রাজধানীর মালিবাগে নির্মাণাধীন ট্রপিক্যাল টি এ টাওয়ার নামে দেশের সর্বপ্রথম ৪৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন এবং এটি হবে বাংলাদেশের অন্যতম সর্বোচ্চ ভবন। ৪৬ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন প্রকল্পের খালি জায়গা রয়েছে ৫০ শতাংশ। ছয়টি বেজমেন্টসহ ৪৫ তলাবিশিষ্ট ভবনে পার্কিং করা যাবে ৩২৮টি গাড়ি। অফিস স্পেস সাইজ : ১৩০৬ বর্গফুট থেকে ২৮১৩ বর্গফুট। প্রতিটি ফ্লোরে টোটাল স্পেস : ১৭ হাজার ৯৮২ বর্গফুট। লিফট অ্যান্ড এস্কেলেটর : ১৪টি প্যাসেঞ্জার লিফট, দুটি সার্ভিস লিফট এবং ছয় জোড়া এস্কেলেটর
ট্রপিক্যাল হোমস্ লিমিটেডের পরিচালক (সেলস, মার্কেটিং, ল্যান্ড অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস) এম হক ফয়সল বলেন, ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা ও যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ১০০টির বেশি প্রকল্প হস্তান্তর করেছি এবং ২ হাজার ৪০০ অ্যাপার্টমেন্ট, ১০ লাখের বেশি স্কয়ার ফুট বাণিজ্যিক স্পেস গ্রাহকদের বুঝিয়ে দিয়েছি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এম হক ফয়সল বলেন, আসন্ন রিহ্যাবের আবাসন মেলায় মোট ২৫টি আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করবে ট্রপিক্যাল হোমস্। যেখানে মোট ৫৪০টি অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৭০০টির বেশি অফিস স্পেস, দোকান ও শোরুম রয়েছে। যার মধ্যে ২০০টির মতো অ্যাপার্টমেন্ট এবং ৪৫০টির মতো বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রয়যোগ্য। তিনি বলেন, আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পগুলোর লোকেশন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, মাটিকাটা মেইন রোড, উত্তরা, বসুন্ধরা, আফতাবনগর, বনশ্রী, মিরপুর, জলসিঁড়ি আবাসন, ফকিরাপুল, টঙ্গী ও সাভার ডিওএইচএস। এসব এলাকায় মোট অ্যাপার্টমেন্ট সংখ্যা ৫৪০টি। অ্যাপার্টমেন্টের সাইজ সর্বনিম্ন ৯২৬ বর্গফুট ২ বেড রুম, সর্বোচ্চ ২৮৫০ বর্গফুট ৪ বেড রুম। প্রতি বর্গফুটের দাম ৭০০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। রিহ্যাবের আবাসন মেলায় বিক্রির জন্য বিশেষভাবে প্রদর্শন করা হবে ট্রপিক্যাল হায়দার অমরাপুরি। বনশ্রীর প্রধান সড়কে অবস্থিত আধুনিক কনডোমিনিয়াম। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো-বাতাস ও সবুজের সমারোহে ৬ বিঘা (১২০ কাঠা) জমির ওপর নির্মাণাধীন প্রকল্পে খালি জায়গা রয়েছে ৬২ শতাংশ। দুটি বেজমেন্টসহ ১৭ তলা ভবনের ফ্ল্যাট সাইজ : ১৫৯২ বর্গফুট ও ২৩২৬ বর্গফুটের মাঝখানে আরও কয়েকটি সাইজের ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়াও দুটি সুইমিং পুল, ০.৪ কি.মি. জগিং ট্র্যাক, ব্যাডমিন্টন কোট, আধুনিক জিম, ছাদবাগান, সুপারশপ, এটিএম বুথ, মেডিসিন কর্নার, নামাজের জায়গা, কমিউনিটি হল, রেস্টুরেন্ট, বারবিকিউ জোন, ইনডোর গেমিং জোন, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, লেডিস পারলার, মেন্স সেলুন, লাইব্রেরি, লন্ড্রি, ডে-কেয়ার সেন্টার, মিনারেল ওয়াটার প্লান্ট, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
এম হক ফয়সল বলেন, রাজধানীর মালিবাগে ট্রপিক্যাল টি এ টাওয়ার নামে দেশের সর্বপ্রথম ৪৫ তলা বাণিজ্যিক ভবন এবং এটি হবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ভবন। ৪৬ কাঠা জমির ওপর নির্মাণাধীন প্রকল্পের খালি জায়গা রয়েছে ৫০ শতাংশ। ছয়টি বেজমেন্টসহ ৪৫ তলাবিশিষ্ট ভবনে পার্কিং করা যাবে ৩২৮টি গাড়ি। অফিস স্পেস সাইজ : ১৩০৬ বর্গফুট থেকে ২৮১৩ বর্গফুট। প্রতিটি ফ্লোরে টোটাল স্পেস : ১৭ হাজার ৯৮২ বর্গফুট। লিফট অ্যান্ড এস্কেলেটর : ১৪টি প্যাসেঞ্জার লিফট, দুটি সার্ভিস লিফট এবং ছয় জোড়া এস্কেলেটর। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, লাক্সারি হোটেল, আধুনিক সুপার মার্কেট, কনফারেন্স হল, প্রশস্ত মসজিদ, রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি হল, ছাদের পরে হেলিপ্যাড, ছাদের ওপরে সুইমিং পুল ও কফি কর্নার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা জিম, লেডিস পারলার, মেন্স সেলুন, থ্রিডি মুভি থিয়েটার, ভি আর রুম, ইনডোর গেমিং জোন ও বাচ্চাদের খেলার জায়গা। এম হক ফয়সল বলেন, গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা আবাসন প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগত মানসম্পন্ন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের সহযোগিতা এবং প্রকল্পের বাহ্যিক শৈল্পিকতা এবং গ্রাহকদের বসবাসের ক্ষেত্রে নিত্যনতুন প্রযুক্তি এবং সর্বোপরি পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করি। যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস থাকে, সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবা নিশ্চিতে আমরা দায়বদ্ধ থাকি। তিনি আরও বলেন, করোনা-পরবর্তী ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমরা সম্মানিত ভূমি মালিক, গ্রাহক ও কোম্পানি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বর্তমান ব্যবসাকে প্রসারিত করছি। যা উপরোক্ত দুর্যোগপূর্ণ সময়ের মধ্যেও কাক্সিক্ষত ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। রিহ্যাব মেলায় আমাদের প্রথম লক্ষ্য গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জন। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন এলাকায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প নিয়ে আসব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিশ্বমানের বাণিজ্যিক স্থাপনা যা (ছয়টি পার্কিং ও ৪৫টি বাণিজ্যিক তলা) গ্রাহকদের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি এলাকায় নতুন আবাসিক প্রকল্প গ্রাহকদের ক্রয়ের জন্য উপস্থাপন করা হবে। আমরা আশা করছি, আমাদের প্রতিটি প্রকল্প গ্রাহকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। উক্ত প্রকল্পগুলো ইতোমধ্যে দেশের আবাসন ব্যবসায় বড় ধরনের সাড়া ফেলেছে। আমরা বরাবরের মতো এবারও গ্রাহকদের জন্য প্রকল্প ভিত্তিতে বিশেষ বিশেষ সুবিধাদি প্রদান করব। সে ক্ষেত্রে আমাদের বিপণন কর্মীরা মেলা চলাকালীন গ্রাহকদের অবগত করবেন।