করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের এনাপোলিস প্রবাসী ডা. আবদুল মান্নান (৮০) মারা গেছেন। বগুড়ার সন্তান ডা. আবদুল মান্নান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশুনা করেন। পরে তিনি ইংল্যান্ডে পড়াশুনা শেষে ১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান।
শনিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ডা. আবদুল মান্নান মারা যান। তিনি এক পুত্র, এক কন্যা ও চার নাতি নাতনী রেখে গেছেন।
এদিকে, একই দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভার্জিনিয়ার মুজাহিদুর রহমান (৭০) নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, মুজাহিদুর রহমানের স্ত্রী প্রথমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানে তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় হোম কোয়ান্টোইনে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেও আক্রান্ত হয় তার স্বামী মুজাহিদুর রহমানসহ পরিবারের আরও ৫ জন।
গত শনিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুজাহিদুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নভেল করোনাভাইরাসে ভার্জিনিয়ার উডব্রীজে বসবাসকারী মুজাহিদুর রহমানের মৃত্যু বৃহত্তর ওয়াশিংটনে প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু। এই মৃত্যুর সংবাদে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।
মুজাহিদুর রহমানের এক নিকটাত্মীয় জানান, এই রোগ এত খারাপ যে, এই দুঃসময়ে কেউ তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছে না। অনুমতি মিলছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে। মুজাহিদুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মুজাহিদুর রহমানের মৃতদেহ হস্তান্তর করার পর মরহুমের জানাজা ও দাফনের আয়োজন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন