কুয়েত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দেশ হিসেবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পাঁচটি দেশকে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় আছে বাংলাদেশ। করোনা প্রাদুর্ভাবের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত দেশের প্রবাসীদের কুয়েতে সরাসরি প্রবেশের এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জানা যায়, কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো হল- ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। এই দেশগুলি থেকে ভ্রমণকারীদের কুয়েতে সরাসরি প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জারি হলে দেশটির মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। তবে চিকিৎসক, কূটনীতিক বা যারা করোনা কমিটি থেকে এন্ট্রি পারমিট পেয়েছেন তারাই প্রবেশ করতে পারবেন।
এদিকে, কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের সংখ্যা দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি করা হচ্ছে, যা পূর্বে তিন হাজারের বেশি ছিল না। কুয়েতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ডা. বাসিল হামমুদ আল-সাবাহ
স্বাস্থ্য পরিস্থিতির সর্বশেষ উন্নতি ব্যাখ্যা করেছেন মন্ত্রিসভার কাছে। ক্রমাগত সংক্রমণ এবং মৃত্যু হ্রাস সহ নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা গ্রহণকারীদের বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি।
কুয়েতে টিকা অভিযানকে ত্বরান্বিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। বর্তমানে টিকা কেন্দ্রগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধির পর প্রতিদিন এক লাখ টিকা দেওয়ার অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিচ্ছে, যা সারা কুয়েতজুড়ে ১০০টি টিকা কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় বড় বড় কোম্পানিসহ যেখানে বেশি কর্মী সেখানে সরকারি ভাবে মন্ত্রণালযয়ের টীম গিয়ে টিকা দিয়ে আসছে।
কুয়েতে প্রবেশের অপেক্ষায় যারা বিভিন্ন দেশে যারা আছেন তাদের কুয়েত সরকার অনুমদিত ভ্যাকসিন গ্রহনের পর কুয়েত সরকারের অ্যাপস 'কুয়ের মোসাফার এন্ড ইমিউনিটি'-সহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট কুয়েত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকলে কুয়েতে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে না জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত