১৮ জুন, ২০১৯ ১১:৩১

প্যাটারসনে বাংলাদেশ বুলেভার্ড’র উদ্বোধন ২২ জুন

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে :

প্যাটারসনে বাংলাদেশ বুলেভার্ড’র উদ্বোধন ২২ জুন

নিউজার্সির প্যাটারসন সিটিতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত একটি এলাকার সড়কের নামকরণ করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ বুলেভার্ড।’ 

গত স্বাধীনতা দিবসে প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলে এ বিল পাশ হয়েছে কাউন্সিলম্যান শাহিন খালিকের প্রস্তাবে। নামফলকটি আনুষ্ঠানিকভাবে উম্মোচন করা হবে ২২ জুন শনিবার। এ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। 

বাংলাদেশি-আমেরিকান কাউন্সিলম্যান শাহিন খালিক এসব তথ্য জানান নিউইয়র্কে পালকি চায়নিজ সেকশনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে। 

এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, প্যাটারসন সিটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মূলধারায় আরোহনে এ এক বিরাট স্বীকৃতি। আমি চেষ্টা করছি বিদ্যমান সকল সুযোগ-সুবিধা যাতে প্রবাসীরা ভোগ করতে সক্ষম হন। নামফলক উম্মোচনী সমাবেশে স্টেট গভর্নর, স্থানীয় কংগ্রেসম্যান এবং সিটি মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন। এ উপলক্ষে সেখানে বাঙালি সংস্কৃতির আলোকে বড়ধরনের একটি কনসার্ট ও মেলা বসতে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে সেই মেলা ও কনসার্ট। এ কর্মসূচিতে নিউইয়র্কের প্রবাসীদেরকেও সাদর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক এনাম চৌধুরী। বিশিষ্টজনদের মধ্যে মঞ্চে ছিলেন প্যাটারসন বোর্ড অব এডজাস্টমেন্ট কমিশনার জায়েদ রহিম, কন্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভিন, উপস্থাপক সোনিয়া, কমিউনিটি লিডার আবু সুফিয়ান।
এ সময় কাউন্সিলম্যান খালিক জানান, সিটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকলের নিরাপত্তা, রাস্তা সম্প্রসারণ, তরুণদের বিনোদনের প্রসার, খেলাধূলার ব্যবস্থা, পাবলিক স্কুলে হালাল খাদ্য চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলতি শিক্ষা বর্ষে দুটি স্কুলে হালাল খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সামনের শিক্ষাবর্ষে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে-এমন সব স্কুলেই সে কর্মসূচি চালু হবে। তিনি বলেন, মসজিদসমূহে মাইক থেকে আজান দেয়ার বিধি করার চেষ্টা আছি। পাবলিক স্কুলে বাংলাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও চালাচ্ছি। 
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন প্যাটারসনে ১৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এই সিটিতে ইতিমধ্যেই ‘জালালাবাদ স্টিট’ নামকরণ হয়েছে জালালাবাদ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার। এছাড়া, এই সিটিতে রয়েছে স্থায়ী একটি শহীদ মিনার। 

আরো উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটিতে ৩ লাখের অধিক বাংলাদেশি বসবাস করলেও জাতিগত ঐক্যের অভাবে বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশের জাতির পিতা অথবা বাংলাদেশের পরিচিতি উদ্ভাসিত হওয়া-এমন কিছুর নামে কোন রাস্তার নামকরণ করা সম্ভব হয়নি। নিউইয়র্কে ব্রঙ্কস এলাকায় কয়েক বছর আগে একটি সড়কের নামকরণ ‘বাংলাবাজার’ হয়েছে। এছাড়া, ওজনপার্কে স্পানিশ দুর্বৃত্তের নিষ্ঠুর আচরণে নিহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ ‘মিজানুর রহমান ওয়ে’ এবং ৯/১১ এর ভিকটিম দম্পতি ‘শাকিলা-নূরল হক’র স্মৃতি স্মরণীয় রাখতে ব্রুকলীনে একটি সড়কদ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে। এর বাইরে কিছু নেই। কয়েক বছর আগে জ্যাকসন হাইটসে ৭৩ স্ট্রিট এবং ৩৭ এভিনিউ’র কর্নারকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডকে ‘বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার’ হিসেবে ঘোষণার একটি উদ্যোগ পরিলক্ষিত হলেও রাজনৈতিক দ্বিধা-বিভক্তির কবলে পড়ে তার বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব হয়নি। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর