চাঁদে জমি বেচাকেনার ব্যবসা এখন পুরো চাঙা। চাঁদে ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের আইডিয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন অনেকে। সেখানে আরও যেসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যাবে তারই কিছু আইডিয়া দেওয়া হলো।  লিখেছেন  -   রবিউল ইসলাম সুমন

► টং দোকান : পৃথিবীতে যাবতীয় ছোটখাটো সমস্যা থেকে শুরু করে বড় বড় সব সমস্যার সমাধান হয় টং দোকানে। টং দোকানে অবস্থানকারীদের মিটিংয়ের গুরুত্ব নিশ্চয়ই আপনার জানা। একটু ভেবে দেখেছেন কী, চাঁদে টং দোকান নেই? সুতরাং চাঁদেও বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কিছু দূরত্ব পর পর টং দোকান নির্মাণ অতি জরুরি।

► কাঁটাতারের বেড়া : অন্যের জমিতে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে কাঁটাতারের বিকল্প আর কিছুই নেই। অতএব, চাঁদে এখনই কাঁটাতারের বিজনেস শুরু করে দিলে ভালোই প্রফিট হবে বলে আশা করা যায়।

► ডিশ অ্যান্টেনা : পৃথিবীতে বসে বসে যারা বিদেশি সিরিয়াল দেখছেন, ধারণা করা হচ্ছে চাঁদে গিয়েও তারা সেটাই করবেন। এ ছাড়া ধুমধাম বজ্রপাতের আওয়াজ শুনতে মন চাইলে আপনাকে বিদেশি সিরিয়াল দেখতে হবে। কিন্তু চাঁদে ডিশ অ্যান্টেনা নেই। আর ডিশ অ্যান্টেনা না থাকলে বিদেশি সিরিয়াল দেখা যাবে না। অতএব, চাঁদে এখনই ডিশ অ্যান্টেনা স্থাপন করে ভবিষ্যতে ভালো বিজনেস করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

► মশা তাড়ানোর ওষুধ : পৃথিবীতে যেহেতু মশার যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ঠ, তেমনি চাঁদে গেলেও আপনার পিছু পিছু মশা চলে যেতে পারে। আর একবার মশা গেলে চাঁদে শুধু মশাই মশা দেখতে হবে। তখন মশা থেকে বাঁচতে হলে লোকজন মশা তাড়ানোর ওষুধ কেনার জন্য ভিড় করবে। তাই এখন থেকেই এই বিজনেসটা শুরু করে দিন।

► রিচার্জ ও এমবি কার্ড : পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে মোবাইলের বিকল্প কিছু নেই। আর মোবাইল থাকলে তা রিচার্জ করা লাগবে। তা ছাড়া চাঁদে গিয়েও অনেকে স্বামী বা স্ত্রী দেশে মানে পৃথিবীতে থেকে যেতে পারেন। তার সঙ্গে অনলাইনে কথা বলার জন্য এমবি কার্ড লাগতে পারে। সুতরাং এই বিজনেসটাও সেখানে ভালো চলবে।