মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে আবারও বেনাপোলে ধরা পড়ল সোনার বড় ধরনের চালান। এবার কাস্টমস গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়লেন তিন সোনা পাচারকারী। পায়ুপথের মাধ্যমে পাচারকারীরা ২০ পিস সোনার বার ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে বেনাপোল কাস্টমসসূত্রে জানা যায়। আটক সোনার বারের ওজন ২ কেজি ৩২০ গ্রাম; যার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বেনাপোল কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দার উপপরিচালক শায়েখ আরেফিন জাহেদী তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গতকাল সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে তিন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করেন। এ সময় তাদের চলাফেরা ও গতিবিধি সন্দেহ হলে কাস্টমস গোয়েন্দারা তল্লাশি কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবদুর রহিমের উপস্থিতিতে তল্লাশির একপর্যায়ে পাসপোর্ট যাত্রীরা পায়ুপথে লুকানো ২০ পিস সোনার বার বের করে দেন। আটক তিনজন হলেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার লোহাচূড়া গ্রামের আমজেদ মোল্লার ছেলে রনি আহম্মেদ, শহীদ মোল্লার ছেলে মহিউদ্দিন এবং ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বানেসর্দি গ্রামের মোশারফ মিয়ার ছেলে হাবিব। তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর এবং উদ্ধার সোনা কাস্টম হাউজের শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান। উল্লেখ্য, ২৬ মে বেনাপোলের খলসী এলাকা থেকে বিজিবি ১৭ পিস সোনার বারসহ এক পাচারকারীকে আটক এবং ২৫ মে মালিকবিহীন ২০টি সোনার বার গোগা সীমান্ত থেকে জব্দ করে।