কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশ অফিসের তত্ত্বাবধানে এবার ২০ হাজার অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণ করা হয়েছে। করোনা মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের ১৯টি কেন্দ্র থেকে এই গোশত বিতরণ করা হয়েছে।
আজ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্প পরিচালক মো. সোহেল আলম জানান, গোশত বিতরণের আগে অত্যন্ত পরিচ্ছিন্নভাবে তা প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু জবাই করার পর প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়, তারপর গোশত ছোট ছোট আকারে কেটে পলিথিন ব্যাগে পরিমাণ মতো ভরে বিতরণ করা হয়। গোশত গ্রহীতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাইন ধরে একজনের পর একজন কাতার চ্যারিটির এই ঈদ উপহার গ্রহণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেয়া হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মাংস বিতরণের এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশ অফিসের পরিচালক ড. মো. আমিন হাফিজ ওমর কিশোরগঞ্জের ভৈরব সেন্টারে উপস্থিত থেকে গোশত বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এছাড়া রংপুরের গঙ্গাচড়া, লালমনিরহাটের আদিতমারী, ঢাকার ধামরাই, সিলেট সদর, কুষ্টিয়ার কুমারখালি এবং বাগেরহাটের ফকিরহাটসহ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গোশত বিতরণের এই কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক