বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বঙ্গাব্দ উদযাপনে বৈশাখী উৎসবের আয়োজন করেছে জেদ্দায় 'মরু-প্রবাসী বৈশাখী উৎসব' সাংস্কৃতিক সংগঠন। পহেলা বৈশাখে জেদ্দার দাহবান ভিলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও ছিল পিঠাবাহারী, মহিলা এবং শিশুকিশোরদের খেলাধুলা, বৈশাখীসাজ এবং সঙ্গীতানুষ্ঠান।
অপরাহ্ণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছোট্টমণি থেকে শুরু করে টিনএজ ছেলেমেয়েদের জন্যে ছিল বিভিন্ন খেলাধুলা প্রতিযোগীতা। ছিল মেধা প্রতিযোগিতা। মহিলাদের জন্যে ছিল পিলো প্রতিযোগিতা। বৈশাখী উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল বাহারী পিঠা প্রতিযোগিতা। সেই সাথে ভর্তা প্রতিযোগিতা। ছিল বৈশাখী সাজ প্রতিযোগিতা।
বাহারী সব পিঠার স্বাদ নিয়ে নববর্ষের প্রথম দিনটি আনন্দঘন করে রাখে অংশগ্রহণকারী সকলে। পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেরা পাঁচ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া সব প্রতিযোগিতার জন্যে ছিল আকর্ষণীয় পুরস্কার।
বৈশাখী উৎসাবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী আলম-এর তত্ত্বাবধানে একঝাক তরুণ শিল্পী ভাটিয়ালি, পল্লী ও মারফতী গানে মাতিয়ে রাখে দর্শকদের। হারিয়ে যাওয়া অনেক গানের সুরলহরী আপ্লুত করে পুরনো দিনের স্মরণে। বৈশাখী নৈতভোজে ছিল পান্তা-ইলিশ, পোলাও, মুরগি, মাংস ও হরেক রকম ভর্তা। সেই সাথে পিঠা-পায়েশ তো ছিলই।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নতুন এই সাংস্কৃতিক সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী শাফায়েত হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জ. মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন সাদেক আহমেদ, কাজী নেয়ামুল বশির, আবুল বাশার বুলবুল, হুমায়ূন কবির, রুহুল আমিন টিপু, ইঞ্জি. আবু ফারুক, সৈয়দ জালাল।
সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক কে.এইচ.এম শাহজাহানের প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় আলোচকগণ ছোট পরিসরে এমন একটি আনন্দঘন বৈশাখী উপহার দেয়ার জন্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জি. মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন নিজের আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, বৈশাখী উৎসবে বিভিন্ন খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারা এবং পুরস্কার জিতে নেয়া অনেক আনন্দের। প্রধান অতিথি হিসেবে নয়, অংশগ্রহণকারী হতে পারলে তিনি বেশি খুশি হতেন। একটি সফল আয়োজনের জন্যে তিনি অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির সমাপনির বক্তব্যে কাজী শাফায়েত হোসেন ছোট্ট পরিসরে আয়োজিত বৈশাখী উৎসবে অংশগ্রহণের জন্যে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। মিডিয়া প্রদিনিধি এবং সঙ্গীত শিল্পীগণকে মোবারকবাদ দেন তিনি। ভোর রাতে শেষ হয় অনুষ্ঠান। তবে শেষ হয়েও হয়নি শেষ, বৈশাখী আনন্দের রেশ।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর