২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৪৮

ফ্রান্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

ফ্রান্স প্রতিনিধি

ফ্রান্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসব মুখর পরিবেশে ফ্রান্সের প্যারিসে ৫১তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষে প্যারিসের হোটেল প্যাভিও রয়েলে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ফ্রান্স প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ফ্রান্সে নিযুক্ত বিভিন্ন বন্ধু প্রতীম দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাগণ, ফ্রান্সের বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী মহলের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন ।

বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান, এনডিসি সকল অতিথিবৃন্দকে অভ্যর্থনা জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠন, উন্নয়ন, দেশ ও বিদেশে সশস্ত্রবাহিনীর উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সম্বলিত একটি তথ্যবহুল ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা তার বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে ও যুদ্ধ পরবর্তী দেশ মাতৃকার সেবায় ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। 

তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপযোগী ১৯৭৪ সালের প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গঠন ও উন্নয়নের চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন। একই সাথে তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ‘‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’’ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর পূনর্গঠন, আধুনিকায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে একটি যুগোপযোগী ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গঠন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, অসামান্য অবদান ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।

প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দিবসটির মাহাত্ম ও তাৎপর্য উল্লেখপূর্বক বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ধারাবাহিক ও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এবং দেশ ও বহির্বিশ্বে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করেন। 

তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সাথে ফ্রান্সসহ অন্যান্য সকল বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার বর্তমান সুসম্পর্ক, আন্তঃযোগাযোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও অগ্রগতির এই ধারাকে অব্যাহত রেখে উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর