ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় উপশহরে আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নির্মাণসামগ্রীর মূল্য হ্রাস, রেজিস্ট্রেশন খরচ সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হলে সাশ্রয়ী দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করা সম্ভব হবে
প্রতীক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এনামুল হক খান, বিএন (অব.) বলেছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নানা অস্থিরতা, ক্রেতা-বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা, উচ্চ নিবন্ধন ফি, ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধন না করাসহ বেশ কিছু কারণে দেশের আবাসন ব্যবসা ঝিমিয়ে পড়েছে। ঢাকায় ফ্ল্যাট বুকিং ও বিক্রি কমে গেছে। ফলে দেশের আবাসন খাতে কিছুটা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক খান বলেন, ঢাকা মহানগরের জন্য নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ (২০২২-৩৫ সাল) কার্যকর হওয়ার পর থেকে আবাসন খাতে নতুন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। আগে ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় ভবনের যে আয়তন পাওয়া যেত; সে তুলনায় এখন পাওয়া যাচ্ছে ৬০ শতাংশ আয়তন। ফলে জমির মালিকরা আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রকল্প করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এদিকে এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই শতাধিক ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ বা সহযোগী শিল্পও ভালো নেই। সব মিলিয়ে আবাসনশিল্পের ৪৫৮ উপ-খাত ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি বলেন, ফ্ল্যাটের বিক্রি কম হলেও এর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের ফ্ল্যাট। ক্রেতারা ১২০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট কিনেছেন বেশি। অর্থাৎ তিন রুমের ফ্ল্যাট। আর দুই ও চার রুমের ফ্ল্যাটও বিক্রি হচ্ছে। ছোট ফ্যামিলি দুই রুম এবং বড় ফ্যামিলিরা চার রুমের ফ্ল্যাট নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় উপশহরে আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নির্মাণসামগ্রীর মূল্য হ্রাস, রেজিস্ট্রেশন খরচ সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হলে সাশ্রয়ী দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করা সম্ভব হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। গ্রাহকদের উদ্দেশে এনামুল হক খান বলেন, গ্রাহকরা কিন্তু প্রতারণার কথা শুনেছেন। এজন্য সেক্টরের ভালো দিকগুলো গ্রাহকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। ফ্ল্যাট ও প্লট কিনতে হলে তাদের কী সম্পর্কে জানতে হবে সেটা গ্রাহকদের শেখাতে হবে। আবাসনশিল্পের মূল চ্যালেঞ্জ হলো এ শিল্পের প্রতি গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা। আর এ আস্থা ফিরিয়ে আসবে তখনই যখন এ সেক্টর সম্পর্কে গ্রাহকদের ভালোভাবে জানানো যাবে।