শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৪৫, শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৩)

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান (পর্ব-৩)

ইউরোপীয়দের কাছে ‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা একজন শাসক ছিলেন। বাবা প্রথম সেলিমের উত্তরাধিকারী হিসেবে সিংহাসনে আরোহণের আগে মানিসাসহ তিনি রাজ্যের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপরই অটোমান সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত ক্ষমতা তোপকাপি প্রাসাদের হাতছানি। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, ভাই-সন্তান হত্যা, দাসপ্রথা আর হারেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। বিশ্বজুড়ে এ এক বিরল কাহিনী। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলতান সুলেমান বিষয়ে জানতে চেয়েছেন অনেকেই। সেজন্যই ইতিহাসআশ্রয়ী এ উপন্যাস ছাপানো শুরু হয়েছে। টিভি সিরিজের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই তেমনি, এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কেবল মূল গল্পটি তুলে ধরছি। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো তৃতীয় পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

অন্ধভাবে ভাগ্যে বিশ্বাসীদের দলে নন যুবরাজ সুলেমান। তার বিশ্বাস কর্মে। তিনি মনে করেন একজন মানুষের কর্মই নিশ্চিত করে তার গন্তব্য। তবে এটাও বিশ্বাস করেন যে সৃষ্টিকর্তার পূর্বনির্ধারিত কিছু বিষয় থাকে, যা কেউ খণ্ডাতে পারে না। যেমন সুলতান সেলিমের সন্তান না হলে সুলেমান হয়তো কোনোমতেই অটোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী বিবেচিত হতেন না। এটাকে ভাগ্যের খেল বলা চলে। আর বাকি সবটুকুই কর্মফল।

গণকের কাছ থেকে ‘দশ’ সংখ্যার মাহাত্ম্য আর এ শতকের দেবদূত হওয়ার কথাগুলো সুলেমানের মনে ভালোই দাগ কেটেছে। অথচ তা হওয়ার কথা ছিল না। আসলে সুলেমানের মনের ভিতর একটা স্বাপ্নিক মানুষ বসবাস করে। সেই ভিতরের মানুষের স্বপ্নের সঙ্গে গণকের কথার দারুণ মিল! পারগালি ইব্রাহীম ‘ইনশাআল্লাহ’, ‘মাশাআল্লাহ’ বলে বাহবা দিলেও গণকের কথায় কোনো মন্তব্য করেননি যুবরাজ। তবে মনে মনে একটা শব্দ জমেছেন তিনি— ‘আমিন! আমিন!’

গণক জরিয়ম জাবেরকে স্বর্ণমুদ্রাসহ নানা উপহারে ভূষিত করার নির্দেশ দিলেন যুবরাজ। বিনীতভাবে সুলেমানের উপহার গ্রহণ করলেন জরিয়ম জাবের। এরপর সভা শেষ করে ইব্রাহীমকে নিয়ে ব্যক্তিগত কামরার দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।

মানিসার এই প্রাসাদটির একাধিক সংস্কার কাজ হয়েছে। এরপরও দারুণ ঝকঝকে তকতকে। সুলেমান মানিসাসহ কাফফা ও এড্রিয়ানোপলের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তার প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু মানিসার এই বিশাল প্রাসাদটিই। মায়ের সঙ্গে সতের বছর বয়সে প্রথম প্রশাসক হিসেবে এখানে আসেন তরুণ যুবরাজ। সেই থেকে এটিই তার ঠিকানা। অবশ্য সুলেমানই প্রথম নন। অটোমান সাম্রাজ্যের নিয়মানুসারে ভবিষ্যৎ সুলতানদের নানা নিয়ম-নীতি ও প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে তরুণ থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রদেশের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করা। এখান থেকেই শাহজাদারা রাজ্য পরিচালনা, আইন-কানুনসহ নানা বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। মানিসায় এর আগেও আরও কয়েকজন অটোমান বংশের শাহজাদারা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। অটোমান সাম্রাজ্যে তাই মানিসার এই প্রাসাদের গুরুত্ব অন্যান্য এলাকার চেয়ে একটু আলাদা।

মানিসার রাজপ্রাসাদটিকে মোটামুটি দৃষ্টিনন্দন বলা চলে। মূল ভবনটি দোতলা। খানিক আগে সুলেমান যেখানে সভার কাজ চালাচ্ছিলেন, সেটি ভবনের নিচতলা। এখানেই রাজদূত, অতিথি সম্ভাষণ আর সাধারণ রাজকার্য পরিচালনা করেন সুলেমান। এর পাশেই ভবনের রক্ষী, দাস-দাসীদের থাকার জায়গা। পশ্চিম দিকে হেঁশেল আর দক্ষিণে বিশাল হাম্মামখানা। আর মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় ফুলের বাগান। এই ভবন থেকে মাত্র পঞ্চাশ-ষাট ফুট দূরেই আরেকটি ভবন। এই ভবনটিকে একটা ছোটখাটো দুর্গও বলা চলে। মানিসার হাজার পাঁচেক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য একটি ছোট্ট সেনাবাহিনী ভবন আছে। এই ভবনটি তাদেরই আবাসস্থল। সুলেমানের তিনটি রাজ্যেই আলাদা আলাদা সেনাবাহিনী আছে। রয়েছে এদের সমন্বয়ের ব্যবস্থাও। প্রশাসকের হয়ে এই কাজটি করেন পারগালি ইব্রাহীম ও তার সঙ্গীরা। মানিসার প্রাসাদের কাছাকাছি এ ভবনের পাশে একটা খোলা জায়গা আছে। এখানেই সব সেনাসদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সুলেমানের থাকার জায়গা হচ্ছে মূল ভবনের দোতলায়। দোতলার ঠিক মাঝামাঝি সিঁড়ির গোড়ায় আরেকটি বৈঠকখানা আছে। এর ঠিক ডানেই হারেম বা সোরাগ্লিও এলাকা। যেখানে সাধারণ পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ। এরই একপাশে সুলেমানের প্রিয় স্ত্রী মাহিদেভরান ও মুস্তফা থাকেন। আরেক পাশে কঙ্কুবাইন ও দাসীদের বসবাস। আর বাম দিকে সুলেমানের খাস কামরা। এখানে একদিকে যেমন প্রশাসনিক কাজ সারা হয়, তেমনি বিশ্রামও নিয়ে থাকেন সুলেমান। ইব্রাহীমকে সঙ্গে নিয়ে খাস কামরার দিকেই এগোচ্ছিলেন সুলেমান। তার কাঁধে হাত রেখে বললেন—

‘আব্বার এই বিজয়ে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেলাম। এবার পালা হাঙ্গেরির। তাই না?’

‘জি, যুবরাজ। আলবত।’

যুবরাজের পেছন পেছন হাঁটতে হাঁটতে মাথা ঝাঁকালেন পারগালি ইব্রাহীম।

‘এই বিজয় আমাদের উদযাপন করা উচিত। সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা উচিত।’

‘জি হুজুর। আপনি ঠিক বলেছেন। মহান সুলতান সেলিমের মিসর জয় আমাদের জন্য অনেক গৌরবের।’

‘তাহলে সব ব্যবস্থা করে ফেল। প্রজাদের জানিয়ে দাও। আর আমি অতি দ্রুত কনস্টান্টিনোপলের দিকে যেতে চাই। আব্বার সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা কর।’

‘জি হুজুর।’

বলেই মাথা ঝুঁকিয়ে খাস কামরা থেকে বেরিয়ে গেলেন ইব্রাহীম। সুলেমান তখন খাস কামরায় নিজের চেয়ারে গিয়ে বসলেন। মাথা থেকে পাগড়িটা খুলে রেখে দিলেন টেবিলের ওপর। এরপর কিছুক্ষণ মাথায় হাত রেখে আপনমনে কী যেন ভাবলেন। ভাবতে ভাবতেই কলমের নিবে কালি মাখিয়ে নিয়ে লিখতে লাগলেন—

     ‘আঁধারের নীল ছুঁয়ে ছুঁয়ে

     সাগরের ঢেউ বয়ে বয়ে

     বাতাসের বাঁক ধরে ধরে

     সুগন্ধির ঘ্রাণ জুড়ে জুড়ে

     মুহিব বের মন যে কোথায় হারায়

     কোন অদূরের কোন সীমানায়!’

অনেকেই জানে না সুলেমান কবিতা লিখতে ভীষণ ভালোবাসেন। তবে নিজের নামে নয়, ছদ্মনামে। মুহিব বে। এটাই সুলেমানের ছদ্মনাম। ইব্রাহীমসহ হাতে গোনা কয়েকজন লোকের জানা। উড়ু উড়ু মনে প্রশান্তির আবেশ নিয়ে আসতে সুলেমানের এই লেখালেখির টনিকটা বেশ কাজে দেয়।

আয়শা হাফসা সুলতানের কক্ষে দারুণ ভিড় পড়ে গেছে। সবার ভিড়ে স্বয়ং সুলতান প্রথম সেলিমও আছেন। তাকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছে। গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আয়শা হাফসা সুলতান। দুই দিনের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন হেকিম হালিমের নেসা। পাশেই দাঁড়িয়ে আয়শা হাফসা সুলতানের ব্যক্তিগত সহকারী মনজিলা। হেকিমের দিকে প্রশ্নাতুর দৃষ্টিতে

তাকিয়ে সুলতান। পরীক্ষা শেষ হতেই সুলতানের দিকে তাকিয়ে তাকে অভিবাদন জানালেন হেকিম।

‘জাঁহাপনা, সুলতানা এখন ঠিক আছেন। নির্ঘুম রাত কাটানো আর দুশ্চিন্তা থেকেই এমন হয়েছে। তবে দুয়েকদিন বিশ্রাম নিতে হবে।’

একটা ওষুধের কৌটা মনজিলার হাতে ধরিয়ে দিয়ে হেকিম বললেন—

‘এ ওষুধটা খাইয়ে দিন। সুলতানার জ্বর নেমে যাবে।’

বিছানায় তন্দ্রাচ্ছন্ন আয়শা হাফসা সুলতান। তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। ঘুমের ঘোরেই ‘সুলেমান’ ‘সুলেমান’ বলে কাতরাচ্ছেন তিনি।

তখনই স্ত্রীর দিকে এগিয়ে গেলেন প্রথম সেলিম। বসলেন শিয়রের পাশে। করুণ চোখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন আয়শার দিকে। আয়শা তখনো সুলেমানের নাম নিতে নিতে কাতরাচ্ছেন। এবার মনজিলার দিকে প্রশ্নাতুর দৃষ্টি সুলতান সেলিমের।

‘জাঁহাপনা, এর মাধ্যমেই হাকিম সুবিরকে মানিসায় পাঠানো হয়েছে। তিনি যুবরাজের কাছে খবর নিয়ে গেছেন। যুবরাজকে সঙ্গে নিয়েই তার ফেরার কথা।’

মনজিলার জবাবে স্বস্তি ফিরল সেলিমের মনে। আরও কিছুক্ষণ স্ত্রীর শিয়রের পাশে বসেই কাটিয়ে দিলেন তিনি।

এরপর সোজা দরবারের পাশের কক্ষে। সেখানে তার জন্য আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের প্রধান উজির পীরে মেহমুদ পাশা। সুলতান কক্ষে প্রবেশ করতেই তাকে অভিবাদন জানালেন তিনি।

‘জাঁহাপনা, রিদানিয়ার যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর চারদিক থেকে অনেক শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে। সুলতানা নাকি বলেছেন এ বিজয় যেন ধুমধামের সঙ্গে উদযাপন করা হয়। আপনার আসার অপেক্ষায় ছিল সবাই। আপনি অনুমতি দিলেই আমরা উৎসবের ব্যবস্থা করতে পারি।’

জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ নীরব কাটালেন প্রথম সেলিম। হাতের তিনটি ধাতুর আংটি নাড়াচাড়া করতে করতে একবার তাকালেন মেহমুদ পাশার দিকে।

পীরে মেহমুদ পাশা ভয় পেয়ে গেলেন। ভয় না পেয়ে উপায় আছে? সেলিমের মেজাজ-মর্জি বুঝতে পারে এমন মানুষ গোটা পৃথিবীতেই হয়তো নেই। সুলতান সেলিমের উজির হওয়ার চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আর কিছুই হতে পারে না। সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ছোট্ট ছোট্ট কারণে ছয়জন উজিরের প্রাণ গেছে সুলতানের নির্দেশে। সারোরাজ পাশার কথাতো কেউ ভুলবে না। সেলিমের খুব কাছের মানুষ ছিলেন উজির সারোরাজ পাশা। একবার কী এক কাজে সুলতানের কাছে আরও কিছু সময় চেয়েছিলেন সারোরাজ। বলেছিলেন এতে করে তার ওপর অর্পিত কাজগুলো তিনি সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবেন। কিন্তু সুলতান রেগে গেলেন। খানিক চুপ থেকে এরপর বললেন তিনি আসলে আরও আগে থেকেই সারোরাজকে ফাঁসিতে ঝোলানোর চিন্তা করে রেখেছেন। কিন্তু তার জায়গায় বসানোর মতো উপযুক্ত কাউকে পাননি বলে তাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে পারেননি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো এই ঘটনার মাত্র তিন দিন পরে কী এক ঠুনকো কারণে সুলতানের নির্দেশে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় সারোরাজ পাশাকে। এ কারণেই অটোমানরা একজন আরেকজনকে অভিশাপ দেন এই বলে যে ‘তুমি যেন সেলিমের উজির হও।’ মানে হলো এই পদে আসা মানে মৃত্যু নিশ্চিত। তাই এই পদে আসার আগে সবাই মৃত্যুবরণের প্রস্তুতি নিয়েই আসেন। তাই বলে মৃত্যুভয় থাকবে না তা কি হয়? মেহমুদ পাশাও তাই খানিকটা বিচলিত।

‘মেহমুদ পাশা, আমার মনে হয় আপনার চোখ-কান-বিচার-বুদ্ধির জানালা বন্ধ হয়ে গেছে।’

বলেই একটু থামলেন সুলতান। তর্জনীর আংটিটা হাত থেকে খুলে আবার হাতে পুরে নিলেন। বিচলিত এবং বিভ্রান্ত দেখাল মেহমুদ পাশাকে। ভয়ে চোখ ছলছল করছে তার। যেন আরেকটু হলেই কেঁদে ফেলবেন।

সুলতান সেলিম টুক করে এদিকে একবার তাকালেন। মেহমুদ পাশার ভয় পাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারলেন তিনি।

‘আপনার জানা উচিত সুলতানা এখন অসুস্থ। তাছাড়া আমিতো আগেই বলে রেখেছি হাঙ্গেরি বিজয়ের আগে আমি কোনো উৎসব চাই না। হাঙ্গেরির বুকে অটোমানদের পতাকা উড়িয়ে উচিত শিক্ষা দিতে চাই ওই শয়তানদের। বুঝতে পেরেছেন?’

সুলতানের শীতল দৃষ্টি পীরে মেহমুদ পাশার দিকে।

‘জি জাঁহাপনা। আমাকে ক্ষমা করবেন। বিষয়টি আগেই বুঝে ফেলা উচিত ছিল আমার।’

‘হুমম। ভেনেসীয় দূত রেডক্লিফকে খবর পাঠান। আমি তার সঙ্গে কথা বলতে চাই। হাঙ্গেরি অভিযান নিয়ে আগামীকালই বসব সবার সঙ্গে। ত্বরিত ব্যবস্থা নিন।’

‘জি জাঁহাপনা।’

‘হুমম।’

বলেই হাতে ইশারা করলেন সুলতান সেলিম। ইশারা বুঝতে পেরে কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেন পীরে মেহমুদ পাশা। সুলতানের সামনে থেকে প্রাণ নিয়ে বেরিয়ে যেতে পেরে তাকে খুব খুশি মনে হলো। সত্যি, আরেকটু হলে প্রাণটাই বেরিয়ে যেত!

রাত নেমে গেছে। চাঁদে ভরা রাত। পাশেই বিস্তীর্ণ সমুদ্র। রুপালি চাঁদের সাদাটে আলোয় চিকচিক করছে সাগরের অন্তহীন জলরাশি। সুনসান নীরবতায় দূরে কোথাও কিছু একটার শব্দ কানে আসে। সেই শব্দ ছাপিয়ে গগনবিদারী ঘোড়ার খুরের শব্দ প্রকট হয়ে ওঠে। ঘোড়ার সওয়ারি যুবরাজ সুলেমান ও তার সঙ্গীরা। এই মুহূর্তে সমুদ্রের পাশ ঘেঁষে হালকা জঙ্গল পেরিয়ে যাচ্ছেন তারা। মাইলখানেক দূরে একটা পাহাড়ি অন্তরীপ। বেশ কতগুলো পাহাড় সারিবদ্ধভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। এই পাহাড়ের সারি পেরিয়ে যেতে পারলেই দেখা মিলবে জনবসতির। মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে বসে থাকেননি যুবরাজ সুলেমান। রওনা করেছেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। মাহিদেভরানও আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুলেমান রাজি হননি। তাকে নিয়ে এরকম করে ঘোড়ায় চেপে আসা যেত না। তাছাড়া মোস্তফা আছে। ঘোড়ার রথে এলে সময় পেরিয়ে যাবে অনেক। তাই ইব্রাহীমসহ আরও কয়েকজনকে নিয়েই রওনা হয়ে গেছেন সুলেমান।

ঘাস বিছানো বন-বাদাড়ি পথ পেরিয়ে শুকনো জমির ওপর সুলেমানের দল। সামনেই পাহাড়ের সারি যেন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খোশগল্পে মত্ত। রুপালি চাঁদের আলোর সঙ্গে অন্ধকারের কালো মিশে এক অদ্ভুত আবহ। পাহাড়ের সারির কাছাকাছি এসে থামার অনুমতি চাইলেন পারগালি ইব্রাহীম। পূর্ব-দক্ষিণ দিকে সবচেয়ে বড় পাহাড়টা দেখিয়ে বললেন—

‘যুবরাজ, এদিকে একটা সরু রাস্তা আছে। এই রাস্তা ধরে গেলে আমাদের অনেক সময় বেঁচে যাবে।’

‘তুমি ঠিক চেনো তো ইব্রাহীম?’

‘অবশ্যই যুবরাজ।’

পারগালি ইব্রাহীমের কথায় পাল্টে গেল যাত্রা পথ। চেনা রাস্তার বাঁক পাল্টে পূর্ব-দক্ষিণের বড় পাহাড়ের দিকে এগোতে শুরু করলেন তারা। সবচেয়ে বড় পাহাড়ের কাছাকাছি আসতেই চোখে পড়ল পাহাড়ের কোল ঘেঁষে একটা সরু রাস্তা। ঘোড়ার গতি খানিকটা মন্থর করতে হলো। এই পথটার পুরোটাই পাথুরে। খুব সম্ভবত আগ্নেয়গিরির লাভায় তৈরি হয়েছে। পথটা যেমন সরু তেমনি অন্ধকার। বাইরে ঝলমলে চাঁদের আলো পড়লেও এখানে এর ছাপ সামান্যই। সংকীর্ণ গিরিখাতের মধ্য দিয়ে মিনিট চারেক চলার পরই আবার চাঁদের ঝকমকানি চোখে পড়ল। একটু দূরেই মানুষের বসতি দেখা যাচ্ছে। এমন পাঁচ-ছয়টি গ্রাম পেরিয়ে গেলেই কনস্টান্টিনোপলের সীমানা। সেখান থেকে তোপকাপি প্রাসাদ আরও কয়েক মিনিটের রাস্তা।

দেখতে দেখতেই তোপকাপি প্রাসাদের প্রধান ফটকে ঢুকে পড়লেন তারা। পাশেই  হারেমে প্রবেশের প্রধান পথ ‘গেট অব ফেসিলিটি’ বা ‘মহাসুখের তোরণ’। এই ফটক দিয়েই বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে হারেমের যোগাযোগ হয়। সাধারণ যোগাযোগের জন্য অবশ্য আরেকটি পথ রয়েছে। সেটির নাম ‘আরাবা কাপাসি’। ঘোড়ার গাড়ি প্রবেশের এই দরজা দিয়েই হারেমের নারীরা তাদের প্রয়োজনে বাইরে বেরুতে পারেন। সুলতানার কক্ষ আরাবা কাপাসির কাছাকাছি। তাই পারগালি ইব্রাহীমসহ অন্যসব সঙ্গীদের মহাসুখের তোরণের বাইরে রেখে আরাবা কাপাসির দিকে এগিয়ে গেলেন যুবরাজ। রক্ষীদের একজনের হাতে ঘোড়াটা বুঝিয়ে দিয়ে সোজা সুলতানের যাতায়াতের পথ ‘হাসোদা কগুসু’ ধরে হাঁটতে শুরু করলেন। মায়ের কক্ষের সামনে এসে থামলেন। ভিতরে ঢোকার আগে বাবা সুলতান সেলিমের খোঁজ জেনে নিলেন সুলেমান। তিনি নাকি খানিক আগেই সুলতানার পাশে ছিলেন। এখন বিশ্রাম নিচ্ছেন। জাঁহাপনাকে ডেকে দিতে হবে কিনা জানতে চাইলে দাসীকে নিষেধ করলেন সুলেমান। কারণ সুলতান সেলিম সবে মিসর অভিযান থেকে ফিরেছেন। এতদিনকার ধকল কাটিয়ে ওঠার জন্য তারও অনেক বিশ্রাম দরকার। এই ভেবে কথা না বাড়িয়ে মায়ের ঘরের ভিতর পা ফেললেন সুলেমান।

আয়শা হাফসা সুলতান তখনো তন্দ্রাচ্ছন্ন।

মাকে ঘুমে দেখে ঘরের বাঁ দিকে মায়ের ছোট্ট হাম্মামখানায় প্রবেশ করলেন সুলেমান। এখানে পুরুষ প্রবেশের নিয়ম নেই। কিন্তু যুবরাজ এখানেই বেড়ে উঠেছেন। এটা তার মায়ের ব্যক্তিগত হাম্মাম। তাছাড়া এই মুহূর্তে এটাই ব্যবহার করতে হবে। ঝটপট হাতমুখ ধুয়ে নিলেন যুবরাজ। ততক্ষণে মায়ের কাছের সঙ্গী ও দাসী মনজিলা এসে উপস্থিত হয়েছেন। সুলেমান তাকে বিশেষ পছন্দ করেন। কারণ তার শৈশবের প্রায় পুরোটাই কেটেছে তার সঙ্গে খেলা করে। মনজিলার প্রচুর আদর পেয়েছে সুলেমান। হাত-মুখ ধুয়ে বের হতেই দেখলেন মনজিলা রেশমি কাপড় নিয়ে যুবরাজের অপেক্ষায়। সেটি হাতে নিয়ে হাত-মুখ মুছতে মুছতে মনজিলার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন সুলেমান। মায়ের অসুস্থতার খোঁজও নিলেন। মনজিলা সব খুলে বলল। জানাল তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন, কিন্তু ঘুমের ঘোরেও কেবল ‘সুলেমান...সুলেমান’ বলে ডাকছেন। তাই তাকে খবর দেওয়া হয়েছে।

সব শুনে মায়ের শিয়রের পাশে গিয়ে বসলেন যুবরাজ সেলিম। মাত্র কয়দিন আগেও সুলেমানের সঙ্গে মানিসাতেই ছিলেন আয়শা। কয়েক মাস আগে সুলেমানই তাকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আর প্রাসাদে সময় কাটানোর জন্য কনস্টান্টিনোপল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। ১৫১৩ সালে সুলেমানের বয়স যখন মাত্র ১৭ তখনই সুলেমানকে  প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে মানিসার প্রশাসক করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন প্রিয় মা আয়শা হাফসা সুলতানও সুলেমানের সঙ্গী হয়েছিলেন। মূলত মায়ের কাছ থেকেই মানবিক ও প্রশাসনিক অনেক বিষয় শিখেছেন সুলেমান। সুলেমান প্রশাসক হলেও মূলত তার মায়ের নির্দেশেই মানিসায় অনেক রাস্তা, মসজিদ-মাদ্রাসা ও স্কুল তৈরি করা হয়। এসব কিছুই মানিসাকে আধুনিক করে তুলেছে। তোপকাপি হারেমের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের কাছাকাছি না থাকলে তার শিক্ষা কখনোই পূর্ণতা পেত না।

মায়ের মাথার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন সুলেমান। এভাবে অনেক্ষণ কেটে গেল। আয়শার ঘুম তখন আরও গভীর হলো। মনজিলার কাছে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে  গেলেন যুবরাজ। মা সজাগ হলেই যেন ডাকা হয় সুলেমানকে। তার নিজেরও একটু বিশ্রাম দরকার।

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার


বিডি-প্রতিদিন/১২ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
নোয়াখালীতে নতুন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ
নোয়াখালীতে নতুন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের দায়িত্ব গ্রহণ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা জবি ছাত্রশিবিরের
‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা জবি ছাত্রশিবিরের

১৭ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

কূটনৈতিক উত্তেজনা, জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করেছে চীন
কূটনৈতিক উত্তেজনা, জাপানে যাওয়ার প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট বাতিল করেছে চীন

১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ
দিনাজপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনজুরুল ইসলামের গণসংযোগ

৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা
৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং : ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক
দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন পরিচালক

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা
পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে কুইজ প্রতিযোগিতা

২৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস
সহজ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নেদারল্যান্ডস

২৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য
ধানের শীষকে বিজয়ী করতে বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্য

২৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
যে কারণে নিকারাগুয়ার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন
আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর
সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ
সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ

৫৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

গেল ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে : ডিএমপি
গেল ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে : ডিএমপি

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

সুদানে গণহত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত, জাতিসংঘের উদ্বেগ
সুদানে গণহত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত, জাতিসংঘের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি
লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীতে ৬ গুদাম ভস্মীভূত
টঙ্গীতে ৬ গুদাম ভস্মীভূত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো
ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ