শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০২ আগস্ট, ২০১৫

নিজের ভালো পাগলও বোঝে, বিএনপি বুঝবে কবে?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
নিজের ভালো পাগলও বোঝে, বিএনপি বুঝবে কবে?

বিএনপিতে পরিচিত বন্ধু-বন্ধুবররা আমার একটা লেখা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে বেড়াতে এসেছেন আমাদের এক বড় ভাই আতিকুর রহমান সালু। পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সর্বশেষ সভাপতি তিনি। একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে। তার আরও একটা পরিচয় তার দেশপ্রেমেরই সৌরভ ছড়ায়। সুদূর আমেরিকায় থেকেও দেশের কথা ভাবেন। ফারাক্কার 'নীল দংশনে' উত্তরবঙ্গের বিবর্ণ চেহারা সেখানেও তাকে কাঁদায়। সমমনা বন্ধুদের নিয়ে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ার লক্ষ্যে তৈরি করেছেন 'আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি।' তিনি সে কমিটির চেয়ারম্যান। বললেন, আমেরিকায় বসেও তিনি আমার লেখা পড়েন অনলাইনে। শুনে ভালো লাগল। কিন্তু একটু পরেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। তিনি এখন আবার বিএনপির অনুরাগী। দেশে এলেই ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। বিএনপি নিয়ে আমার সাম্প্রতিক কিছু লেখার ওপর আলোচনা করে একপর্যায়ে বললেন, আমার একটা লেখা নাকি তিনি মিস করেছেন; শুনেছেন তাতে আমি নাকি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে বিএনপি করতে বলেছি। অনেকটা কৈফিয়ত চেয়েই বললেন, আমি সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছি কেন? দেশেও কিছু বন্ধু একই ধরনের অভিযোগ করেন লেখাটা না পড়েই। বুঝলাম, লেখাটা যত পাঠক পড়েছেন, তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি প্রচার হয়েছে তার চেয়ে বেশি।

দেশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল সম্পর্কে মূল্যায়নের ব্যাপারে কারও কারও মধ্যে একটা ধারণা আছে যে, রাজনীতিবিজ্ঞানে অগাধ পাণ্ডিত্য ছাড়া বুঝি এ কাজটা করা যায় না। সেদিক বিবেচনা করলে তো আমাদের মতো 'কলম শ্রমিক'দের এ বিষয়ে কলমই ধরা উচিত নয়। আমি এ ধারণাটার সঙ্গে মোটেও একমত নই। রাজনীতি একটি বিশেষ কর্ম, তবে বিশেষায়িত কোনো বিষয় নয়। সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ চিন্তা এবং সে চিন্তা বাস্তবায়নের জন্য সততা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে আত্দনিবেদন করার নামই রাজনীতি বলে আমার ধারণা। বিদ্বান, পণ্ডিত হলে বাড়তি সুবিধা আছে; কিন্তু তা না হলে রাজনীতি করা যবে না বা বোঝা যাবে না- তা সত্য নয়। আবার বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ঘুম গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি হাসিল না করলে কিংবা ওই দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িত থেকে বড় পদ-পদবির অধিকারী না হলে ওই দল সম্পর্কে বলা যাবে না, লেখা যাবে না তেমনও মনে করি না। বিদ্বান-অবিদ্বান নির্বিশেষে চোখ-কান খোলা অনুসন্ধিৎসু যে কোনো মানুষই দেশের রাজনীতি, এর প্রকৃতিসহ বিশেষ বিশেষ দল বা দলসমূহ সম্পর্কে অবশ্যই বলতে পারেন, লিখতে পারেন। আমি আপনিও পারি। আওয়ামী লীগ-বিএনপির সঙ্গে কারও এখন সাংগঠনিক সম্পর্ক আছে কি নেই সেটা বড় কথা নয়; আগ্রহ আছে কিনা সেটাই বড় কথা। সে আগ্রহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা নিঃস্বার্থও হতে পারে। ৩০ জুলাই দৈনিক যুগান্তরে 'সিন্ডিকেটকবলিত ছাত্রলীগের গন্তব্য কোথায়' শিরোনামে আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী ঘরানারই কেউ কেউ লেখাটি 'নির্মোহ' লেখা বলে প্রশংসা করেছেন, আবার দুয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ভাষায় বলেছেন, ছাত্রলীগ সম্পর্কে লেখার ও 'জ্ঞান দেওয়ার' উনি কে? বাংলাদেশ প্রতিদিনে 'খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপি কি চলতে প্রস্তুত' লেখাটা নিয়েও তেমন সমালোচনার মুখে পড়েছি। কিন্তু যে সব বন্ধু সমালোচনামুখর, তাদের যখন জিজ্ঞাসা করি, লেখাটা কি পড়েছেন? তখন জবাব পাই, না পড়লে কি হবে, শুনেছি। তখন একটা কথা আমার মনে পড়ে যায়। আমি তখন দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তখনো বিএনপি করতেন। তারেক রহমান দলের নেতৃত্বে না এলেও আস্তে আস্তে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছেন। সাকা চৌধুরীকে নিয়ে দলে বিতর্ক ছিল শুরু থেকেই। মুক্তিযুদ্ধকালে তার বিতর্কিত ভূমিকা কারও অজানা ছিল না। শাহ আজিজুর রহমানের সঙ্গে সাবেক মুসলিম লীগ থেকে যোগদানকারী মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া দলে তাকে পছন্দ করার লোক ছিল না। তার চট্টগ্রামে অনেক ভক্ত বলে যা প্রচার করা হতো, তা নিতান্তই গালগল্প। তবে তার টাকার জোর ছিল। টাকায় কী না হয়! বিএনপিতে সাকার ক্ষেত্রেও টাকাই বোধহয় কথা বলেছে। কিন্তু বিপদে পড়ে গেলেন অভ্যাস দোষে বেফাঁস এক মন্তব্য করে। বললেন, 'আগে জানতাম কুকুর লেজ নাড়ায়, এখন দেখি লেজ কুকুর নাড়ায়'। কুকুর ও লেজ বলতে তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে 'মিন' করেছিলেন। তার আগে বেগম জিয়া সম্পর্কে আরও কিছু বাঁকা কথা বলেছিলেন উদ্ধত সাকা চৌধুরী। বেগম জিয়া ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখেছেন। কিন্তু 'কুকুর ও লেজ' বিষয়ক তত্ত্বের পর আর সহ্য করা হলো না। তাকে বহিষ্কার করা হলো দল থেকে। তার বহিষ্কারের পর আমি দৈনিক দিনকালে একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলাম স্ব-নামে। সম্ভবত শিরোনাম ছিল, 'সাকা চৌধুরীর বহিষ্কার, অতঃপর'। তখন থেকেই আওয়ামী লীগ এবং তাদের নামধারী বাম মিত্ররা বিএনপিকে মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে তুমুল প্রচারণা চালিয়ে আসছে। লেখাটির এক জায়গায় আমি লিখেছিলাম, 'সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর দলটির বিরুদ্ধে মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে যে প্রচার বা অপপ্রচারটি আছে তা আর হালে পানি পাবে না।' দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে একজন খুব প্রভাবশালী সিনিয়র নেতা দিনকালের ওই লেখাটির 'মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক' শব্দ দুটি মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে ম্যাডামকে দেখান এবং বলেন, আমি নাকি বিএনপি জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা করছি এবং জামায়াতকে মৌলবাদ বলে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার জন্য দলের মুখপত্র দৈনিক দিনকালে তা লিখেছি। ওই নেতাকে আমি সম্মান করতাম, এখনো করি। কিন্তু বিশেষ একটি কারণে তিনি চাইতেন না আমি 'দিনকালে' ওই পজিশনে থাকি। তিনি যে জামায়াতপ্রিয় তাও নয়। আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তখন বিএনপির মহাসচিব। তিনিও ছিলেন সে বৈঠকে। বগুড়ার হেলালুজ্জামান তালুকদারের ছেলে জয় তখন হাওয়া ভবনের কর্মচারী। সে আগে দিনকালের সাধারণ বিভাগের এক 'অসাধারণ' কর্মচারী ছিল। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে অবহিত হয়ে তারেক রহমান তাকে দিনকাল থেকে সরিয়ে নেন। সে আমার মোবাইল ফোন নম্বর জানত। ম্যাডামকে ধরিয়ে দিল। আর যাই কোথায়! একনাগাড়ে পাঁচ-ছয় মিনিট বকলেন। জানতে চাইলেন কেন আমি জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছি। আমার কোনো কথাই শুনতে চাইলেন না। বুঝলাম দিনকালে আমার দিন শেষ। তারেক রহমান তখন ব্যাংকক বা সিঙ্গাপুরে। বাইরে গেলেও ২-১ দিন পরপর দিনকালের খবর নিতেন। পত্রিকার দেখভাল করতেন তিনিই। আমার কি ভাগ্য, ওই রাতেই তিনি ফোন করলেন। তাকে ঘটনাটা জানালাম। তিনি লেখাটা সম্পর্কে জেনে নিয়ে সে রাতেই ম্য্যাডামের সঙ্গে কথা বলেন। ম্যাডামের ভুল ভাঙে। তারেক রহমান বেশ হিউমার করতে জানেন। দেশে ফেরার পর একদিন আমাকে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে কিনা জানতে চেয়ে বলেন, আপনাকে ওই 'বকাঝকা রজনীতে' আপনার সাবেক নেতাও তো ওখানে ছিলেন। তিনি কিছু বললেন না কেন? আমি বুঝলাম, তিনি মান্নান ভাইর কথা বলছেন। আমি বললাম, তিনি কিছু বলার সুযোগ পেলে তো! ঘটনাটা উল্লেখ করলাম ওই কারণে যে, ম্যাডাম যদি আমার পুরো লেখাটা আগে পড়ে দেখতেন বা তাকে লেখাটা পড়তে দেওয়া হতো, তাহলে ওই রাতে অকারণে বকাটা খেতাম না।

আমি বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে বিএনপি থেকে মাইনাস করার কথা বলিনি। একজন সংবাদকর্মী ও কলাম লেখক হিসেবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান-বুদ্ধি অনুযায়ী দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সম্পর্কে আমার পর্যবেক্ষণ পাঠকদের সামনে তুলে ধরি। আমার বক্তব্য-মন্তব্যের সঙ্গে সবাই একমত হবেন এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু আমি, আপনি, আমরা কথা বলতে তো পারি, আমাদের বলতে তো দেওয়া উচিত। বিএনপি প্রকৃত অর্থেই বর্তমানে একটি মহাসংকটকাল অতিক্রম করছে। এ বছরের প্রথম তিন মাসের আন্দোলন হঠকারী পথে বাঁক নিয়ে সম্পূর্ণ ব্যর্থ না হলে দলটি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত। লীগ সরকার বিচক্ষণতার সঙ্গে কঠোরপন্থায়, ক্ষেত্রবিশেষে নিষ্ঠুরভাবে সে আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি তাদের ব্যর্থতার কারণগুলো খতিয়ে দেখলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হতো। পৃথিবীর সব দেশে দায়িত্বশীল দল এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ অনুসন্ধানের জন্য আলোচনা-পর্যালোচনা, সমালোচনা এবং আত্দসমালোচনার আয়োজন করে। বিএনপিতে এই সংস্কৃতি শহীদ জিয়ার আমলে ছিল, এখন নেই। জিয়াউর রহমান ছোটখাটো সভা নয়, দস্তুরমতো দল-অঙ্গ দলের বর্ধিতসভা ডেকে সবার কথা শুনতেন, নিজে বলতেন না। প্রয়োজনে কোনো অভিযোগের জবাব দিতেন, ব্যাখ্যা দিতেন। এখন কোনো কথা বলতে চাইলে নাকি বেগম খালেদা জিয়া ধমক মারেন। দল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। মনে হয়, দলটাকে মৌরুসি-পাট্টামূলে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পত্তি বলে ভাবা হয়। যারা কথা-বার্তা বলতে চান, দলকে ভালোবেসেই বলতে চান। কিন্তু যদি ভাবা হয়, কারও জমিদারিতে বা খাসমহলে এরা প্রজা-রায়ত অথবা স্টাফ অফিসার-কর্মচারী, এরা ভালো-মন্দ কোনো কথা বলার হকদার নন, তাহলেই একমাত্র বলা যায়, 'দলে থাকতে বলেছে কে? চলে যান।' কিন্তু একটা রাজনৈতিক দলে এমন কথা বলা যায় না, এমন কথা বলার হক কারও থাকা উচিত নয়। একটা দল গঠিত হয় রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণের জন্য। দলের সুনির্দিষ্ট একটা রাজনীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি থাকে। দল হয় সব নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীর; দল হয় জনগণের। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমলের বিএনপিতে জনগণের দলের চরিত্র ছিল। কোনো কোটারি, স্তাবক, তোষামোদকারী ছিল না। দলে কর্নেল (অব.) আলাউদ্দিন-রুস্তমরা তখনো ছিল; কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান গুলশান অফিসের কর্মচারীদের মতো তারা মহাপ্রতাপশালী, উদ্ধত ও দুর্বিনীত ছিল না। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের চেয়ে এসব 'হালে বিএনপি চেনা' কর্মচারীদের বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যত দাম, কর্নেল (অব.) আলাউদ্দিন-মাজেদ-রুস্তমরা জিয়াউর রহমানের কাছে তেমন দামি ছিল না। জিয়া তাদের দিয়ে কখনো দল চালাননি।

ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনে হাত দেওয়া হয়েছিল। ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন মহানগর সভাপতি। খোকা একজন চৌকস মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ঢাকা মহানগরীতে অনেক দুঃসাহসী অভিযানের অন্যতম নায়ক। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করছেন। দেখতে ছোটখাটো হলেও বয়স ষাট পেরিয়েছে। প্রকৃত একজন কেরিয়ার রাজনীতিবিদ। ঢাকায় আরেকটা 'মুক্তিযুদ্ধ' করে দিতে পারছেন না বলে তাকে পছন্দ হচ্ছিল না ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবং তদীয় পুত্র তারেক রহমানের। মির্জা আব্বাস-গয়েশ্বর রায়দের নেতৃত্বে বিপক্ষ গ্রুপ তো ওঁৎ পেতেই ছিল। বাদ দেওয়া হলো সাদেক হোসেন খোকা ও খোকা-কমিটিকে। ম্যাডামরা বোধহয় ধারণা করেছিলেন, এবার 'বিপ্লব' হয়ে যাবে। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে সাদেক হোসেন খোকা যা করতে পারেননি বা করেননি, নতুন মহানগর কমিটি ২০১৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ তিন মাসে তা পুষিয়ে দেবে। কিন্তু পুনর্গঠিত ঢাকা মহানগর কমিটি আরও লজ্জা দিল বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে। অর্থাৎ, যা ছিল তাও গেল। তিন মাসের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরও দল পুনর্গঠনের কথা বলছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বলছেন দল গুছিয়ে আবার আন্দোলনে যাবেন; তবে এবার গণসংশ্লিষ্ট আন্দোলন করবেন। আন্দোলনে গণসংশ্লিষ্টতার যে প্রয়োজন সে উপলব্ধিটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু কাদের নিয়ে দল পুনর্গঠন করবেন? আবার ঢাকা মহানগরীর 'পুরান' কমিটি বাদ দিয়ে 'নতুন কমিটি করার মতো? কী লাভ হবে তাতে? বিএনপিকে যারা কাছে ও দূরে থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন, তারা বলতে চান, বিএনপিকে সত্যিকার অর্থে পুনর্গঠন করতে হলে পার্টি চেয়ারপারসনকে প্রথম 'ফায়ার' করতে হবে তার গুলশান অফিসে। সে অফিসের 'কর্ণধার' নামের যারা বেগম খালেদা জিয়াকে সারাক্ষণ ঘিরে রেখে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে, 'সিএসএফ-টিএসএফ' ইত্যাদির খাপছাপ সৃষ্টি করে এখনো 'পিএম-পিএম' ভাব জাগিয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে রেখে নানা মহলের নানা স্বার্থ হাসিল করছে, ওই 'কর্ণধারদের' কবল থেকে মুক্ত না হয়ে কিছুই করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকরা মনে করেন বিএনপির পুনর্গঠন দরকার আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে। সরকার মুখে উপরে উপরে যতই বলুক ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না, তা কর্মী-সমর্থকদের সাহস জোগানোর কথা, শতভাগ মনের কথা নয়। তারা আসলে একটা মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের কথা ভাবছে বলে অনুমান করা যায়। বঙ্গবন্ধুর শোকাবহ হত্যাদিবস ১৫ আগস্ট উপলক্ষে এবার দেশব্যাপী ৪০ দিনের কর্মসূচি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু শোকসভা আর কাঙালি ভোজ করার জন্য এ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মনে হয় না। এটা আগাম নির্বাচন-প্রস্তুতির সাংগঠনিক কার্যক্রমের সূচনা বলেই ধরে নেওয়া যায়। বিএনপি পথ হাতড়াতে হাতড়াতেই আওয়ামী লীগ 'দৌড় প্রতিযোগিতায়' এগিয়ে থাকতে চাচ্ছে। এসব বোঝার লোকও বেগম জিয়ার আশপাশে নেই বলে বলতে চান দলের সুহৃদরা। যারা এসব বোঝেন, গুলশান অফিসের 'সিন্ডিকেট' ডিঙিয়ে তারা ঠিক জায়গায় পৌঁছতেও পারেন না। আর সারাক্ষণ কানের কাছে এদের বিরুদ্ধে কূটনামি তো লেগেই আছে। সরকার একদিকে কৌশলে নিজেদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নিচ্ছে অপরদিকে বিএনপিকে হীনবল করার জন্য মামলা-মোকদ্দমা, জেল-জুলুম, গুম-অপহরণ ইত্যাদি পথও অব্যাহত রাখতে পারে। কারণ বিএনপির বিশাল যে ভোট ব্যাংক বা সমর্থক গোষ্ঠী তাতে এখনো কোনো ফাটল ধরেনি, দীর্ঘদিন ধরে তা অটুট বা স্থিতাবস্থায় আছে। সাংগঠনিক ভিত্তিটাকেই তছনছ, লণ্ডভণ্ড করে দিতে চাইবে সরকার। দলের এখন ঘোষিত দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমান। শোনা যাচ্ছে তাকে কো-চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যান বানালেও লাভ কি? তিনি তো বিএনপি ক্ষমতায় যেতে না পারলে দেশে আসতে পারবেন না। বিলাত থেকে 'আগে বাড়াও, আক্রমণ কর, বিচ্ছিন্ন করে দাও রাজধানী'- এ জাতীয় হুকুমনামা জারি করে দেশে সফল কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে না। বেগম জিয়াই এখন ভরসা বিএনপির। কিন্তু সরকার তার ব্যাপারেও খুব কঠোর বলে মনে হয়। তাকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা নয়, তিনি যাতে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে শাসক লীগের সর্বনাশের 'শিঙায়'ও ফুঁ দিতে না পারেন, সে ব্যাপারে আইনি সুযোগও কাজে লাগাতে পারে। তিনি যদি নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হন এবং কারারুদ্ধ হন, তখন বিএনপির কী হবে? তখনকার কথাটাই এখন ভাবার কথা বলেছি আমি, লিখেছি। বিপুল জনসমর্থনকে ভোটের বাক্সমুখী করার জন্য একটি যোগ্য ও যৌথ রাজনৈতিক নেতৃত্ব কাঠামো নির্মাণের কথা ভাবতে বলেছি বিএনপির কমিটেড ও নিবেদিতপ্রাণ শক্তিকে। বলেছি অন্যের বায়বীয় শক্তি নয়, জামায়াতের ওপর অকারণ নির্ভরতা নয়, আপন শক্তিতে বলিয়ান হতে হবে। পেট ব্যথা আপনার, আরেকজন ট্যাবলেট খেলে আপনার ব্যথা সারবে? নিজের ভালো পাগলও বোঝে। বিএনপি বুঝবে কবে? বিএনপির উচিত ভুল-ভ্রান্তি শুধরে হঠকারিতা পরিহার করে নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া। শহীদ জিয়ার প্রকৃত অনুসারীদের ঐক্যবদ্ধ করা। দলে বিভেদ নয়, ঐক্যের ঝাণ্ডা ঊর্ধ্বে তুলে ধরা। 'ছাগল দিয়ে হাল চাষ' করার পরিকল্পনা থাকলে এখনই সময় তা পরিহার করার।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : kazi.shiraz@yahoo.com

 

এই বিভাগের আরও খবর
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
গরিবি হটাও, গরিব নয়
গরিবি হটাও, গরিব নয়
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক হুমকিতে পড়বে
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
স্থিতিশীলতা নিশ্চিত না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আবশ্যক
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
সুখের নদীতে দুঃখের ভেলা
সুখের নদীতে দুঃখের ভেলা
ধেয়ে আসছে সংকট, আমরা কতটা প্রস্তুত?
ধেয়ে আসছে সংকট, আমরা কতটা প্রস্তুত?
জামায়াতের অভিমান, আশাহত জনগণ
জামায়াতের অভিমান, আশাহত জনগণ
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
মানবিকতার চর্চার ঘাটতি অপরাধ বাড়ার অন্যতম কারণ
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
সর্বশেষ খবর
‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা
‘সিচুয়েশন রুমে’ ট্রাম্পসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ
বাহরাইনে সাইরেন বাজিয়ে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত
কাতার-আমিরাতের পর আকাশসীমা বন্ধ করলো কুয়েত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উখিয়ায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলিতে একজন নিহত
উখিয়ায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় গুলিতে একজন নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান
হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি
কোনোদিন ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা শেখাচ্ছে কীভাবে ভোট হবে: রনি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প
ঝুঁকিতে পোশাকশিল্প

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আগামী বছর
অর্থনৈতিক সংকট বাড়বে আগামী বছর

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের
কাতারে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের হামলার নিন্দা আমিরাতের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার
ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ হতাহত হয়নি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আছে ৮ হাজার মার্কিন সেনা
কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আছে ৮ হাজার মার্কিন সেনা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি ১৩ হাজার টাকায়
আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি ১৩ হাজার টাকায়

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা গ্রেফতার
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আয়েশা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ
কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রংপুর মেডিকেলে টিটেনাস আতঙ্ক, সাময়িক বন্ধ আইসিইউ সেবা
রংপুর মেডিকেলে টিটেনাস আতঙ্ক, সাময়িক বন্ধ আইসিইউ সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় ৬৭ বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করল র‌্যাব
কুষ্টিয়ায় ৬৭ বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করল র‌্যাব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিনে আলোচনা-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জন্মদিনে আলোচনা-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দুর্বল দেখতে চাই না : সারজিস আলম
অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দুর্বল দেখতে চাই না : সারজিস আলম

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিখোঁজের চার দিন পর তরুণীর লাশ উদ্ধার, পরিচয় মিলল
নিখোঁজের চার দিন পর তরুণীর লাশ উদ্ধার, পরিচয় মিলল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে কি হবে?
ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে কি হবে?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়াকাটায় জীবনমান উন্নয়নে জেলে পরিবারে বিশেষ প্রকল্প
কুয়াকাটায় জীবনমান উন্নয়নে জেলে পরিবারে বিশেষ প্রকল্প

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাকৃবিতে আমের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ
গাকৃবিতে আমের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পন্তের অনন্য রেকর্ড
দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পন্তের অনন্য রেকর্ড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু
লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে দেশ : আমীর খসরু

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেড় মাস পর প্রকৃতিতে ফিরল জোড়া টিয়া
দেড় মাস পর প্রকৃতিতে ফিরল জোড়া টিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল
বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র
হরমুজ প্রণালি খোলা রাখতে চীনের দ্বারস্থ যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা
ইরান থেকে ধেয়ে আসছে মিসাইলের বহর, ইসরায়েলজুড়ে সতর্কতা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত
আকাশ প্রতিরক্ষায় ইরানের ভরাডুবি: রাশিয়ার যে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার খেসারত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা নিয়ে যা জানা গেল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল পাকিস্তানের পিছু নিলে তখন আর কেউ অবশিষ্ট থাকবে না: বিলাওয়াল
ইসরায়েল পাকিস্তানের পিছু নিলে তখন আর কেউ অবশিষ্ট থাকবে না: বিলাওয়াল

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ শেষ করতে ইরানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
যুদ্ধ শেষ করতে ইরানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?
ইরান কোথায় পাল্টা আঘাত হানতে পারে?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা
তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন
হরমুজ প্রণালী বন্ধের পথে ইরান, দুটি তেলবাহী জাহাজের ইউটার্ন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে হামলায় আরেকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান
ইসরায়েলে হামলায় আরেকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুকে ‘হাঁটু গেড়ে না বসানো’ পর্যন্ত হামলা চলবে: ইরান
নেতানিয়াহুকে ‘হাঁটু গেড়ে না বসানো’ পর্যন্ত হামলা চলবে: ইরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর হবু পুত্রবধূর তথ্য ইরানে পাচারকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
নেতানিয়াহুর হবু পুত্রবধূর তথ্য ইরানে পাচারকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইরানি জনগণের পাশে রাশিয়া থাকবে’, পুতিনের ঘোষণা
‘ইরানি জনগণের পাশে রাশিয়া থাকবে’, পুতিনের ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান
হামলায় কয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে জানাল ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মর্টার হামলা
সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মর্টার হামলা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান এখন কি করবে?
ইরান এখন কি করবে?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলা, ৩৫ মিনিট বাজল সাইরেন
ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলা, ৩৫ মিনিট বাজল সাইরেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার
ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল কাতার

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহযোগিতার বদলে বোমা হামলা পেল ইরান'
'পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহযোগিতার বদলে বোমা হামলা পেল ইরান'

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ
কাতারে বিস্ফোরণ, বন্ধ আকাশপথ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ
হাসিনা পরিবারের ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা জব্দ

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত বাধা
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত বাধা

খবর

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিনিয়োগকারীরা
আমানত নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিনিয়োগকারীরা

শিল্প বাণিজ্য

হরমুজ প্রণালি নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা
হরমুজ প্রণালি নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সুরক্ষা অ্যাপের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপুর দুই গডফাদার জয় ও ববি
বিপুর দুই গডফাদার জয় ও ববি

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের অনুমোদন বাতিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদের অনুমোদন বাতিল চায় বাংলাদেশ ব্যাংক

পেছনের পৃষ্ঠা

মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তা চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
মুক্তা চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা কাটছে না সচিবালয়ে
অচলাবস্থা কাটছে না সচিবালয়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

বেপরোয়া মব সন্ত্রাসে উৎকণ্ঠা
বেপরোয়া মব সন্ত্রাসে উৎকণ্ঠা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের
ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের

নগর জীবন

ভারতে বিধানসভা উপনির্বাচনে নাটকীয় ফল
ভারতে বিধানসভা উপনির্বাচনে নাটকীয় ফল

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক মার্কিন দূতের
আসিম মুনিরকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক মার্কিন দূতের

পূর্ব-পশ্চিম

নিত্যপণ্যের দাম জানা যাবে মোবাইলে
নিত্যপণ্যের দাম জানা যাবে মোবাইলে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইরানে হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ
ইরানে হামলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি
অন্যায়ের প্রতিবাদ না করার শাস্তি

সম্পাদকীয়

সন্ত্রাসী-সেনাবাহিনী গোলাগুলি, নিহত ১
সন্ত্রাসী-সেনাবাহিনী গোলাগুলি, নিহত ১

পেছনের পৃষ্ঠা

এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি
এয়ার ইন্ডিয়ার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি

পূর্ব-পশ্চিম

হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?
হার্ট ব্লকের উপসর্গ কী?

স্বাস্থ্য

এমন আবহাওয়া ২০ বছর দেখেনি রাজশাহী
এমন আবহাওয়া ২০ বছর দেখেনি রাজশাহী

নগর জীবন

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা

স্বাস্থ্য

কারমাইকেল কলেজ শাটডাউন
কারমাইকেল কলেজ শাটডাউন

নগর জীবন

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মিষ্টি কুমড়া

স্বাস্থ্য

করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু
করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট নিয়ে নতুন নিয়ম
টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট নিয়ে নতুন নিয়ম

নগর জীবন

ডেঙ্গু রোগীরা কী খাবেন
ডেঙ্গু রোগীরা কী খাবেন

স্বাস্থ্য

ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন
ইরানের জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া : পুতিন

পূর্ব-পশ্চিম

সংকটে পড়বে বেসরকারি খাত
সংকটে পড়বে বেসরকারি খাত

প্রথম পৃষ্ঠা