল কালামকে। তিনি বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবুল কালামকে ডিবি অফিস থেকে ফোনে সেখানে যেতে বলা হয়েছিল। তিনি গুলশান ক্লাবে খাবার খেয়ে ডিবি অফিসের দিকে রওনা হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই গুলশান ক্লাবের সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়। বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আবুল কালামকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আবুল কালামকে আটক করিনি। এ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না।
অন্যদিকে স্কাইল্যাব গ্রুপের এমডি কাওসার জামান বাপ্পীকেও তার গুলশানের অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই মনি। বাপ্পী কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য।
মনি বলেন, অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাকে ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডিবি অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বাপ্পীকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেনকে কুড়িল সংলগ্ন ৩০০ ফুট রাস্তা থেকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন এবং সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের গাড়ি আটক করেছিল পুলিশ। অনেক সময় হয়রানির পর গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান ও খায়রুল কবির খোকনের গাড়িসহ তাদের চালককে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল ভোর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগের দিন গ্রেফতার করা হয় ৪৭২ জনকে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র বলছে, গতকাল ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, মামলার আসামি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। কোনোভাবেই রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
