বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির-বিএনপির সন্ত্রাস বন্ধের জন্য যথাযথ সহযোগিতার আবেদন সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সমীপে ২৯ জুলাই প্রদান করা হয়েছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ লিবারেশেন ওয়ার ভেটেরান্স ১৯৭১ ইউএসএসহ মুজিব আদর্শে উজ্জীবিত সকল সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে জামায়াত-বিএনপি-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে ডাকা সমাবেশস্থলে এসে মহাসচিবের পক্ষে পদস্থ কর্মকর্তা আদিত্য অধিকারি এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা ড. প্রদীপ করের কাছ থেকে।
এ সময় সেখানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, যুব সম্পাদক ড. মাহবুবুর রহমান টুক, বাংলাদেশ লিবারেশেন ওয়ার ভেটেরান্সের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজসহ নেতৃস্থানীয়রা।
এটি গ্রহণের পর মহাসচিবের রাজনীতি সম্পর্কিত কর্মকর্তা আদিত্য অধিকারি জানান, বাংলাদেশের ব্যাপারে জাতিসংঘের গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। আমরা সকলে সবসময় বাংলাদেশের সাথে নানা ইস্যুতে কাজ করছি। সে আলোকে এই স্মারকলিপির ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলা হবে। স্মারকলিপিতে বিভিন্ন সংগঠনের ৬২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সকল দাবি মেনে নেয়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীগণের সমন্বয়কারিরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে সমস্ত কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ষড়যন্ত্রকারি-জঙ্গিরা নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে শিক্ষার্থীগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নামে প্রচারণায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি উত্থাপণ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির-রাজাকারদের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এবং দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার দায়ে অবিলম্বে সকলকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয় এই কর্মসূচি থেকে।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ বাতেন, আমেরিকা-বাংলাদেশ এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট এম এ সালাম, বাংলাদেশি আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ফ্রন্টের নেতা খোরশেদ খন্দকার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শামসুদ্দিন আজাদ ও লুৎফুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আবুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, আওয়ামী লীগের নেতা ফরাসত আলী, হাজী শফিকুল ইসলাম, হাকিকুল ইসলাম খোকন, এম এ করিম জাহাঙ্গির, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, এডভোকেট শাহ বখতিয়ার, হুমায়ূন কবির, সিরাজউদ্দিন সোহাগ, সাখাওয়াত আলী, আকতার হোসেন, শরাফ সরকার, আব্দুল হামিদ, তারেকুল হায়দার চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ শাহনাজ, সেক্রেটারি ফরিদা ইয়াসমিন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইমদাদ চৌধুরী, নূরল ইসলাম নজরুল, যুবলীগের নেতা বাহার খন্দকার সবুজ, শেখ হাসিনামঞ্চের সভাপতি জালালউদ্দিন জলিল, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি আজিজুল হক খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি সৈয়দ কিবরিয়া জামান , সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত বিশ্বাস, আওয়ামী ওলেমা লীগের নেতা মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া, সহ-সভাপতি শেখ আতিক, সেক্রেটারি শাহীন আজমল, ছাত্রলীগের নেতা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন