রাজপথের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশী আচরণের সংস্কারের জন্যে ডেমক্র্যাটরা কংগ্রেসে ‘জাস্টিস ইন পোলিশিং অ্যাক্ট ২০২০’ শিরোনামে বিল উত্থাপন করেছে। বিল উত্থাপনের দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পুলিশ অফিসারের ৯৯% ই খুবই ভদ্র এবং দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠবান।
ট্রাম্পের আইন মন্ত্রী বিল বার বলেছেন, গুটি কতক দুষ্ট অফিসারের জন্যে সকলকে অভিযুক্ত করার অবকাশ নেই।
অর্থাৎ জাতীয়ভাবে গড়ে উঠা একটি দুর্বার আন্দোলনের প্রতিও ন্যূনতম শ্রদ্ধা জানানোর মনোভাব দেখা যায়নি ট্রাম্পের মধ্যে।
তবে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেক সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান জনতার আন্দোলনের সাথে ইতিমধ্যেই ঐক্যমত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ পুলিশী বর্বরতা এবং বর্ণবাদ নির্মূলের মিছিলেও শরিক হয়েছেন।
২৫ মে মিনেসোটা স্টেটের মিনিয়াপলিস সিটির একটি স্টোরে ২০ ডলারের জাল নোট দিয়ে কিছু ক্রয়ের অভিযোগে সেখানকার পুলিশ গ্রেফতার করে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে। হাতকড়া পরানোর পর ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে দিয়েই তার ঘাড়ে হাঁটু চাপা দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি পরদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশের পর সারা আমেরিকায় তুমুল বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছে। গতকালও যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধশত সিটিতে পুলিশের ঐ বর্বরতার নিন্দা, প্রতিবাদ এবং পুলিশী আচরণ সংক্রান্ত বিল ঢেলে সাজানোর দাবি তোলা হয়েছে।
পুুলিশ বাহিনী ভেঙ্গে দেয়া অথবা বাজেট কমিয়ে দেয়ার স্লোগানও উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান এই বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা