পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাজধানীর জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার লিটন তার্কিশ গ্রীলে 'বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদ' এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়া, আবৃতি, গান, নারীদের বালিশ খেলা, নৃত্য পরিবেশন, পান্তা ইংলিশ-ভর্তা ভোজন এবং স্থানীয় ব্যান্ড দলের সংগীত অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী ছিল জমকালো আয়োজন। অনুষ্ঠানে পর্তুগালের অন্তত তিন শতাধিক পরিবারসহ সহস্রাধিক প্রবাসী দেশীয় সাজে অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা জানান, পর্তুগালে বাংলাদেশি কমিউনিটি বড় হলেও এর আগে সবার অংশগ্রহণমূলক বর্ষবরণ এমন অনুষ্ঠান হয়নি। এবার প্রথম অনুষ্ঠানে সবাই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে অংশগ্রহণ করে পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাব।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তছলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সাগর, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও তরুণ উদ্যোক্তা রনি হোসাইন, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, বর্তমান সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, সহ-সভাপতি আনোয়ার এস খান ফাহিম, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ (প্রিন্স), ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, যুবনেতা আহমেদ লিটন, সাংবাদিক এস.এম আজাদ, টিপু, আসাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ও আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক ইব্রাহিম খলিল সাগর ও রনি হোসাইন বলেন, আগামীতে পর্তুগালের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেই সাথে ঘোষণা করেন আজ থেকে নতুন ভাবে বাংলাদেশের সকল জাতীয় কালচারাল অনুষ্ঠানগুলো খোলা মাঠে বড় পরিসরে আয়োজন করে এখানে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধারার জন্য কাজ করবেন।
সেই সাথে, এ ধরনের আয়োজন সফল করতে কমিউনিটির সবাইকে দলমত নির্বিসরে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ ও এডভোকেট রাসেল মজুমদারের সঞ্চালনায় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ইলিশ এবং ১০ ধরনের মুখরোচক ভর্তা পরিবেশন করা হয়। বিকালে নারীদের বালিশ খেলা, স্বেচ্ছায় সঙ্গীত পরিবেশন, শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্যান্ড সংগীত অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত