গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত সবার লাশ ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নিহতদের স্বজনরা লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন। চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে চাইলেও তারা দেননি। তবে কয়েকটি লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যেসব লাশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি, প্রয়োজনে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন মারা গেছেন। এর মধ্যে ঢাকায় যিনি মারা গেছেন, তার ময়নাতদন্ত চলছে। অনেক সাংবাদিক জীবন বাজি রেখে গোপালগঞ্জের ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করেছেন। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এর ফলে সাধারণ মানুষ ঘটনাটি দেখতে পেরেছে, সঠিক তথ্য পেয়েছে।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে প্রথমে চারজন, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
সহিংসতায় নিহত সবার লাশ ময়নাতদন্ত না করেই দাফন করা হলে তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা; উদ্বেগ জানায় মানবাধিকার কর্মীরা। বিষয়টি নিয়েই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কথা বলেন।