শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
পৌর হাটবাজার ইজারা

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সামনেই দরপত্র ছিনতাই

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া পৌরসভা ভবনে গতকাল দুপুরে পুলিশের সামনেই টেন্ডার ছিনতাই করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তারা ঠিকাদারসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা টেন্ডার গ্রহণ প্রক্রিয়া বাতিল করে ফের টেন্ডার ডাকতে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা জানান, ২৫ জানুয়ারি কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলির ১০টি হাটবাজার এক বছর মেয়াদি টোল আদায়ের জন্য ইজারার দরপত্র ডাকা হয়েছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি করা হয় এবং গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত শিডিউল জমা প্রদানের সময় নির্দিষ্ট করা হয়। কিন্তু সকাল থেকেই নিচতলা ও দোতলায় টেন্ডারবক্সের আশপাশে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা অবস্থান নেন। এ সময় শিডিউল দাখিল করতে গেলে শিডিউল হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ঠিকাদার জানান, কুষ্টিয়া মেয়র অফিসের সামনে টেন্ডারবক্সে শিডিউল ফেলতে গেলে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকীর নেতৃত্বে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফিল উদ্দিন, শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব কোরাইশী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খন্দকার, জুয়েলসহ ২০-২৫ জন পুলিশের সামনে তার হাত থেকে সবকটি শিডিউল ছিনিয়ে নেন এবং পে-অর্ডারসহ সমস্ত শিডিউল ছিঁড়ে ফেলেন।

শুধু ইব্রাহিম হোসেনই নন, ক্যাডাররা শিডিউল ফেলতে যাওয়া আরও কয়েকজনকেও মারধর করে। তাদের বাধার কারণে অনেকেই সেখানে শিডিউল ফেলতে পারেননি। ইব্রাহিম জানান, তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসিব কোরাইশী বলেন, দরপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি কাউকে বাধা দেননি। তিনি তার দরপত্র জমা দিতে সেখানে গিয়েছিলেন।

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পুলিশের সামনে টেন্ডার ছিনতাই সত্যিই দুঃখজনক। কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ইতিহাসে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়া ও ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, অভিযোগ পেলে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর