শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:২২, সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

সুলতান মনসুরের বঙ্গবন্ধু সাধনা

ছরওয়ার হোসেন
অনলাইন ভার্সন
সুলতান মনসুরের বঙ্গবন্ধু সাধনা

শোকের মাস আগস্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, বাংলার রাজাধিরাজ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃসংশ হত্যার রক্তস্নাত শোকাবহ মাসে নানাকারণে দেশের অত্যন্ত প্রসিদ্ধ জনপদ কুলাউড়ার স্থানীয় সংসদ সদস্য জননেতা সুলতান মনসুরের উদ্যোগে কুলাউড়ার বৃটিশ আমলের ডাকবাংলো'র নাম পরিবর্তন করে 'বঙ্গবন্ধু উদ্যান' নামকরণ করা হয়েছে। নি:সন্দেহে এটি একটি অত্যন্ত বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যা সংবাদপত্র ও সামাজিক মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে দেশে বিদেশে রাজনীতি ও সমাজসচেতন মানুষের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

রাজনৈতিক দোস্ত দুশমন নির্বিশেষে সকলেই (মৌলভীবাজার-২) কুলাউড়ার স্থানীয় সংসদ সদস্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র, পচাঁত্তরে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধের অন্যতম কমান্ডার, চতুর্দিকের দুর্নীতির রাহুগ্রাসে জর্জরিত সমাজে আলোর সন্ধানে উচ্চকণ্ঠ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক, দেশের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাজনীতির ক্ষণজন্মা কীর্তিমান নেতৃত্ব, সাবেক ডাকসু ভিপি ও কিংবদন্তী ছাত্রনেতা জননেতা সুলতান মনসুরের প্রতি অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

একশত বছর পূর্বে ঔপনিবেশিক বৃটিশের দেওয়া নাম 'কুলাউড়া ডাকবাংলো'র পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন নামকরণ করেছেন 'বঙ্গবন্ধু উদ্যান'। সত্যিকারের এক চমকপ্রদ উদ্যোগে তিনি শোকের মাসে সমগ্র বাঙালির বেদনাসিক্ত হৃদয়ে প্রেরণার বহ্নিশিখা প্রজ্জ্বোলিত করেছেন। সমগ্র দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিকদেরও এ থেকে সৎ সাহস ও সৎ উদ্যোগের শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে এ সংবাদের প্রেক্ষিতে গভীর শ্রদ্ধাসিক্ত হৃদয়ের গভীর থেকে আমরা যারা বঙ্গপিতা মুজিবকে ভালোবাসী, শ্রদ্ধা করি, যারা তাঁর আদর্শের উত্তরসূরী, একনিষ্ঠ কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ী তাদের মধ্যকার অতি ক্ষুদ্র প্রাণ এক' আনন্দে ব্যাকুল হৃদয়ের সমগ্র বিহ্বলতাকে আলিঙ্গন করে সুদুর যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র সুলতান মনসুরকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন। এর বিপরীতে পরনিন্দা, পরচর্চায় উৎসাহী, জনবিচ্ছিন্ন স্বার্থান্বেষী পরশ্রীকাতর প্রতিক্রিশীলচক্রও বসে নেই। তাদের গা জ্বালা শুরু হয়েছে দেখে অবাক নই। এরা আছে বলেইতো টুঙ্গিপাড়ার 'খোকা' হয়েছিলো 'বঙ্গপিতা', আর মরতে মরতে ধ্বংসপ্রায় পরিস্থিতি থেকে বঙ্গপিতার দু:সাহসিক আদর্শে বলীয়ান হয়ে ফিনিক্স পাখির মতো সুলতান'রা সৎ সাহসের বিত্তদ্বারা গণমানুষের চিত্ত জয় করে গর্জে উঠে বার বার। এটাই বিধির বিধান। এটাই রাজনীতির চিত্তাকর্ষক দিক। তাইতো রাজনীতির মহা দুর্যোগেও বঙ্গপিতার মানসপুত্রের কণ্ঠে শোভা পেয়েছিলো-" আমার সমালোচক আমার শক্তির উৎস"।

সুলতান চরিত্রের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে, তিনি যা বিশ্বাস করেন তা অকপটে প্রকাশ করেন (যদিও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই বড় ‘দোষ’)। আর যে সত্য বলতে অন্যেরা রাখঢাক করে কিংবা ইতস্তথায় ভোগেন, তিনি তা সহসাই স্বীকার করেন। তার বক্তব্য মূহুর্তে দেশে বিদেশে প্রচার হয়ে যায়, আলোড়িত হয়, আন্দোলিত হয়- যা তাঁর প্রতিদ্বন্ধি বা শত্রুদের মাথা ব্যথার কারণ। ফলে দলে ও দলের বাইরে যেমন তাঁর শত্রুর সংখ্যা অনেক, তেমনি বাংলার টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া আর রুপসা থেকে পাঠুরিয়ার সর্বত্র রয়েছে তাঁর অসংখ্য গুণগ্রাহী। বাংলাদেশের মানচিত্রের ভিতরে এমন কোন জনপদ নেই যেখানে সমাজসচেতন মানুষের মধ্যে তাঁর প্রতি আকর্ষিত মানুষের সংখ্যা নগণ্য। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার মানসিকতাই তাঁর প্রধান রাজনৈতিক ভুল, যা দেশব্যাপী শত্রু মিত্র সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেন। অথচ, এটাই তাঁকে আপন প্রজন্মের শ্রেষ্ট জনপ্রিয় নেতায় পরিণত করেছে, যা অনস্বীকার্য।

আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, বঙ্গবন্ধু আমার নেতা, তাঁর জীবনী আমার রাজনৈতিক আদর্শ, অন্য কিছু নয়। কিংবা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাদ দিয়ে সুলতান মনসুর রাজনীতি করতে পারে না-চরম রাজনৈতিক দু:সময়েও এমন স্বীকারোক্তি তাঁর রাজনৈতিক ও ব্যক্তি চরিত্রকে অনন্যমাত্রায় উপনিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর অনিঃশেষ অনুরাগ, নিখাঁদ প্রেম, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রমাণিত হয়েছে বিগত কিছুদিন পূর্বেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে। নির্বাচন উপলক্ষে যেদিন ঢাকা থেকে প্রথম কুলাউড়ায় আগমন করেন সেদিন রেলষ্টেশনের ঐতিহাসিক জনসমাবেশে বক্তৃতায় দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে যেমন তাঁর নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের শুরু করেছিলেন, তেমনি, নির্বাচনের দু দিন পূর্বে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনেও তাঁর কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশেষ শ্রদ্ধার স্বরুপ উপচে পড়েছিলো।

অথচ, নির্বাচনী যুদ্ধে তিনি ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং তাঁর কর্মী সমর্থকদের বৃহৎ অংশ ছিলো বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মী। নির্বাচনী যুদ্ধের ময়দানেও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশে তিনি ছিলেন ভয়হীন, নি:শঙ্ক। নির্বাচনী প্রচারণার এমন কোন বক্তৃতা নেই যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেননি। এসব অবলোকনে ঐ সময়ে এক গভীর রাত্রে টেলিফোনে আমি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম, বঙ্গবন্ধুর প্রতি আপনার অফুরন্ত শ্রদ্ধা- ভক্তি প্রদর্শনের বিপরীতে আপনার আদর্শিক বিপরীত মেরুর বিশেষ দলীয় নেতাকর্মীদের মনোভাব কি? তিনি আমাকে বললেন, কে কি ভাবলো তা দেখে দীর্ঘদিন রাজনীতি করা যায় না। তবে কি আমি নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিতে আমার আজীবনের লালিত আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবো? বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর মমতাজড়ানো কণ্ঠে তিনি বললেন, "সবার বঙ্গবন্ধু আর আমার বঙ্গবন্ধু এক নয়। তপ্ত যৌবনে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচুড়ার নীচে বসে প্রেমিকার হাতে হাত রেখে জীবন সাজানোর স্বপ্ন বুনার কথা ছিলো, প্রেয়সীর উষ্ণ চুম্বন হতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অনুভূতি- তখন বঙ্গবন্ধুর রক্তের বদলা নেওয়ার অভিপ্রায়ে যারা দেশত্যাগী হয়েছিলো তাদের বঙ্গবন্ধু একটু আলাদা। তারা সামান্য স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে পরিত্যাগ করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্র‍দর্শনের জন্য যদি কেউ আমাকে ভোট নাও দেয়, তবে সে ভোটের জন্য আমার আফসোস থাকবেনা। যেকোনভাবে এমপি হওয়া যদি আমার লক্ষ্য হতো তবে আজ শুধু এমপি নয়, হয়তো মন্ত্রীই থাকতাম। মনে রেখো, যতোদিন রাজনীতি করবো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান থেকে এবং জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলেই রাজনীতি করবো। এতে যা হয় হবে।" নির্বাচনী যুদ্ধের ময়দানেও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার স্বরুপ অবলোকনে আমি একটুও অবাক হইনি বরং তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়।

আজো ভাই ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মতো আওয়ামী লীগ নামধারী অনেক সুযোগসন্ধানী, স্বার্থান্বেষী, সুদিনের কোকিল সুলতান মনসুরের ভালো কাজগুলোকে নিয়েও সমালোচনাকে উস্কে দেন। তাদের অনুধাবন করা উচিত যে, সুলতান মনসুর মুজিবাদর্শের যে উপলব্ধিকে আত্নীকরণ করেছেন, তা আওয়ামী লীগের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নেতাদের চরিত্রেই কেবল উদ্ভাসিত ছিলো। আজকের বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বজ্রকণ্ঠে যে ঘোষণা দিতে স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর মতো সিংহ হৃদয়ের প্রয়োজন, বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র সুলতান মনসুর সে ঘোষণা যখন অনায়াসে দেন, “ বাংলার জমিনে ঘুষ না দিয়ে আর ঘুষ না খেয়ে কতোদিন চলা যায় তা আমি সুলতান মনসুর দেখিয়ে দেবো, কারণ, আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী”-তখন আনন্দচিত্তে তাঁকে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে হয়। আমি মনে করি, সারা বাংলার প্রতিটি জেলায় যদি এরকম একজন স্পষ্টবাদী জাতীয়নেতার সৃষ্টি হয় তবেই দেশে দুর্নীতির বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। কারণ, জাতীয় নেতাদের চরিত্র ও বক্তৃতা দ্বারা গণমানুষ নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়। বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত আগস্ট মাসকে সম্মুখে রেখে চুরে- পীরে সবাই মিলে কেবল মোমবাতি জ্বালালেই দেশ বঙ্গবন্ধুর চেতনায় প্লাবিত হবেনা। বঙ্গবন্ধুর চেতনার বাস্তবায়নে চাই, সত্যিকারের আদর্শিত যোগ্য ও স্বচ্ছ কর্মী। দেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি থানায় শত শত পরিচ্ছন্ন মুজিব সৈনিকের জন্মই কেবল দেশকে সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শাণিত করতে সক্ষম।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮’এ অনেক হিসেব- নিকেশের জয়লাভ শেষে শপথ গ্রহণ প্রশ্নে বিএনপির ইউটার্নের পরে একরাত্রে টেলিফোনালাপে তিনি জানতে চান যে, নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর শপথ গ্রহণের প্রশ্নে ব্যাপকাংশ প্রবাসীদের মতামত কি? আমি বলি, মানুষ আপনাকে সংসদে দেখতে চায়? আলোচনায় তিনি বললেন, যদি শপথ গ্রহণ করি, তবে ৭ই মার্চেই করবো? আমি বললাম, ৭ই মার্চ কেন? তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি হৃদয় উজাড় করে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম সুযোগ আর কি হতে পারে? তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, বঙ্গবন্ধু আমার মনোবল, শক্তি ও সাহসের উৎস। আর কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাইনি। মনে মনে বলেছি, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু তাঁরই বলা সাজে। টেলিফোন রাখার পর মনে পড়লো- ২০০৯সালের নির্বাচনের পর তাঁর বাসায় সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে আলোচনায় তিনি আমাকে বলেছিলেন, “মনে রাখিও, এ মাথার উপর বঙ্গবন্ধুর ছাঁয়া আছে।” আজ একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মি হিসেবে বলবো, ৭ই মার্চের সুলতান মনসুরের শপথগ্রহণ ঐতিহাসিক সাহসিকতাপূর্ণ। দেশেকে অনেক অনাকাংখিত রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করেছে। একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাঁর এ সিদ্ধান্ত দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রসংশালাভ করেছে।

২০০৫ সালে আমি ঢাকায় তাঁর বাসায় বেড়াতে গেলে তিনি রাজনৈতিক আলোচনায় আমাকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভালোভাবে পড়ে নেওয়ার তাগিদ দেন। তিনি বললেন "যদি রাজনীতি করতে চাও, তবে গথানুগতিকতার গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে আমার নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনী অধ্যয়ন করো, আত্নস্থ, অনুধাবন ও অনুশীলন করো। আর এটা মনে রেখো যে, বঙ্গবন্ধুর জীবনী সর্বাগ্রে আমাদেরকে আত্নপ্রত্যয়ী, স্পষ্টবাদী ও আত্ন অধিকারের প্রতি সচেতন হওয়ার শিক্ষা দেয়।" সেদিন বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে তিনি অনেক কথাই বললেন। আমি নিবিষ্টমনে তাঁর বক্তব্য শুনেছিলাম। একইসাথে তন্ময় হয়ে তার চোখ মুখের অবস্থা ও অনুভূতি পর্যবেক্ষণ করি। আমি লক্ষ্য করি, আদর্শিক নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাকাঁতর একটি মুখ দিয়ে অনর্গল বক্তৃতা বের হচ্ছে। চোঁখ তার শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতাবোধ, মমত্ব আর ভলোবাসার প্রেরণায় যেন কথা বলতে উদ্ধ্যত। সুলতান মনসুরের সেদিনের বক্তব্য আমাকে বঙ্গবন্ধুর উপর পাঠ করতে উদ্বুদ্ধ করে। যা আজও প্রেরণাদীপ্ত।

বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র জননেতা সুলতান মনসুর এমপির উদ্যোগে কুলাউড়ার ডাক বাংলোর নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু উদ্যান’ নামকরণে যদি কেউ মনে করেন যে, সুলতান মনসুর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আনুকুল্য পাওয়ার অভিপ্রায়ে এ কাজ করেছেন। তবে, আমরা যারা স্বার্থান্বেষী বর্ণচোরা বঙ্গবন্ধু প্রেমিক তারাসহ সকলের উদ্দেশ্যে একটি গল্পের অবতারণা করছি। গল্পটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮র সময়কার, তবে অন্ধকারভেদী আলো।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮’এ আজীবন আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী একজন জাতীয় নেতা গণফোরাম দলভুক্ত হয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। আমি রুপক অর্থে ঐ নেতার নাম দিলাম ‘তোফায়েল আহমদ’। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের প্রথমদিকে বিএনপি নেতাকর্মীগণই ছিলেন তোফায়েল আহমদের প্রধান ভরসা। বিএনপির তরুণ নেতাকর্মীগণ সাধারণত যেখানে সেখানে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ পুরো বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে শ্রুতিকটু কথা বার্তা বলেন। একদিন গভীর রাতে তোফায়েল সাহেবের লিভিংরুমে তার নির্বাচনী কর্মীগণ এরকম কথপোকথনে লিপ্ত হলে তিনি বাক্যবাণে ক্লান্তপ্রায় কর্মীদের বললেন, অন্যের সমালোচনা না করে বরং আমাদের আত্নসমালোচনা করা উচিত। বিষয়টি তরুণ তূর্কি নির্বাচনী কর্মীরা ভালোভাবে নেননি। তারা স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে নালিশ করলেন। দুদিন পর নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নের এক গুরুত্বপৃর্ণ সভায় একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ স্থানীয় বিএনপির ক'জন নেতা তোফায়েল আহমদকে বোঝাতে লাগলেন যে, নির্বাচনী নেতাকর্মীরা যে কারো বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে তোফায়েল আহমদ যেন তাতে বাধ না সাধেন; এতে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে উজ্জ্বীবিত নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে যাবে। আজীবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একান্ত আদর্শিত তোফায়েল আহমদ নেতৃবৃন্দের কথা মনোযোগসহকারে শ্রবণ করে প্রত্যুত্তরে বললেন, "আমি আপনাদের কথা শতভাগ বুঝতে পেরেছি। তবে আপনারা আমার কথাটিকে বুঝবেন। নিশ্চয়ই যে, প্রতিটি মানুষের একটি দুর্বল জায়গা থাকে, আর আমার পরম দুর্বলতার ক্ষেত্রটি হচ্ছে 'বঙ্গবন্ধু'।

যে মানুষটি বাঙালির স্বাধীনতা ও আত্ন অধিকারকে সমুন্নত করতে তাঁর জীবন-যৌবন বিলিয়ে দিলেন, নিজের জীবন, সংসার, সম্পত্তি, সন্তান, পরিজন কোনকিছুর ভালোবাসা তাকে তাঁর লক্ষ্য থেকে সরাতে পারলোনা, আজ আমরা আমাদের রাজনৈতিক বৈতরণী পাড়ি দিতে তাঁকে জগণ্যভাবে ব্যবহার করবো-এর চেয়ে বড় নিষ্ঠুরতা আর কি হতে পারে?" তোফায়েল আহমদ প্রতিবাদী কণ্ঠে আক্ষেপ করে বললেন,"এটা দেখতে বড় কষ্ট লাগে যে, আজকের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাবোধের প্রকাশটাও দলীয় রাজনীতির বাতাবরণের আবিষ্ট হয়েছে।

অথচ, এ জাতির মধ্যে তাঁর সমপর্যায়ের কেউ নেই। এমনকি দুনিয়ায় এমন দ্বিতীয় নেতা নেই, যে তাঁর জাতিকে স্বাধীনতার স্বাধ পাইয়ে দিতে চৌদ্দ বছর জেল খেটেছে।" তিনি নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করে বললেন, "দয়া করে আমাদের নেতা কর্মীদের এটুকু বোঝান যে, সম্মান সম্মানই আনে।" এরপর আর কেউ তোফায়েল আহমদে সম্মূখে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সমালোচনায় লিপ্ত হয়নি। এটাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আদর্শিত একজন কর্মীর মানবিকতার স্বরুপ। যা কেবল প্রাকৃতিকভাবেই জন্মলাভ করে। আর জননেতা সুলতান মনসুর হাজারো বঙ্গবন্ধু অনুরাগীর মধ্যে দূর্লভ এক প্রাকৃতিক স্বত্বা। যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কেবল একজন অনুসারী নয়, মুজিবাদর্শের সাধনার অগ্রবর্তী বীর।

সকল স্বার্থান্বেষী সমালোচনাকে দৃপ্তপদে দলে বীরত্বপূর্ণ অগ্রযাত্রাই বঙ্গবন্ধুর মানসপুত্র সুলতান মনসুরের জন্য কাম্য।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

এই বিভাগের আরও খবর
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
ভারতীয় পানির ঢলে বন্যায় ভাসছে বাংলাদেশ
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
আমরা কেমন ভিসি চাই, কেন চাই?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে কি তারুণ্য?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে সুস্থ সমাজ ও পরিবেশ প্রয়োজন
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
গানে আর গল্পে অঞ্জন দত্ত
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আবার শুরু জীবিকার যুদ্ধ
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
আমি পেয়েছি যে পতাকা!
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
বায়ান্নর সেই একুশের কথা
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
কৃষিবিদরাই দেশের উন্নয়নে বেশি অবদান রাখছেন
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
অমর একুশে বইমেলা: আপন স্রোতে প্রবহমান মেধা ও মননের চিত্রকল্প
সর্বশেষ খবর
সিলেটে টাইগারদের অনুশীলন
সিলেটে টাইগারদের অনুশীলন

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

‘যশোরের সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অংশ’
‘যশোরের সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অংশ’

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেকেআরের পরবর্তী প্রধান কোচ হওয়ার ইঙ্গিত নায়ারের
কেকেআরের পরবর্তী প্রধান কোচ হওয়ার ইঙ্গিত নায়ারের

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

'পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত না খেললেও ক্রিকেট থেমে থাকবে না'
'পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত না খেললেও ক্রিকেট থেমে থাকবে না'

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন
গাজা দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
জামায়াতের ৭ নেতাকর্মী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘হাতি সংরক্ষণে আবাসস্থল রক্ষা, করিডোর মুক্তকরণ ও সচেতনতা জরুরি’
‘হাতি সংরক্ষণে আবাসস্থল রক্ষা, করিডোর মুক্তকরণ ও সচেতনতা জরুরি’

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

৪৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী: আবদুল হালিম
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী: আবদুল হালিম

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইব্রাহিমোভিচের জার্সি পেয়ে উচ্ছ্বসিত বুমরাহ
ইব্রাহিমোভিচের জার্সি পেয়ে উচ্ছ্বসিত বুমরাহ

৫৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘একটা দল ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে, এখন পিআরের কথা বলে’
‘একটা দল ৩০০ আসনে নমিনেশন দিয়ে, এখন পিআরের কথা বলে’

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেন্দুয়ায় সিএনজি চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, আটক ১
কেন্দুয়ায় সিএনজি চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, আটক ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবারও বর্ষসেরা হয়ে ইতিহাস গড়লেন সালাহ
আবারও বর্ষসেরা হয়ে ইতিহাস গড়লেন সালাহ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার
মেহেরপুর সীমান্তে বিজিবির ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গৌরীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ
গৌরীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

কাপ্তাই হ্রদে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি
কাপ্তাই হ্রদে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড্ডায় সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িচালক নিহত
বাড্ডায় সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িচালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালাকের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক
তালাকের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেফতার
হত্যা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিক গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেহেরপুরে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন
মেহেরপুরে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিকুল-পলক
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিকুল-পলক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় পাসপোর্টসহ মানবপাচারকারী আটক
কুমিল্লায় পাসপোর্টসহ মানবপাচারকারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা
শরীরচর্চার অভ্যাসে বাড়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফোন হ্যাং করছে বারবার, যেভাবে সমাধান করবেন
ফোন হ্যাং করছে বারবার, যেভাবে সমাধান করবেন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নৃশংস অপরাধের ক্রমবৃদ্ধি
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নৃশংস অপরাধের ক্রমবৃদ্ধি

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল
জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দৌলতখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
দৌলতখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

১৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন
জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনের সাহস আছে কি না দেখা যাবে, কেন বললেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট
পুতিনের সাহস আছে কি না দেখা যাবে, কেন বললেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জনশুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে চড়, যুবক আটক
জনশুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তকে চড়, যুবক আটক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল : ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম-এজিএস মায়েদ
ডাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল : ভিপি আবিদুল, জিএস হামিম-এজিএস মায়েদ

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল
জুলাই আন্দোলনে আহত তন্বীর সম্মানে যে পদ খালি রাখলো ছাত্রদল

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত
অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭
নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল
নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির
ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া
ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু
স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০৩৩ সালের মধ্যে ভোলা ও চাঁদপুরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সেতু
২০৩৩ সালের মধ্যে ভোলা ও চাঁদপুরকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সেতু

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের পরিমাণ
বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের পরিমাণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘কিছু নাবালক অবুঝ শিশুরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন হবে না’
‘কিছু নাবালক অবুঝ শিশুরা বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচন হবে না’

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!
শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন হুমকি দিলেন কিম জং উন
পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন হুমকি দিলেন কিম জং উন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ
৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা
আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভারতের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ একঝাঁক তারকা
ভারতের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ একঝাঁক তারকা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা: তারেক রহমান
ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে অন্তত ২৫ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা: তারেক রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না: মির্জা ফখরুল
পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না: মির্জা ফখরুল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেও রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা অব্যাহত
যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেও রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা অব্যাহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে
ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে
গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী
দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী

প্রথম পৃষ্ঠা

মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন
মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন
ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের
বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের

নগর জীবন

মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জাসদ
মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জাসদ

সম্পাদকীয়

বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন
বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও
মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও

নগর জীবন

পিপিপির সিইও হলেন আশিক চৌধুরী
পিপিপির সিইও হলেন আশিক চৌধুরী

নগর জীবন

বাফুফে আসলে কী চায়
বাফুফে আসলে কী চায়

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী
সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

পারিশ্রমিক বিতর্কে সাদিয়া আয়মান
পারিশ্রমিক বিতর্কে সাদিয়া আয়মান

শোবিজ

ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে
ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত
ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত

নগর জীবন

জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে
জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য
বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা
মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য
স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য

নগর জীবন

যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড
যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের
অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম পৃষ্ঠা

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন

নগর জীবন

চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক
চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নগর জীবন

সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা
সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা

নগর জীবন

চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস

নগর জীবন