"আমাদের আমরণ লড়াই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আর মানবতার সাহায্যার্থে" এই শ্লোগান নিয়ে LUSOM ষষ্ঠবারের মতো গত ১৮ মে রবিবার সিডনির ক্যাম্পবেলটাউন বাংলা স্কুল ক্যাম্পাসে সকালের নাস্তার আয়োজন করে। দেশটিতে এখন শীত পড়ছে। এই শীতের সকালে যারা পিঠা ভালবাসেন, সকালের নরম রোদে ধূমায়িত চায়ের কাপ হাতে করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে পছন্দ করেন, প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে প্রিয় সব গান শুনতে ভালবাসেন, এই পৃথিবীকে 'To make it a better place for you and for me and for the entire human race' তাদেরকে ঘিরে আয়োজিত হয়েছিলো এই প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানটি।
সকাল দশটা থেকেই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ অংশগ্রহণকারী আর ক্রেতা দর্শকদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে। স্টলগুলোতে নানা ধরনের মুখরোচক আর সুস্বাদু পিঠাসহ পরোটা, মাংস, ভাজি, লাবরা, কাবাব ও বিভিন্নপদের মিষ্টি বিশাল সমাহার ছিল। এই মেলা থেকে বিক্রিত সমুদয় অর্থ ক্যান্সার কাউন্সিলে প্রদান করা হয়।
সংস্থার অন্যতম সংগঠক মিসেস রোকেয়া আহমেদ বলেন, LUSOM মানে Let Us Shape Our Money. আমদের এই ফান্ড শেপিং-এর মধ্যে সেভিংস, ইনভেস্টমেন্ট এবং চ্যারিটি অন্তর্ভুক্ত। এই কষ্টার্জিত আয়কে নিজেদের এবং অন্যের কল্যাণে ব্যয় করা। তাই LUSOM-এর সব নারী সদস্যরা অপচয় কমিয়ে সংসারের ব্যয়ভার থেকে প্রতিমাসে কিছু সঞ্চয় করে সেই সম্মিলিত অর্থ প্রবৃদ্ধিমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। পাশাপাশি যতদূর সম্ভব জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানবতার সেবা করে থাকে। সোজা কথায় LUSOM-এর পলিসি হলো 'Live and Let others live'।
তিনি আরও বলেন, এই পলিসি থেকেই LUSOM গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন চ্যারিটি ও ফান্ডরেইজিং কাজে অংশ নিয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: Australian Biggest Morning Tea-এর আয়োজন, ক্যাম্পবেল টাউন বাংলা স্কুলের ফান্ডরেইজিং এ সহায়তা করা এবং অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মিন্টু মসজিদ প্রকল্পে অনুদান।