১৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:৩১

জাতীয় শোক দিবসে যুক্তরাজ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা

আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য:

জাতীয় শোক দিবসে যুক্তরাজ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ১টায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের সঞ্চালনায় শোক দিবসের ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু স্বাধীনতা এনেই দেন নি, বাঙ্গালি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক নেতা এসেছেন। কিন্তু একটি জাতীকে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে মাত্র সাড়ে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ড। বঙ্গবন্ধু ছাড়া এমন নেতা আর আসেন নি।

প্রধান বক্তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।’

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় কীভাবে আছেন তার কাগজপত্র বাংলাদেশকে দিতে সম্মতি দিয়েছে দেশটির আদালত। আর যুক্তরাষ্ট্রের থাকা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে অগ্রগতির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। বাকি তিন খুনি কর্নেল শরীফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ এবং মোসলেউদ্দিন রিসালদারের অবস্থান না জানলেও সরকার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। এটি ছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে মুছে দিয়ে আবার পাকিস্তানের অংশ বানানোর ষড়যন্ত্র।

বিশেষ অতিথি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, যাঁর নেতৃত্ব ও সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাকে হত্যায় বিশ্ব স্তম্ভিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে যে ভাবমূর্তি এ দেশের মানুষ বিশ্বে অর্জন করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এর ওপর বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। 

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েক জন খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আরও কয়েক জন খুনি দেশ-বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদেরকে দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর