শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:২৯, শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১ আপডেট:

সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না

সৈয়দ বোরহান কবীর
অনলাইন ভার্সন
সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে থাকে না

৪ ডিসেম্বর ১৯৯০। সন্ধ্যা থেকেই টেলিভিশনে ঘোষণা করা হচ্ছিল রাতে উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হবে। দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা। উত্তাল জনতা। এরশাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কিছুই। দিনভর মিছিল, স্লোগানে প্রকম্পিত রাজপথ। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এরশাদের মন্ত্রী-এমপিদের গণপ্রতিরোধ। দেশে এক আন্দোলন উৎসবের আমেজ। এরশাদ কীভাবে পদত্যাগ করবেন, কীভাবে নির্দলীয় ব্যক্তি তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হবেন এ নিয়ে নানা আলোচনায় ভরপুর দেশ। তখন দেশে একটাই টেলিভিশন- বিটিভি। একটাই বেতার- রেডিও বাংলাদেশ। বিবিসি শুনি গোল হয়ে অনেকজন একসঙ্গে। এর মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কী বলবেন তা শোনার জন্য আমরা সবাই উদ্গ্রীব। এরশাদ সাক্ষাৎকার দিলেন কেতাদুরস্ত ভঙ্গিতে। তার হাসির মধ্যে কতটা সততা আর কতটা শঠতা তা সব সময়ই এক রহস্য। ব্যারিস্টার মওদুদ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে কীভাবে বিরোধী দলের দাবি মেটানো সম্ভব তার ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন। এরশাদ ছুটিতে যাবেন, তিনি (ব্যারিস্টার মওদুদ) ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হবেন। বিরোধী দলের পছন্দের ব্যক্তিকে উপরাষ্ট্রপতি বানাবেন। সংবিধান, আইনের কী চুলচেরা বিশ্লেষণ! এর মধ্যেই টেলিভিশনে স্ক্রল প্রচারিত হলো- হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুহূর্তে উৎসবের নগরীতে পরিণত হলো গোটা ঢাকা, সারা দেশ। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই রাস্তায় নেমে এলেন। এ যেন এক বিজয় উৎসব। মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ৫ ডিসেম্বর তিন জোটের বৈঠক হলো ধানমন্ডিতে প্রয়াত বাকশাল নেতা মহিউদ্দিন আহমদের বাড়িতে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিন জোটের নেতারা একমত হলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঘোষণা করলেন, প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান।

অনেকেই বলেন, ৪ ডিসেম্বর এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা ছিল একটি কৌশল। এরশাদ ভেবেছিলেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে পেতে বিভক্ত বিরোধী জোটগুলো ব্যর্থ হবে। এরশাদ আবার ফিরে আসবেন। কিন্তু সবকিছু ঘটে গেল মুহূর্তেই। কোনো জটিলতা ছাড়াই। অবশ্য সমস্যা আরও ছিল। বেঁকে বসলেন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর চাকরির মেয়াদ আরও ক’বছর ছিল। এ অবস্থায় প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে এ দায়িত্ব নিতে তিনি ছিলেন দ্বিধান্বিত। এ সময় সংকট সমাধানে এগিয়ে এলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই প্রথম বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ফোন করলেন। জাতির প্রয়োজনে তাঁকে দায়িত্ব গ্রহণে অনুরোধ জানালেন। তাঁর স্বপদে ফেরার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। মূলত শেখ হাসিনার অনুরোধেই দ্রুত রাজি হলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।

৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতন হলো। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ হলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন এরশাদের ঘনিষ্ঠতম আমলা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম কে আনোয়ার। এরশাদের রাজত্বে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের ক্ষমতার দাপট ছিল অকল্পনীয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এরশাদ মন্ত্রীদের ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতেন। আমলাদের ফ্লোর দিয়ে গভীর মনোযোগে তাদের কথা শুনতেন। এরশাদের জমানায় অনেক মন্ত্রী টেলিভিশন বা পত্রিকায় খবর দেখে অনেক সরকারি সিদ্ধান্ত জানতেন। আমলারাই তার বিশ্বস্ত ছিল। এরশাদ নয় বছর দেশ চালিয়েছেন সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের ওপর নির্ভর করে। বিদায়ের আগে এরশাদ সেনাপ্রধান নূরউদ্দীন খানের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নিজের লোক সেনাপ্রধানও জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সরি স্যার’। অনুগত, চাটুকার আমলারাই ছিল এরশাদের বিশ্বস্ত। রাজনীতিবিদদের এরশাদ সন্দেহের চোখে দেখতেন, বিশ্বাস করতেন না। শুধু তাই নয়, এরশাদের জমানা নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বইয়ে জানা যায় তিনি রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মূর্খ মনে করতেন।

এরশাদ আমলের শেষ দিকের ছবিগুলো দেখলে দেখা যায়, এম কে আনোয়ার এবং আমলারা যেন ছায়ার মতো। যেখানেই এরশাদ সেখানেই আমলারা। কিন্তু এরশাদের পতনের এক মাসের মধ্যেই তিনি সটকে পড়লেন। প্রথমে আওয়ামী লীগের দরজায় টোকা দিলেন। বলে রাখা ভালো, এরশাদের পতনের আগেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আট দল, বিএনপির নেতৃত্বে সাত দল ও জাসদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ দল কয়েক দফা বৈঠক করেছিল। আগামীর সরকার কেমন হবে এ নিয়ে এক রূপরেখাও প্রণয়ন করেছিল। একে বলা হয় ‘তিন জোটের রূপরেখা’। সিপিবি কার্যালয়ে চূড়ান্ত হয়েছিল এ ঐতিহাসিক দলিলটি। সংসদীয় গণতন্ত্র, বেতার-টেলিভশনের স্বায়ত্তশাসন, সব কালাকানুন বাতিলসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার ছিল এ রূপরেখায়। তিন জোটের রূপরেখায় বলা হয়েছিল, স্বৈরাচার এরশাদের সহযোগী কাউকে তিন জোটের কেউ কোনো দলে নেবে না। এরশাদের পতনের পর সম্মিলিত ছাত্রঐক্য এরশাদের দালালদের তালিকা প্রকাশ করেছিল। ওই তালিকায় আমলাদের মধ্যে প্রথম নামটা ছিল এম কে আনোয়ারের। এরশাদের পতনের এক মাসের মধ্যে এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলী- কেতাদুরস্ত এ দুই আমলা উল্টে গেলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তিন জোটের রূপরেখাকে সম্মান জানিয়ে তাদের পত্রপাঠ বিদায় করে দিলেন। কিন্তু এরশাদের সুসময়ের চাটুকার এ দুই আমলা অবলীলায় ঝাঁকের কইয়ের মতো মিশে গেলেন বিএনপিতে। কোথায় অঙ্গীকার, কোথায় তিন জোট। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জয়ী হওয়ার পর এটাই ছিল প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। সে প্রসঙ্গ নিয়ে এ লেখায় আলোচনা করব না।

এরশাদের প্রিয় পাত্র, সুসময়ে এরশাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী দুই আমলা দুঃসময়ে এক মুহূর্তের জন্যও এরশাদের পাশে থাকলেন না। এরশাদের চরম বিপদে এতটুকু সহানুভূতি দেখালেন না। তখন নির্বাচন আইনে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। এখন যেমন অবসরের পর তিন বছর পর্যন্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করতে পারেন না। সে সময় তেমনটি ছিল না। এম কে আনোয়ার ও কেরামত আলী দুজনই বিএনপির টিকিট পেলেন। ’৯১-এর নির্বাচনে বিএনপি সবাইকে চমকে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকারও গঠন করল। এরশাদের দুই দোসর গণতান্ত্রিক সরকারে মন্ত্রী হয়ে গেলেন। সত্যি বিস্ময়কর। এরশাদ বিদায়ের আগে যেসব আমলাকে নিয়ে থাকতেন তারা কেউ এরশাদের পাশে দাঁড়াননি। মুহূর্তে তারা নিরপেক্ষ হয়ে যান।

উপেক্ষিত মিজানুর রহমান চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আগলে রেখেছিলেন। ‘স্বৈরাচার এরশাদ’কে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদই। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন সুসময়ে এরশাদের জন্য কী না করতেন। এরশাদের মায়ের মৃত্যুর পর তার কান্না দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। কার মা মারা গেলেন- এরশাদের না শাহ মোয়াজ্জেমের? এরশাদকে খুশি করতে কি কুৎসিত, অরুচিকর, কদর্য কথাবার্তা বলতেন শাহ মোয়াজ্জেম। ‘দুই নারী মিলিত হলে কিছুই উৎপাদন হয় না’, কিংবা ‘পদত্যাগপত্র কি জিরো পয়েন্টে দিয়ে আসব?’ এ ধরনের অসৌজন্যমূলক ও অশালীন বক্তব্যের জন্যই আলোচিত হতেন তিনি। (ভাগ্যিস তখন এসব ফেসবুক, ইউটিউব ছিল না, তাহলে এসব কথা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যেত) সেই শাহ মোয়াজ্জেম কিন্তু এরশাদের দুঃসহ যাত্রার সঙ্গী হননি বেশি দিন। সুযোগ পেয়েই জার্সি বদল করেন। এখন মেয়াদোত্তীর্ণ নেতা হিসেবে বিএনপিতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছেন। ব্যারিস্টার মওদুদও দুর্দিনে এরশাদের সঙ্গে বেশি দিন থাকেননি। এরশাদ যখন চরম আইনি সংকটে তখন তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে জাতিকে জ্ঞান দিয়েছেন। এরশাদের চাটুকারদের খুব কমই আছেন এখন জাতীয় পার্টিতে। এটাই বোধহয় নিয়ম। যুগে যুগে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরের এক ক্লান্তিহীন সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেও ঘিরে ফেলেছিল চাটুকাররা। খুনি মোশতাক ও খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুর চারপাশে গিজগিজ করত। তাজউদ্দীন আহমদরা দূরে সরে গিয়েছিলেন। বাকি ইতিহাস কারও অজানা নয়। বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ছিলেন ফরাসউদ্দিন আহমেদ। ১৪ আগস্ট গণভবনে ফরাসউদ্দিন আহমেদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন ফরাসউদ্দিন। ওই অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ছিলেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে তোফায়েল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ৩২ নম্বরে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর ফরাসউদ্দিন কিছুই করেননি। বরং খুনি মোশতাকের অনাপত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তিনিই খুনি মোশতাকের অবৈধ মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

জিয়া ক্ষমতায় থাকার জন্য কী না করেছেন। তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। বেছে বেছে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের হত্যা করেছেন। সেনাপ্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন এরশাদকে। প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মতে, এরশাদের চাটুকারিতায় মুগ্ধ হয়েই জেনারেল শওকত, জেনারেল মঞ্জুরের মতো মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছিলেন পাকিস্তান-প্রত্যাগত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। ফল সবাই জানেন। জিয়ার হত্যাকান্ডের পর তার চারপাশের চাটুকাররাই এরশাদকে ক্ষমতায় আনার পথ তৈরি করেছিলেন।

বেগম জিয়ার চারপাশে ছায়ার মতো থাকতেন মোসাদ্দেক আলী ফালু। ফালুর রাজনৈতিক পরিচয় বেগম জিয়ার দান। আজ বেগম জিয়া অসুস্থ। আর ফালু দূরদেশে বিত্তের বৈভবে দিন কাটাচ্ছেন। বেগম জিয়ারও আমলাপ্রীতি কম ছিল না। দুই মেয়াদেই ড. কামাল সিদ্দিকী ছিলেন বেগম জিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত আমলা। প্রধানমন্ত্রীর সচিব, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছিলেন একদা চৈনিক এই আমলা। ক্ষমতায় পালাবদল হতেই পালিয়ে গেলেন। বেগম জিয়ার দুঃসময়ে তার টিকিটিও কেউ পায়নি। এখন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। খাচ্ছেন, দাচ্ছেন, চকচক ব্লেডে দাড়ি কামাচ্ছেন। বেগম জিয়ার জেল, অসুখ তাকে কি বিচলিত করে?

হারিছ চৌধুরীর কথা মনে আছে? কী ক্ষমতাবান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার ভয়ে ব্যবসায়ীরা তটস্থ থাকতেন। ওয়ান-ইলেভেনে বেগম জিয়াকে ফেলে পালিয়ে গেলেন। শোনা যায়, এখন অবৈধ অর্থে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন।

১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনলেন শেখ হাসিনা। ’৯০-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ছুটে গেলেন জাতির পিতার দুই বোন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন। শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদটিকে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনকে যে সম্মান ও মর্যাদা শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি অনন্য উদাহরণ। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দীন দুঃসময়ে শেখ হাসিনার পাশে থাকেননি। এমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরও তাঁকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতেও শুনিনি। আওয়ামী লীগ সরকারে যেসব আমলার বাড়বাড়ন্ত ছিল বিএনপি আমলে তাদের অনেকের আসল চেহারা প্রকাশ হয়।

বাংলাদেশে ক্ষমতা বলয়ে সারাক্ষণ ঘোরাফেরা করে সুবিধাবাদী চক্র। সুসময়ের এই অতিভক্তরা দুঃসময়ে থাকে না। আওয়ামী লীগ টানা ১৩ বছর ক্ষমতায়। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের পুনর্জাগরণের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের আজকের এ সুসময়ের প্রধান সেনাপতি তিনিই। আর তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত ভয়ডরহীন বিপুল কর্মী। যারা লোভহীন, ত্যাগী। যাঁরা শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশায় জীবন-যৌবন উৎসর্গ করেছেন। ’৭৫-পরবর্তী সময়ে এঁরা জেল খেটেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। অনেকে পিতা হারিয়েছেন, ভাই হারিয়েছেন। মাঝেমধ্যে এঁদের জীবনকাহিনি শুনলে চমকে উঠি। দুঃসময়ের এই কর্মীরা কিংবা সেই পরিবারগুলো কি আওয়ামী লীগের মূলধারায় আছে? নাকি আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে সুবিধাবাদী চাটুকাররা? আজ দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ টইটম্বুর। এত আওয়ামী লীগ এলো কোত্থেকে? দুঃসময়ে এরা কই ছিল? আবার খারাপ সময়ে এরা কই থাকবে? কোনো দিন রাজপথে মিছিল না করে, জেল-জুলুম-নির্যাতন না সয়ে যে ব্যক্তিটি এখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, সে দুঃসময়ে কোথায় থাকবে, কানাডা না মার্কিন মুলুকে?

বাংলাদেশে ইউপি নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়েছেন যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সন্তানরা। নৌকার টিকিট পেয়ে তারা এখন ভেংচি কাটছেন। জিয়ার সাফারি পরা ব্যক্তি এখন মুজিবকোট পরেন। আয়নায় তার চেহারা দেখে নিজেই হয়তো লজ্জা পান। এত চাটুকার, এত মতলববাজ এখন আওয়ামী লীগে যে আসল-নকল খুঁজে বের করাই দায়। দুঃসময়ের কান্ডারিরা এখন যেন হাল ছেড়ে দিয়েছেন। নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। কঠিন সময়ের বন্ধুরা সুসময়ে যখন দূরে সরে যায়, তখন তা দুঃসময়ের আগমনি বার্তা শোনায়। এখন ভুঁইফোঁড় রাজনীতিবিদ, আদর্শহীন সুযোগসন্ধানী আমলা ও মতলববাজ চক্র চাটুকারিতার মেলা বসিয়েছে, দুঃসময়ে তারা থাকবে না। সুসময়ের চাটুকাররা দুঃসময়ে পালায়। এরা দেশের জন্য ভাবে না, দলের জন্য ভাবে না, নেতার কথা চিন্তা করে না। আজ এরা যা কিছু করে সব নিজেদের জন্য। সুসময়ের চাটুকাররা স্মার্ট। এরা তৈলমর্দনে অসাধারণ। এরা ন্যায়-অন্যায় বোঝে না। পরিণতির কথা ভাবে না। এরা সাহস করে সত্য কথা বলে না। বাস্তবতা আড়াল করে এরা সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চায়। একটা রঙিন ফ্রেমে বাস্তবতাকে স্বপ্নলোকের মেকি আবরণ দিতে চায়। এদের উপদ্রব সুসময়ে বাড়ে। যখন আওয়ামী লীগের সুসময়ে অতিথি পাখির ভিড় তখন প্রশাসনে নব্য আওয়ামী লীগের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের চারপাশে শুধু সুবিধাবাদী, ধূর্তদের আনাগোনা। সব দেখে-শুনে চোখ বন্ধ করি। মস্তিষ্কে মুকুল দত্তের লেখা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানটি বেজে ওঠে- ‘বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও... ভুলো না তাকে ডেকে নিতে...’।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
যাচ্ছি কোথায়, আদর্শের রাজনীতিতে, ত‍্যাগে না উচ্ছিষ্ট ভোগে!
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
বন্দর চুক্তি : জোরজবরদস্তি চুক্তি করছে সরকার
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
জলবায়ু সহনশীল কৃষি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য
সর্বশেষ খবর
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে

নগর জীবন

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত

নগর জীবন